কালমেঘ পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা - কালমেঘ কখন খাওয়া উচিত

কালমেঘ পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং কালমেঘ কখন খাওয়া উচিত তা সম্পর্কে আপনি নিশ্চয়ই জানতে চাচ্ছেন। তাই আমরা কালমেঘ পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং কালমেঘ কখন খাওয়া উচিত তা সম্পর্কে এখন আলোচনা করব। কালমেঘ পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং কালমেঘ কখন খাওয়া উচিত সে বিষয়ে জানার জন্য আপনাকে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
কালমেঘ পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা - কালমেঘ কখন খাওয়া উচিত
কারণ আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে খুবই সুন্দরভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি কালমেঘ পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং কালমেঘ কখন খাওয়া উচিত বিষয়ে। তাহলে চলুন বন্ধু আর দেরি না করে আমরা জেনে আসার চেষ্টা করি কালমেঘ পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং কালমেঘ কখন খাওয়া উচিত সে সম্পর্কে।

পোস্ট সূচিপত্রঃ কালমেঘ পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা - কালমেঘ কখন খাওয়া উচিত

ভূমিকা | কালমেঘ পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা | কালমেঘ কখন খাওয়া উচিত

কালমেঘ পাতার রস এ প্রচুর পরিমাণে উপকারিতা রয়েছে। শুধু যে কালমেঘ পাতার রস বিষয়টি তা নয়। কালমেঘের যেকোনো অংশই খুবই উপকারিতা হিসেবে কাজ করে থাকে। সেজন্য আমাদের প্রত্যেকেরই কালমেঘের পাতার উপকারিতা বা কালমেঘের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত।

তাই আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে খুব সুন্দর হবে আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করেছি কালমেঘ পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। চলুন বন্ধুরা আমরা এক নজরে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করি এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন করার মাধ্যমে আপনারা কি কি বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন।
এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার মাধ্যমে কালমেঘ পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা, কালমেঘ খাওয়ার নিয়ম, কালমেঘ কখন খাওয়া উচিত, চিরতা ও কালমেঘ কি একই, কালমেঘ পাতার গুরুত্ব এবং কালমেঘ পাতা কোথায় পাওয়া যায়। তো চলুন বন্ধু আর দেরি না করে এ সমস্ত বিষয়গুলো জেনে আসার চেষ্টা করি।

আশা করি এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন করার মাধ্যমে এ সকল বিষয় সম্পর্কে আপনারা বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন। কারণ আমরা এই সমস্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনার অনেক উপকারে আসবে।

কালমেঘ পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা

কালমেঘ পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানার জন্য আপনাকে আর্টিকেলের এ অংশটুকু পড়তে হবে। কারণ আমরা আর্টিকেলের এই অংশে খুবই সুন্দরভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি কালমেঘ পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। তাহলে চলুন বন্ধু আর দেরি না করে আমরা এখনই জেনে আসার চেষ্টা করি কালমেঘ পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।

কালমেঘ পাতার ১৫ টি উপকারিতাঃ

১। লিভারের সমস্যায় কালমের ঘ পাতা

বিশেষ করে যারা লিভারের সমস্যায় ভুগছেন, মূলত তাদের জন্যই অব্যর্থ্য ওষুধ হিসেবে কালমেঘের পাতার রস। কারণ কালমেঘের পাতায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, এন টি ইনফ্লেমেটরি এবং হেপাটো প্রোটেকটিভ থাকায়। লিভারের কোষের ক্ষয়ক্ষতিরোধে কালমেঘ পাতার রস খুবই কার্যকারী হিসেবে কাজ করে থাকে।

কালমেঘ পাতার রস দীর্ঘস্থায়ী হেপাটাইটিস বি ভাইরাল সংক্রমণের জন্য কার্যকর অনেকটাই। কালমেঘ পাতার রস লিভার সম্পর্কিত যেকোন সমস্যার সমাধানের জন্য প্রাকৃতিক ওষুধের কাজ করে থাকে।

২। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কালমেঘ

একটি ভেষজউদ্ভিদ হচ্ছে কালমেঘ। মূলত কালমেঘের ঔষধি ব্যবহার বিবেচনা করে থাকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে তাছাড়া এই দেশগুলোতে ব্যাপকভাবে কালমেঘের চাষ করা হয়ে থাকে। কালমেঘ ডায়াবেটিসের সমস্যা বা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। কেননা কালমেঘ এ রয়েছে এন্টি-ডায়াবেটিক বৈশিষ্ট্য। যার মাধ্যমে আপনাকে ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে সুরক্ষা দিতে পারে কালমেঘ। 

৩। ক্যান্সার প্রতিরোধে কালমেঘ

কালমেঘের গাছ ব্যবহার করা যেতে পারে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতেও। কেননা কালমেঘের গাছে রয়েছে ক্যান্সার প্রতিরোধে বৈশিষ্ট্য।

৪। হার্টের স্বাস্থ্যর জন্য কালমেঘ

কালমেঘ গ্রহণ করা যেতে পারে হার্ট সুস্থ রাখতে। কেননা কাল মেঘে এন্টিথ্রোম্বোটিক অ্যাকশন বিশেষ পরিমানে পাওয়া যায়।বৈজ্ঞানিক গবেষণা থেকে একটি রিপোর্ট করা হয়েছিল যে এই ক্রিয়াটি ধমনী গুলোকে প্রসারিত করে রক্ত প্রবাহকে উল্লেখযোগ্য ভাবে উন্নত করতে সাহায্য করে থাকে। শুধু তাই নয় এটি হৃদ রোগের ঝুঁকি হ্রাস করতেও বেশ ভূমিকা পালন করে।

৫। অনিদ্রার সমস্যায় কালমেঘ

অনেক কারণেই অনিদ্রার সমস্যা দেখা দিতে পারে, মূলত যার মধ্যে রয়েছে চাপ প্রধান।সেজন্য এ সমস্যা এড়াতে প্রমাণিত হিসেবে কালমেঘ খাওয়া উপকারী। কেননা কালমেঘ একটি এন্টি স্ট্রেস এজেন্টের মত কাজ করে থাকে, যেটি মানসিক চাপ দূর করতে সাহায্য করে এবং অনিদ্রার সমস্যা থেকে মুক্তির কাজ করে।

৬। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় কালমেঘ

আমরা যদি আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে চাই তাহলে অবশ্যই আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কালমেঘ খাওয়া যেতে পারে। কেননা কালমেঘের ইমিউনোমোডুলেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে অনেকটাই।

৭। ক্ষতস্থান নিরাময়ে কালমেঘ

যেহেতু কালমেঘ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। সেহেতু কালমেঘ অতিরিক্ত কোলাজেন ও প্রদাহ কোষের হ্রাস হিসেবে কাজ করে থাকে। শুধু তাই নয় কালমেঘ দাগ কমাতে সাহায্য করে। সেজন্য আপনাকে আপনার ক্ষতস্থানে স্বল্প পরিমাণে কালমে প্রয়োগ করা লাগবে।

৮। সাধারণ ঠান্ডা কমাতে কালমেঘ

মূলত যাদের সাধারণ সর্দি এবং ইনফ্লুয়েঞ্জার সমস্যা রয়েছে। তারা যদি এই সমস্যাগুলোকে এড়াতে চায় তাহলে তাদের জন্য কালমেঘের ব্যবহার উপকারী হতে পারে অনেকটাই। কেননা বিভিন্ন বিজ্ঞানীদের মতে, সাধারণ সর্দি এ রাতে কালমেঘ ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে কালমেঘ কিভাবে সাধারণ সর্দি নিরাময় করতে পারে সে সম্পর্কে আরো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ এখনো প্রয়োজন রয়েছে।


৯। পেটের কৃমি দূর করতে কালমেঘ

পরজীবী প্রাণী বা কৃমি প্যারাসাইট। এটি আমাদের শরীরে ইন্টেস্টাইনে বাসা বেধে থাকে এবং শরীরের অন্যান্য অর্গানগুলিকেও অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত করে। এগুলো সাধারণত দূষিত পানি বা খাবার থেকে আমাদের শরীরে প্রবেশ করে থাকে। তাই কালমেঘ পাতা জল এবং গুড়ো একসঙ্গে বেঁটে ছোট মটর শুটির দানার মত বল বানিয়ে নিতে হবে আপনাকে।তারপর রোদে ভালোভাবে শুকিয়ে একটি প্রার্থী রেখে দিতে হবে। 

