তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির দশটি ব্যবহার - শিক্ষা ক্ষেত্রে আইসিটির ভূমিকা কি

১০টি শিক্ষা প্রযুক্তির নামপ্রিয় পাঠক, আপনি নিশ্চয়ই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির দশটি ব্যবহার এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে আইসিটির ভূমিকা কি তা সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে আপনি অবশ্যই সঠিক জায়গাতেই এসেছেন। কারণ আমরা এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনাকে জানাবো তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির দশটি ব্যবহার এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে আইসিটির ভূমিকা কি সে সম্পর্কে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির দশটি ব্যবহার - শিক্ষা ক্ষেত্রে আইসিটির ভূমিকা কি
তাই আপনি যদি এই সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক আরো বিভিন্ন তথ্য আপনি পাবেন, এবং জানতে পারবেন এর ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে। তাহলে চলুন দেরি না তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির দশটি ব্যবহার এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে আইসিটির ভূমিকা কি তা জেনে আসি।
পোস্ট সূচীপত্রঃ

ভূমিকা | তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির দশটি ব্যবহার | শিক্ষা ক্ষেত্রে আইসিটির ভূমিকা কি

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে আদান-প্রদান থেকে শুরু করে সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনায় আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এমন কিছু অসাধারণ সুযোগ তৈরি করেছে। যেটার অনুপস্থিতি ছাড়া সাতসন্দময় স্বাচ্ছন্দ্যময় আমাদের আধুনিক জীবন চিন্তাভাবনায় করা প্রায় অসম্ভব।
আমাদের জীবনের উন্নতি ও প্রগতি ছাড়াও বিশ্বের জাতিসমূহের পরস্পর সহযোগিতা ও সহমর্মিতার বন্ধনে আবদ্ধ করেছে এবং এক অভিন্ন পরিবারের সোনালী স্বপ্ন দেখিয়েছেন আইসিটি বা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি। আমাদের বিশ্বের জ্ঞান ও তথ্য ভান্ডারে প্রবেশের অসীম সম্ভাবনার দরজা সুন্দরভাবে খুলে দিয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি।

আমাদের জীবন যাত্রার পথে বা দৈনন্দিন জীবনে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে, যোগাযোগে, বিনোদনে এবং মেধা চর্চা ও সৃজনশীলতার বিকাশ ইত্যাদি সকল ক্ষেত্রেই এই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার অনর্গল বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে মানসম্পন্ন কর্ম সম্পাদনের এক বিরাট শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেছে আমাদের জীবনে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি কি এবং এর ব্যবহার

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বলতে, যে কোন প্রকারের তথ্যের সংরক্ষণ, উৎপত্তি, সঞ্চালন, প্রক্রিয়াকরণ ও বিচ্ছুরণে ব্যবহৃত সকল ধরনের ইলেকট্রনিক প্রযুক্তিকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বলে। তাছাড়া যে প্রযুক্তির মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান বা তথ্য দ্রুত আহরণ এবং প্রয়োজন অনুযায়ী সংরক্ষণ ও আধুনিকীকরণ ব্যবস্থাপনাকে বিতরণ করা হয়ে থাকে, তাকে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি বলা হয়ে থাকে।

নিচে সংক্ষেপে প্রযুক্তির ব্যবহার বর্ণনা করা হলো

  • ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসে প্রয়োজনীয় পণ্যের অর্ডার দেওয়া এবং বিল পরিশোধ করা যায়।এবং সহজেই সেই পণ্যটি পাওয়া যায় ঘরে বসে।
  • ইন্টারনেট কানেকশন এর মাধ্যমে অনলাইনের সহায়তায় বিভিন্ন ধরনের পত্রিকা পরা যায়। (যা ইন্টারনেটে থাকে)।
  • আমরা ঘরে বসেই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরীক্ষার ফলাফল জানতে পাড়া।
  • এখন মোবাইলের ইন্টারনেট কানেকশনের মাধ্যমে খুব সহজে টাকা লেনদেন করা যায়।
  • প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে ই-বুক সুবিধা পাওয়া যায়।
  • ঘরে বসেই অনলাইন ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে চাকরির দরখাস্ত করা যায় এবং পরীক্ষার প্রবেশপত্র অনলাইন থেকে খুব সহজে প্রিন্ট করা যায়।
  • এই ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা খুব সহজ হয়।
  • এবং অনলাইনেও ইন্টারনেটের সংযোগে একই স্থান থেকে অন্য স্থানে খুব সহজে টাকা পয়সা পাঠানো যায়।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি গুরুত্ব কী

