আধুনিক পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণ - আধুনিক পদ্ধতিতে গরু পালন

প্রিয় পাঠক, আধুনিক পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণ বিষয়ে যারা জানতে চাচ্ছেন, তারা এ পোষ্টটি সম্পূর্ণ প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন। কারণ আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে সুন্দরভাবে জানানোর চেষ্টা করেছি আধুনিক পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণ এবং আধুনিক পদ্ধতিতে গরু পালন।
আধুনিক পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণ - আধুনিক পদ্ধতিতে গরু পালন
আধুনিক পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণ ছাড়াও এই পোষ্টের মাধ্যমে গরুর বিষয়ক আরো অনেক তথ্য আপনাকে জানানোর চেষ্টা করব। তাই আপনি যদি গরু বিষয়ক অনেক অজানা তথ্য জানতে চান তাহলে এই পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। আশা করি এই পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে আসবে। তো চলুন দেরি না করে আমরা সকলেই জেনে আসি আধুনিক পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণ বিষয় সম্পর্কে।
পোস্ট সূচীপত্রঃ আধুনিক পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণ - আধুনিক পদ্ধতিতে গরু পালন

    ভূমিকা | আধুনিক পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণ

    বাংলাদেশের গ্রাম অঞ্চলগুলোতে আধুনিক পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। আর আধুনিক পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণের অনেক মানুষ গরু থেকে লাভবান হচ্ছেন। তাই আপনি যদি আধুনিক পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণ করতে চান। তাহলে আমাদের এই পোস্টটি সম্পন্ন করতে থাকুন। আমরা এই পোষ্টির মাঝে আপনাকে সুন্দর ভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেছি যে আপনি কিভাবে আপনার নিজের বাসায় আধুনিক পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণ করতে পারবেন।
    এছাড়াও এ পোস্টের মাধ্যমে আপনি যেগুলো বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন সেগুলো হলোঃ কোন গরু পালনে লাভ বেশি, আধুনিক পদ্ধতিতে গরু পালন, আধুনিক পদ্ধতিতে গরুর খাবার, আধুনিক পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণ এবং দেশি গরু পালন পদ্ধতি। আপনি এ সকল বিষয়গুলো সঠিকভাবে জানার পরে আপনি নিজে নিজেই আপনার বাসায় আধুনিক পদ্ধতিতে গরু লালন পালন করে। অনেকটাই লাভবান হতে পারবেন।

    আপনি যদি গরু পুরুষের লাভবান হতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই আধুনিক পদ্ধতিতে গরু লালন পালন করতে হবে, তবেই আপনি গরু লালন পালন করে অনেক লাভবান হতে পারবেন। এবং আপনি আস্তে আস্তে নিজে নিজেই একটি বড় গরুর আধুনিক খামার আপনার বাসার আশেপাশেই করতে পারবেন। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে এ সকল বিষয়ে আমরা বিস্তারিতভাবে জেনে আসার চেষ্টা করি।

    কোন গরু পালনে লাভ বেশি

    আপনি যদি লাভজনকভাবে গরু পালন করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই উন্নত জাতের গরু পালন করতে হবে। কারণ উন্নত জাতের গরু গুলোর দাম আকাশচুম্বি। আমাদের শরীরের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে দুধ ও মানুষের ভূমিকা অনেক বেশি। এছাড়াও উন্নত জাতের গরুগুলো থেকে অনেক বেশি দুধ পাওয়া যায়।

    এবং এর পাশাপাশি মাংসের উৎপাদন করা যায় অধিক পরিমাণে। বর্তমান সময়ে আমাদের বাংলাদেশেও কিছু উন্নত জাতের গরু পালন করা হচ্ছে। তাছাড়া অনেক দেশের গরু এখন পর্যন্ত আমাদের বাংলাদেশের পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারেন। সেজন্য সেগুলোর ক্রসব্রিড পালন করছে অনেকেই।