তারপর প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে জলের সাথে ট্যাবলেট এর মত গিলে হাওয়ার মাধ্যমে বেশ উপকার পাওয়া যায়। এভাবে যদি আপনি খেতে পারেন তাহলে তেতো রস খাওয়ার থেকে অনেক বেশি সহজ হবে আপনার জন্য।তাছাড়াও কালমেঘ পাতা বেটে তার রস বের করে সকালে খালি পেটে আপনি যদি খান তাহলে কিছুদিনের মধ্যে সমস্ত কৃমি মোড়ে বেরিয়ে যাবে আপনার নল দিয়ে।

১০। ভাইরাল ইনফেকশনে কালমেঘ

কালমেঘ খাওয়া যেতে পারে ভাইরাল সংক্রমণ এড়াতে। কেননা কাল মেঘে এন্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়। যেটি ভাইরাল সংক্রমণ প্রতিরোধে বেশ সাহায্য করে থাকে। সেজন্য কালো মেঘের নির্যাস ডাক্তারের পরামর্শে নেওয়া যেতে পারে।

১১। লিভার সুস্থ রাখতে কালমেঘ

লিভারের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য কালমেঘ এর উপকারিতা দেখা যায়। সেজন্য আপনি কালমেঘের পাতার নির্যাস সেবন করতে পারেন। কারণ কালমেঘের পাতায় হেপাটোপ্রোটেকটিভ বৈশিষ্ট্য রয়েছে।মূলত এর নির্যাস ব্যবহার লিভার ও রেনাল ক্ষতির বিরুদ্ধে রক্ষা করতে অনেকটাই ভূমিকা পালন করে থাকে।

১২। ত্বকের সমস্যা দূর করতে কালমেঘ

ত্বকের রোগ নিরাময়ে উপকারী হতে পারে। কালমেঘে এন্টিঅক্সিডেন্ট, এন্ট্রি মাইক্রোবিয়াল
এবং এন্টি ইনফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়। কালমেঘ রক্ত পরিশোধনকারী ওষুধি কাজ করে। একই সাথে কালমেঘ ত্বকের ব্রণ ও চুলকানি থেকে রক্ষা পেতে অনেকটাই কার্যকর।কেননা কাল মেঘের মধ্যে রক্ত পরিশোধন করার ক্ষমতা রয়েছে অনেক। কালমেঘ মূলত রক্ত থেকে বিষাক্ত পদার্থ গুলোকে সরিয়ে দেয় সেজন্য মূলত ত্বকের রোগ সারাতে সহায়তা করে।

১৩। বদহজম সমস্যায় কালমেঘ

আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যাদের বদহজমের সমস্যা রয়েছে। তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই কালমেঘ এর মাধ্যমেও আপনার এই সমস্যার সমাধান হতে পারে। কারণ কাল মেঘে এমন বিশেষ গুনাগুন রয়েছে যেটি হজমের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। তবে এখনো কোনো গবেষণা থেকে সঠিকভাবে জানা যায়নি কিভাবে কালমেঘ বদহজমের সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে।

১৪। রিউমাটয়েড অথরাইটিসে কালমেঘ

যারা মূলত রিউমাটয়েড অথরাইটিসের ব্যথায় অনেকটাই কাবু হয়ে থাকেন। তাদের জন্য কালমেঘ পাতার রস অনেকটাই উপকারী হতে পারে। কারণ কালমেঘ একটি অটোইমিউন ডিসঅর্ডার। কালমেঘ আমাদের শরীরের বিভিন্ন জয়েন্ট ব্যথা কমাতে বেশ সহযোগিতা করে থাকে।

১৫। টনসিল দূরীকরণে কালমেঘ

আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যাদের টনসিলের সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী অস্বস্তির কারণ হয়ে যায়। আবার অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় গলায় ইনফেকশন হতে। এ ক্ষেত্রেও অনেকটাই উপকারী হিসাবে কাজ করে বা বন্ধুর মত কাজ করে থাকে কালমেঘ পাতা।