এখন যতদিন যাচ্ছে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নতির ফলে আমাদের সমাজের ব্যাপক উন্নয়ন করা সম্ভব হচ্ছে। তাছাড়া বর্তমানে আমরা প্রতি মিনিটেই প্রযুক্তির ব্যবহার করেই চলেছি। আমাদের সমাজের বিভিন্ন অগ্রযাত্রায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ভূমিকা যে কতটা সেটা সংক্ষিপ্ত ভাবে বলা খুব মুশকিল। এখন বিশ্বের সবথেকে যে দেশগুলো উন্নত সেই দেশগুলোতে প্রযুক্তির ব্যবহার সব থেকে বেশি।

তাই আমাদের দেশ বাংলাদেশ উন্নত দেশগুলোর মতো আইসিটির বহুমুখী ব্যবহার করা হচ্ছে বিশেষভাবে। আজ থেকে প্রায় অনেক বছর আগে সম্পদের যে ধারণা ছিল, ২৩ শতকে এসে সেটি পুরোপুরি পাল্টে দিয়েছে। তাই এখন পৃথিবীর সবাই মেনে নিয়েছে যে ২৩ শতকের সম্পদ হচ্ছে জ্ঞান। যার অর্থ হিসেবে বলা যেতে পারে কৃষি খনিজ সম্পদ কিংবা মুক্তির উৎস নয় এবং শিল্প বাণিজ্য ও নয়। এখন পৃথিবীর সম্পদ হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে সাধারণ মানুষ।

হিসেবে বলা যায় শুধুমাত্র মানসিক জ্ঞান ধারণ করতে পারে এবং এই জ্ঞান ব্যবহার করতে পারে। পৃথিবীর সম্পদের এই নতুন ধারণাটি সারা বিশ্বে মানুষের চিন্তা ভাবনার জগৎটি পাল্টে দিয়েছে। সেজন্য বিশ্বের মানুষ এখন ২৩ শতকের মুখোমুখি হওয়ার জন্য আলাদাভাবে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। আমরা এখন অনুভব করতে পারছি ২৩ শতকের পৃথিবীতে আসলে জ্ঞানভিত্তিক একটা অর্থনীতির ওপর দাঁড়াতে শুরু করেছে।

আসলে সত্যি কথা বলতে, আমাদের মাঝে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে পারদর্শিতা সবচেয়ে প্রয়োজনীয় দক্ষতা হিসেবে অনেক দ্রুত স্থান করে নিচ্ছে সবার মাঝে। সেজন্য ২৩ শতকে টিকে থাকার জন্য সবাইকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রাথমিক বিষয়গুলো সুন্দরভাবে জেনে রাখা প্রয়োজন। আপনার যদি এই প্রাথমিক বিষয়গুলো সুন্দরভাবে জানা থাকে তাহলে এটি ব্যবহার করে তার বিশাল বৈচিত্রের জগতে প্রবেশ করা অনেক সহজ হয়ে যাবে।

সেক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থী যতক্ষণ পর্যন্ত এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা থেকে বঞ্চিত থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত সে তথ্য সংগ্রহ, ও বিশ্লেষণ এবং সংযোজন মূল্যায়ন করে নতুন তথ্য সৃষ্টি করতে পারবে না। তাই এই দক্ষতা গুলো অর্জন করতে না পারলে সে কখনোই ২৩ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে জ্ঞানভিত্তিক সমাজে কখনোই স্থান করে নিতে পারবে না। আশা করি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি গুরুত্ব  বুঝতে পেরেছেন।

শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ৫টি ব্যবহার

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি একটি সর্বজনীনভাবে গ্রহণযোগ্য শিক্ষা যন্ত্র হিসেবে কাজ করে। যা শিক্ষা ব্যবস্থায় কার্যকারিতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য পরিকল্পিত ভাবে সম্পাদন করা হয়েছে। তাছাড়া এখন স্কুল ব্যবস্থায় শিক্ষার জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়। এবং শিক্ষা ব্যবস্থায় কাজকর্ম দ্রুত ও আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য এবং শিক্ষার্থীদের আধুনিক টেকনোলজিতে দক্ষ করার জন্য সারা বিশ্ব জুড়ে শিক্ষা ব্যবস্থায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার নিয়োগ করা হয়েছে। 