    আবার কেউ কেউ অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে নিবিড় পরিচর্যার মাধ্যমে বিদেশি উন্নত জাতের গরু গুলো পালন করছে। এই গরুগুলো পালনে বেশ ভালই মুনাফা পাওয়া যাচ্ছে। উন্নত জাতের গরু গুলোর মধ্যে রয়েছে (যেমনঃ জার্সি, সিন্ধি, হলস্টেইন ফ্রিজিয়ান, শাহীওয়াল, থারপারকার ও ব্রাহমা প্রভৃতি)।

    আধুনিক পদ্ধতিতে গরু পালন

    আমরা সকলেই জানি বাংলাদেশ কৃষি নির্ভরশীল দেশ, সেজন্য আমাদের প্রত্যেককেই কৃষির উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকতে হয়। তাই সকলের উচিত কৃষির ওপর বেশ নজরদারি দেওয়া। সে ক্ষেত্রে গরু লালন পালন করাটিও কৃষির মধ্যে পড়ে। সেজন্য আমাদের সকলকেই গরুর লালন পালন করার দিকে অনেক মনোযোগী হতে হবে। এবং জানতে হবে কি উপায়ে গরু যদি আমরা বুঝতে পারি তাহলে অনেক লাভবান হব বা করতে পারব।

    আমরা যদি গরুর লালন পালন করে লাভবান হতে চাই তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে আধুনিক পদ্ধতিতে গরু পালন করতে হবে। আপনি যদি আধুনিক পদ্ধতিতে গরু লালন পালন করতে পারেন তাহলে আপনি অবশ্যই অনেক লাভবান হবেন। সেজন্য আপনাকে অবশ্যই আধুনিক পদ্ধতিতে গরু পালন করার জন্য একটি সঠিক ধারণা থাকতে হবে। আপনি যদি আধুনিক পদ্ধতিতে গরু পালন করতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমে গরু কিনতে হবে, ভালো জাতের।

    আপনি যদি ভাল জাতের গরু না কিনতে পারেন তাহলে আধুনিক পদ্ধতিতে গরু পালন করলেও আপনি লাভবান হতে পারবেন না। সেজন্য আপনাকে অবশ্যই গরু কেনার দিকে মনোযোগী হতে হবে। তারপর আপনাকে একটি সুন্দর খামার তৈরি করতে হবে গরুগুলো পালন করার জন্য। সেই খামার গুলো যেন অনেক উঁচু হয় এবং সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে।

    যে সকল গরুগুলো আপনি কিনবেন সে সকল গরু গুলোর আগে একটি ভালো ওষুধ ডাক্তারের কাছে দেখাবেন। তারপর গরুর কৃমি থেকে শুরু করে যে কোন সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে, সেই গরু গুলোর উপরে চিকিৎসা করবেন। এছাড়া গরু গুলোকে প্রতিদিন নিয়ম অনুসারে খাবার দেওয়ার চেষ্টা করবেন।

    এবং সব সময় চেষ্টা করবেন গরুগুলোকে কাঁচা ঘাস খাওয়ানোর। সে ক্ষেত্রে আপনি আপনার নিজের জমিতে কাঁচা ঘাসের আবাদ করতে পারেন, গরুগুলোর জন্য।  আর পাশাপাশি গরুগুলো সব সময় যত্ন নেওয়ার চেষ্টা করবেন, এর পাশাপাশি পশু চিকিৎসকের সাথে মাঝেমধ্যেই গরু গুলো বিষয়ে কথা বলবেন। আশা করি আপনি যদি এভাবে গরু পালন করতে পারেন, তবে আপনি অল্প পুজিতে অনেক লাভবান হবেন।