কালমেঘ পাতার ৬ টি অপকারিতাঃ

আসলে আমরা সকলেই জানি যে জিনিসের উপকারিতা আছে সেই জিনিসের একটু অপকারিতা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। যাই হোক আমরা এখন জানব কালমেঘ পাতার ৬ টি অপকারিতা সম্পর্কে। নিম্নে কালমেঘ পাতার ছয়টি অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

১। অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে এলার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে।

২। আপনি যদি অন্যান্য ওষুধের সঙ্গে কালমেঘ খান তাহলে মিথস্ক্রিয়া হতে পারে। সেজন্য আপনি যখনই অন্যান্য ওষুধ সেবন করবেন, তখন অবশ্যই কালমেঘ সেবন করার আগে চিকিৎসকের কাছে পরামর্শ নিবেন।

৩। আপনি যদি প্রচুর পরিমাণে কালমেঘ খান তাহলে আপনার ক্ষুধা কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

৪। আপনি যদি নিয়মিত কালমেঘ পাতার রস খান তাহলে আপনার মাথাব্যথা কিংবা ক্লান্তি দেখা দিতে পারে।
৫। অতিরিক্ত পরিমাণে কালমেঘ সেবন করায় নিম্ন রক্তচাপ এবং সুগার কমে যেতে পারে। তাই আপনি অবশ্যই মাঝেমধ্যেই রক্তচাপ এবং সুগারের মাত্রা পরীক্ষা করলে ভালো হয়।

৬। গর্ভাবস্থায় কিংবা বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় কালমেঘ চূর্ণের ব্যবহার এড়িয়ে চলাটাই ভালো, অনেক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মতে।

এতক্ষণ আর্টিকেলের এই অংশটুকু পড়ার মাধ্যমে আপনারা কালমেঘের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানলেন। বিভিন্ন ধরনের রোগ শারীরিক কিছু অসুবিধা এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। কালমেঘ খাওয়ার পরিমাণ সম্পর্কে একবার একজন ডায়েটিশিয়ান এর সঙ্গে পরামর্শ করে নিবেন।কালমেঘের স্বাস্থ্য ও উপকারিতা সম্পর্কে জানার পর আপনি বা আপনার কাছের কেউ যদি কালমেঘ সে বনে কোন উপকার পান। তাহলে অবশ্যই আপনি তার অভিজ্ঞতা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করতে পারেন।

কালমেঘ খাওয়ার নিয়ম

কালমেঘ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে এখন আমরা জানতে চলেছি। তাই আপনারা যারা খুবই আগ্রহ নিয়ে জানতে চাচ্ছেন কালমেঘ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে তারা এখন আর্টিকেলের এই অংশটুকু থেকে জেনে নিন কালমেঘ খাওয়ার নিয়ম কি সে বিষয়টি। কালমেঘ পাতা খাওয়ার জন্য আপনাকে প্রথমে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।

কালমেঘের পাতা ভালো করে ধুয়ে হালকা গরম পানি মিশানোর পর ছাঁকনিতে সুন্দরভাবে ছেঁকে নিতে হবে। যে কোন রকম ঠান্ডা লাগা জনিত রোগ খুব সহজেই সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে এই কালমেঘ পাতার রস। কিন্তু কালমেঘ পাতার রস অনেকটাই তিত্‍কুটে হয়ে থাকে, সেজন্য কালমেঘ পাতার রস খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এক চা চামচ মধু খেতে পারেন। আশা করি কালমেঘ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।

কালমেঘ কখন খাওয়া উচিত

কালমেঘ কখন খাওয়া উচিত?। এ বিষয়টি অনেকেই জানতে চেয়েছেন। তাদের উদ্দেশ্যেই এখন আমরা বলব কালমেঘ কখন খাওয়া উচিত। আসলে কালমেঘ আপনি দ্বীনের যেকোনো সময় খেতে পারেন। আপনি দিনের যখনই কালমেঘ খান না কেন তখনই আপনি পাবেন অনেক উপকার।

কালমেঘ আপনি সারাদিনে এক চা চামচ গুঁড়ো খেতে পারেন। আবার সারাদিনে আপনি ২ চা চামচ কালমেঘ খেতেও পারেন। তাছাড়া আপনি চাইলে কালমেঘের আটটি থেকে দশটি পাতা এক কাপ পানিতে মিশিয়ে রস তৈরি করে খেতে পারেন। এভাবে খেলেও আপনি অনেক উপকার পাবেন।