সে সঙ্গে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক ইন্টারনেট প্রযুক্তির সহায়তায় নানা রকম সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থাপনা খুব সহজ করতে পারছে। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা প্রতিনিয়তই বা প্রতিদিনই শিখতে পারছে নতুন কিছু। এবং বিদ্যালয় তাদের কাছে শিক্ষা লাভের একমাত্র জায়গা থাকছে না। তাই ঘটছে তাদের নানা ধরনের সামাজিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে।
এখন শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আমল পরিবর্তন এনে দিয়েছে। শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের মাঝে শিক্ষার প্রক্রিয়া সহজে সহজযোগ্য হয়ে উঠেছে। তাই শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির পাঁচটি ব্যবহার যেগুলো এখনকার সময়ে এসে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে।

শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ৫ টি ব্যবহার
  1. শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মধ্যে সাম্প্রতিক যোগাযোগ।
  2. শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও অনুশীলনের জন্য মাল্টিমিডিয়া ব্যবহার বা সম্প্রচার।
  3. শিক্ষার্থীদের অন্যতম মূল্যায়ন ও সম্পাদন।
  4. দূরবর্তী শিক্ষা সহজ করে তোলা।
  5. এবং শিক্ষার্থীদের জন্য কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির দশটি ব্যবহার

নিচে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির দশটি ব্যবহার সম্পর্কে আলোচনা করা হল।

১। শিক্ষায় প্রযুক্তি ব্যবহার

আমাদের শিক্ষা ক্ষেত্রে যখন আইসিটি ব্যবহার করতে শুরু করা হয়েছিল তখন হঠাৎ করে সে কাজটি অনেক সহজ হতে শুরু করেছিল। তাই এখন মাল্টিমিডিয়াতে লেখাপড়ার অসংখ্য চমকপ্রদ বিষয় দেখানো যায়। এবং বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞানের বিষয়গুলো স্ক্রিনে প্রদর্শন করা যায় খুব সহজে। এমনকি পরীক্ষার খাতায় কিছু না লিখে সরাসরি কম্পিউটারে পরীক্ষা দেওয়া সুযোগ তো রয়েছে। শিক্ষার্থীরা একটা ই-বুক ডিভাইস শুধু যে তার পাঠ্য বইয়ে রাখতে পারবে তা নয় লাইব্রেরীর কয়েক হাজার বই পর্যন্ত রাখতে পারবে ডিভাইসের মধ্যে।

২। চিকিৎসা ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার

আমাদের দেশে এখন আইসিটি ব্যবহার না করে চিকিৎসার কথা কল্পনাও করা যায় না। কারণ এখন আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে নিখুঁতভাবে রোগ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে। এমনকি রোগীকে হাসপাতালে যেতে হয় না। কারণ তার সব ধরনের তথ্য সংরক্ষণ থেকে শুরু করে তার চিকিৎসার বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয় বস্তু আইসিটির মাধ্যমে ব্যবহার করে সংরক্ষণ করা সম্ভব। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির এই প্রক্রিয়াটির নাম হল " টেলিমেডিসিন"।

৩। বিনোদনের ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার

গান শোনা থেকে শুরু করে, বই পড়া, সিনেমা দেখা, কম্পিউটার গেম খেলা পর্যন্ত এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে খেলার মাঠে না গিয়েও ঘরে বসে এখন আমরা অনেক বড় বড় টুর্নামেন্টের খেলা নিখুঁতভাবে উপভোগ করতে পারছি খুব সহজে।

৪। সামাজিক যোগাযোগ বা ব্যক্তিগত যোগাযোগের ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার

আমরা শুধুমাত্র মোবাইল ফোন দিয়েই আজকাল একে অন্যের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করছি।এবং তার সঙ্গে এসএমএস, ইমেইল, চ্যাটিং এমনকি সামাজিক যোগাযোগ যদি বিবেচনা করা হয়, তাহলে বুঝতে পারবো আমাদের যোগাযোগের ব্যবস্থাটা এখন অনেকটাই পরিবর্তন এসেছে।

৫। কৃষি ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার

এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে আমাদের দেশে চাষীরা অনেক সুফল পেতে শুরু করেছে। এতে করে আমাদের রেডিওটি টেলিভিশনে কৃষি নিয়ে অনুষ্ঠান হচ্ছে প্রতিনিয়ত, এবং ইন্টারনেটে কৃষির ওপর ওয়েবসাইট তৈরি হয়েছে অনেক। এমন কি কৃষকেরা মোবাইল ফোনে কৃষি ফল সেন্টারে ফোন করেও কৃষি ফসলের সমস্যা সমাধানের উপায় বের করতে পাচ্ছে খুব সহজে।