    আধুনিক পদ্ধতিতে গরুর খাবার

    গরু পালন করে লাভবান হওয়ার জন্য অবশ্যই আমাদের সকলকে আধুনিক পদ্ধতিতে গরুর খাবার ব্যবস্থা করতে হবে। বিশেষ করে যারা গরু পালনকারী তারা অবশ্যই জানে গরুর খাবার সম্পর্কে। কিন্তু তারা জানে না আধুনিক পদ্ধতিতে কিভাবে গরুর খাবার দেওয়া উচিত। তাই আপনি যদি গরু পালনকারী হয়ে থাকেন এবং না জানেন কিভাবে আপনি আধুনিক পদ্ধতিতে গরুর খাবার উপস্থাপন করবেন। তবে পোষ্টের এই অংশটুকু আপনার জন্য।

    আপনি গরুকে আধুনিক পদ্ধতিতে কিভাবে খাবার খাওয়াবেন সেগুলো দেখুন।
    • একটি গরুর মোট খাদ্য চাহিদার ৭০ ভাগে রয়েছে খর ঘাস সাইলেজ ইত্যাদি। তন্তু কিংবা ফাইবার জাতীয় খাবার এবং ৩০ ভাগ দানাদার অথবা কনসেন্ট্রেট খাদ্য সরবরাহ করা প্রয়োজন।
    • তন্তু কিংবা ফাইবার জাতীয় খাবার গুলো খাওয়ানোর সময়, আপনি খেয়াল রাখবেন যেন কাঁচা ঘাস অথবা সাইলেজের পরিমাণ যেন ৪৫ থেকে ৫৫ ভাগ হয়।
    • সব সময় খেয়াল রাখবেন যেন, কনসেন্ট্রেট কিংবা দানাদার খাদ্য হিসাবে যেকোনো একটি খাবার ব্যবহার না হয়। এখানে অনেক গরু পালনকারীরা ভুল করে থাকে।
    • একটি গরুর বয়স থেকে শুরু করে গরুর জাত ও শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করার পর সুষম খাদ্য তৈরি করে নিতে হবে। গরুর এই দানাদার খাদ্যগুলোকে বিভিন্ন ধরনের নিয়মে সরবরাহ করতে হবে।
    • একটি মোট চাহিদার ৪০% ফরমানন্টে কর্ণ এবং এর সাথে ৬০% দানাদার খাবার নিশ্চিত করে খেতে দিতে হবে গরুকে।
    • গরুর দানাদার খাদ্যগুলোকে তুলে আকার সরবরাহ করতে হবে।
    • গরুর দানাদার খাদ্যগুলো শুষ্ক কিংবা নরম অবস্থায় সরবরাহ করলে সবথেকে ভালো হয়। কারণ এতে করে গরুর হজম প্রক্রিয়া সব সময় ভালো থাকে।
    • গরুগুলোর দানাদার খাদ্যগুলো খাওয়া হয়ে গেলে প্রায় ৩৫ থেকে ৪৫ মিনিট অপেক্ষা করার পর গরুগুলোর সামনে নির্বিচ্ছিন্ন পরিষ্কার পানি খেতে দিতে হবে।
    • আপনি কখনোই আপনার গরুগুলোকে তার চাহিদার চেয়ে অতিরিক্ত খাদ্য খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন না। এতে করে গরুর অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
    • গরু গুলোকে কখনোই আপনি পচা খাবার বাসি পানি দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। এতে করেও গরুর অনেক সমস্যা হয়ে থাকে।
    • অপ্রচলিত খাবার অথবা মৌসুমী কিছু খাবারের মধ্যে যেমন, রয়েছে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি, অনেক প্রকারের আলু, যে কোন ফলের খোসা, এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ডাউল কিংবা এর অংশ গুলো খুবই সাবধানতার সহিত অন্য খাবারের সঙ্গে মিশ্রিত করে গরুকে অভ্যস্ত করতে হবে।
    • একটি গরুর সব সময় চার ইঞ্চি ওপর থেকে খাবার খেতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করে থাকে, এছাড়াও গরুটির শারীরিক গঠনের সঙ্গে উৎকৃষ্ট খাদ্য প্রদানের পদ্ধতি। এভাবে যদি আপনি খাবার গ্রুপে খাওয়াতে পারেন তাহলে গরুর হজম ভালোভাবে হবে। এবং এর পাশাপাশি সর্বোপরি উৎপাদন ১৫% পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে।
    • গরুর দানাদার খাদ্যের সঙ্গে পরিমাণ অনুযায়ী মিনারেল এবং ভিটামিন মিশ্রিত করতে হবে।