শুধু তাই নয় বাজারে আপনি মুদিখানার দোকানে খোঁজ করলেও কালমেঘের ক্যাপসুল পেয়ে যাবেন। তবে কালমেঘ খাওয়ার সঠিক পরিমাণ জানতে হলে আপনাকে একবার একজন ডায়েটিশিয়ানের সঙ্গে পরামর্শ নিতে হবে। আশা করি কালমেঘ কখন খাওয়া উচিত সে বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

চিরতা ও কালমেঘ কি একই

চিরতা ও কালমেঘ কি একই?। এ বিষয়টি জানার জন্য আর্টিকেলের এই অংশটুকু পড়ুন। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যাদের মনে প্রশ্ন জাগে চিরতা ও কালমেঘ কি একই?। মূলত তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চায় চিরতা ও কালমেঘ একই।

কালমেঘ পাতার গুরুত্ব

কালমেঘ পাতার গুরুত্ব কি?। সে বিষয়টি আমরা আর্টিকেলের এই অংশে সুন্দরভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। তাই আপনি আর্টিকেলের এই অংশটুকু পড়তে থাকুন আর জানতে থাকুন কালমেঘ পাতার গুরুত্ব সম্পর্কে। আসলে কালমেঘ পাতার গুরুত্ব হওয়ার কারণ হলো কালমেঘের প্রত্যেকটি অংশ ব্যবহার করা যায়। যে কোন অসুবিধায় কালমেঘ পাতার রস কান্ড ভেজানো জল এবং মূলেরও উপকারিতা অনেক বেশি।

কালমেঘ পাতা কোথায় পাওয়া যায়

কালমেঘ পাতা কোথায় পাওয়া যায়?। এই প্রশ্নটিই অনেকেই করে থাকেন, তাই যারা জানতে চান কালমেঘ পাতা কোথায় পাওয়া যায়। তারা এখনই জেনে নিন কালমেঘ পাতা কোথায় পাওয়া যায় সে বিষয়টি। আসলে বন্ধু সারাদেশে কালমেঘ গাছের চাষ করা হয়ে থাকে। তবে বিশেষ করে বন্য অঞ্চলে কিংবা সমতল ভূমিতে কালমেঘের চাষ অনেকটাই বেশি করা হয়ে থাকে।

তবে বাংলাদেশের মাঠে ঘাটে অথবা বনবাদাড়ে অবহেলিতভাবেই বেড়ে উড়তে দেখা যায়। এছাড়াও কালমেঘ খুবই ভালো জন্মাতে দেখা যায় রৌদ্রোজায়গায়। কালমেঘ আসলে বর্ষজীবী উদ্ভিদ। তাছাড়া দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ব্যাপকভাবে কালমেঘ উৎপাদিত হয়ে থাকে। আশা করি কালমেঘ পাতা কোথায় পাওয়া যায় বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

লেখকের মন্তব্য | কালমেঘ পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা | কালমেঘ কখন খাওয়া উচিত

প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি নিশ্চয়ই এতক্ষণে জেনে গেছেন কালমেঘ পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং কালমেঘ কখন খাওয়া উচিত সে বিষয়ে। যেহেতু কালমেঘ পাতার প্রচুর পরিমাণে উপকারিতা রয়েছে সেহেতু আমাদের উক্ত বিষয় সম্পর্কে সকলে জেনে রাখা উচিত।

কেননা কালমেঘ এর পাতা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক কাজে আসতে পারে। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনার কাছে অনেক ভালো লেগেছে এবং আপনার অনেক উপকারে আসবে। তাই এই আর্টিকেলটি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।

কেননা আপনার বন্ধুরাও আপনার মাধ্যমে জানতে পারবে কালমেঘ পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং কালমেঘ কখন খাওয়া উচিত সে সম্পর্কে। আর অবশ্যই আমাদের এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট বা ফোলো করার চেষ্টা করুন। কারণ আমরা এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত নতুন নতুন ব্লগ পোস্ট বা আর্টিকেল পাবলিশ করে থাকি। আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url