৬। বিজ্ঞান ও গবেষণার ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহারটি সবথেকে বেশি হয় এ ক্ষেত্রে। কেননা আইসিটির মাধ্যমে এখন বিজ্ঞানীরা গবেষণায় অনেক জটিল কাজ সহজে পড়তে পারছে। এবং আমাদের দেশের বিজ্ঞানীরা যখন পাটের জিনোম বের করেছিল তখন তারা মূলত এই আইসিটির ব্যবহার করেছিল।

৭। পরিবেশ ও আবহাওয়ার ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করার ফলে অনেক আগে থেকেই ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস পাওয়া যায়। তাছাড়া আমাদের রেডিও টেলিভিশনে উপকূলের মানুষকে সতর্ক করে দেওয়া যাচ্ছে খুব সহজে।

৮। শিল্প ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার

সংস্কৃতি ও শিল্পতেও এখন আইসিটির ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। কারণ এক সময়ে ২ সেকেন্ডের ছবি বা কার্টুন তৈরি করার জন্য ৫২ টি ছবি তৈরি করতে হতো। সেক্ষেত্রে আজকাল তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে সেই পরিশ্রম অধিকাংশই অনেক কমে গেছে। বর্তমানে এখন এমনভাবে এনিমেশন ছবি তৈরি করা হয় যেন এগুলো দেখতে সত্যিকারের মনে হয়ে থাকে।

৯। ব্যাংকের ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার

বর্তমানে এখন যেসব ব্যাংক অনলাইন হয়ে গেছে, সে সকল ব্যাংকের হিসাব দাঁড়িয়ে যেকোনো শাখায় অর্থ প্রদান বা উত্তোলনের সুবিধা পেয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তি যে কোন জায়গা থেকে এটিএম অটোমেটেড টেলার মেশিন থেকে তার হিসাব থেকে ২৪ ঘন্টার যে কোন সময়ে টাকা উত্তোলন করতে পারে। তাছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ব্যাংক লেনদেন কে আরও সহজ করে তোলার জন্য বর্তমানে এখন মোবাইল ব্যাংকিং এর মত উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে।

১০। প্রচার ও গণমাধ্যমের ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার

এখন পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে যে কোন খবর মুহূর্তের মধ্যেই পেয়ে যায় প্রচার ও গণমাধ্যমের কারণে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে গণমাধ্যম ও প্রচার প্রক্রিয়ায় অনেক অদ্ভুত পরিবর্তন এসেছে। বর্তমানে এখন রেডিও টেলিভিশন থেকেও অনলাইন নিউজ এবং লাইভ টিভি চ্যানেল গুলো খুব দ্রুত মানুষের কাছে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তের খবরগুলো খুব সহজে পৌঁছে দিতে পারছে। সে কারণে আমাদের জীবনযাত্রা দিনে দিনে অনেক সহজ হয়ে যাচ্ছে।

শিক্ষা ক্ষেত্রে আইসিটির ভূমিকা কি

আমাদের বাংলাদেশ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অনেক ক্ষেত্রে এগিয়ে গিয়েছে। তাছাড়াও আমাদের দেশের প্রাথমিক থেকে উচ্চতর শিক্ষা ব্যবস্থার সর্ব পর্যায়ে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম চালু হয়ে গেছে ইতিমধ্যে। তাতে করে পড়াশোনার বিষয়বস্তুকে ছবি, অডিও, এনিমেশন ইত্যাদি ব্যবহারে আরো অনেক আকর্ষণীয় করে তুলেছে। এবং তার মাধ্যমে সহজ-বদ্ধ ও জ্ঞাননির্ভর করেও উপস্থাপন করা সম্ভব হচ্ছে খুব সহজে।

আমাদের দেশে প্রাথমিক স্তরের শ্রেণীগুলোতে শিশুদেরকে পড়ালেখার প্রতি আকর্ষণীয় করে তুলতে কার্টুন, চিত্রের মাধ্যমে বর্ণমালা গুলো পরিচয়, অক্ষরগুলো চেনানো ও পড়ানো, এবং তার সঙ্গে সেগুলোর উচ্চারণ, ইংরেজি ও বাংলা বানান, অংক কষা এবং অঙ্কন তাদের রং এর ব্যবহার প্রভৃতি এই ঈশ্বরের লেখাপড়া ও তাদের জন্য বেশ সহায়ক হয়ে উঠেছে। এমন কি কম্পিউটার মাধ্যম ব্যবহার শুরু হয়ে গেছে।

সেজন্য নানা ধরনের সফটওয়্যার এর ব্যবহার চলে এসেছে। এখন প্রায় সবার বাসাতেই কম্পিউটার ইন্টারনেট সুবিধা সহ, প্রায় সন্তানের পড়ালেখায় তার মা-বাবা ও ঘনিষ্ঠ আত্মীয়রা প্রযুক্তিতে শিক্ষকের মতো তাদের সামনে উপযোগী করে তোলে। তাছাড়াও শ্রেণী কক্ষে ডিজিটাল হোয়াইট বোর্ড বা ইলেকট্রনিক চলে এসেছে এর মাধ্যমে প্রযুক্তিটিও কম্পিউটারের মাধ্যমে চলে। সাদা ধরনের বিরাট ভোট গুলো নবপ্রযুক্তি।

ব্যবহারের সময় শ্রেণীকক্ষে বারদানে শিক্ষকের বোর্ডে লেখা গুরুত্বপূর্ণ পাঠ্যবিষয় শিক্ষার্থীরা বুঝতে ও জানতে পারছেন খুব সহজে। তাছাড়াও ক্লাস শেষে শিক্ষার্থীরা প্রেম লাইফ ও অনলাইনের মাধ্যমে তাদের মেলে কপি করে নিতে পারছে। তাছাড়াও তো প্রিন্ট করার সুবিধা আছে। মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের সঙ্গে ডিজিটাল ওয়াইফ বোর্ড যুক্ত করেও ব্যবহার করছে অনেকেই।

এগুলো সবই আধুনিক মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমের উদাহরণ ও ব্যবহার বলতে পারেন। আমাদের বাংলাদেশের শিক্ষকেরা এখন এই সুবিধার হলো লাভ করে বিভিন্ন ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি করতে পারছেন। তাছাড়া তাদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও নির্দেশনা দান কম্পিউটারাইজ হওয়াতে খুব সুবিধা পাচ্ছেন। সে ক্ষেত্রে নিজেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে তাদের শিখন শিক্ষণ প্রক্রিয়াগুলো আপলোড করছেন।

তাতে করে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দূর-দূরান্তের যেকোনো জায়গার ইন্টারনের সংযোগ সুবিধা থাকা ছাত্র-ছাত্রী এমনকি শিক্ষকেরাও উপকরণগুলো জানতে ও পড়তে এবং প্রয়োজনে ডাউনলোড করে নিতে পারছেন। এতে করে পরে জানার যুক্ত করার সুবিধা গুলো হয়েছে। এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে দেশের প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ে পর্যন্ত সব পাঠশালা গুলো প্ল্যাটফর্মে তৈরি করা হয়েছে।

তাছাড়া আছে জাতীয় শিক্ষা কর্ম ও পাট প্রস্তুত বোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (www.netb.gov.bd)। এগুলো সবই বিনামূল্যে, সেজন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে আরো এগিয়ে শিক্ষার্থীরা পাঠ্য বইয়ের ডিজিটাল ভার্সনগুলো কম্পিউটার বা স্মার্ট ফোনে পড়তে পারে। এবং অভিভাবক ও শিক্ষকদেরও এই প্রক্রিয়াতে যখন তখন যুদ্ধ করা সম্ভব হচ্ছে খুব সহজে।

তাছাড়াও শিক্ষা ক্ষেত্রে আইসিটির ভূমিকা বলতে

  • উচ্চ শিক্ষার জন্য প্রস্তুত করা
  • জাতীয় আন্তর্জাতিক সমস্যা সমাধানের উপায় খুঁজে বের করা
  • সামাজিক, ব্যক্তিক, বৌদ্ধিক দক্ষতা অনুযায়ী বিষয়বস্তু উপস্থাপন করাকে বুঝায়
  • দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে সহায়তা করে থাকে
  • আন্তর্জাতিক ও জাতীয় বাজারের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ জনশক্তি করে তুলতে পারা।

শেষ কথা | তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির দশটি ব্যবহার | শিক্ষা ক্ষেত্রে আইসিটির ভূমিকা কি

প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি নিশ্চয়ই এতক্ষণে জেনে গেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির দশটি ব্যবহার এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে আইসিটির ভূমিকা কি তা সম্পর্কে। আশা করি এ পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে আসবে। তাই এই পোস্টটি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। এবং এরকম বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন আর্টিকেল বা ব্লক পোস্ট নিয়মিত পেতে আমাদের সাথেই থাকুন, তাছাড়াও আমরা এই ওয়েবসাইটে প্রযুক্তি বিষয়ক বিভিন্ন পোস্ট বা আটিকের প্রকাশ করে থাকি। আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url