    আধুনিক পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণ

    যখনই কোরবানির ঈদ আসে তখনই ঈদ উপলক্ষে গরু মোটাতাজাকরণ বা হৃষ্টপুষ্ট করণ অনেকেই শুরু করেন। আপনাকে গরুর হস্ত পোষ্ট করার জন্য কয়েকটি আধুনিক পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। তবেই আপনি আপনার গরু মোটাতাজাকরণে সফলতা পাবেন। তাই আপনারা যারা আধুনিক পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণ করতে চাচ্ছেন, তারা পোস্টটির এই অংশটুকু মনোযোগ দিয়ে পড়তে থাকুন।

    সঠিক গরু নির্বাচন ও ক্রয়

    জাত হতে হবে দেশি উন্নত বা শংকর জাত। গরুর বয়স হতে হবে ৪ দাত আলা। এবং গরুর মাথা মোটা ঘাড় চওড়া কপাল পোস্ত এবং চামড়া ধীরে ঢালা এছাড়া গায়ের রং গাঢ় উজ্জ্বল, এবং দুধে আলতা হলে ভালো হয়।

    কৃমিমুক্তকরণ

    আপনি যখন গরু কিনে আনবেন তখন সাত দিন পর্যন্ত তাকে পৃথক স্থানে রাখার চেষ্টা করবেন। তারপর গোবর পরীক্ষা করে নিবেন। কৃমি মুক্ত হয়ে গেলে লিভার টনিক ও মাল্টিভিটামিন দিতে হবে গরুটিকে। টিকা প্রদান, কৃমি মুক্তকরনের পর যত দ্রুত পারবেন তড়কা, বাদলা ও ক্ষুরা রোগের টিকা দিয়ে নিবেন।

    UMS তৈরীর উপকরণ ও তৈরি পদ্ধতি

    আপনাকে মিনিমাম ১০ কেজি খর ছোট করে কেটে পাকা মেঝেতে অথবা একটি পলিথিন পেপারের উপরে বিছিয়ে রাখতে হবে। তারপর দুই কেজির মতো চিটে গুঁড়ো পরিমাণ মতো পানিতে একটি পাত্রে ভালোভাবে গুলিয়ে নিতে হবে। এই প্রাণীর ঘরের উপর কয়েক স্তরে ছিটিয়ে দিতে হবে। শুষ্ক খড় বা আউর ১০ কেজি, চিটেগুড়ো ২ কেজি, ইউরিয়া ৩০০ গ্রাম, পানি ৬ থেকে ৭ লিটার।

    দানাদার খাদ্য মিশ্রণ ১০ কেজি

    (গমের ভুষি আড়াই কেজি), (চালের গুঁড়া আড়াই কেজি), (ডালের ভুষি আড়াই কেজি), (তিলের খইল এক কেজি), (লাল চিটে গুড়ো এক কেজি), (ডিসিপি আড়াইশো গ্রাম), (লবণ সাড়ে সাতশ গ্রাম)। ১০০ কেজি ওজনের গরুর খাদ্য তালিকা হিসেবে যেমনঃ (পাঁচ থেকে ছয় কেজি সবুজ ঘাস), (দৈনিক দানাদার খাদ্য এক কেজি), (UMS তিন থেকে চার কেজি)।

    গরুর বাসস্থান

    আপনি যেখানে গরু গুলো রাখবেন সেখানকার বাসস্থান উঁচু ও শুকনো জায়গা হলে ভালো হয়। এবং গরুর ঘরে যথেষ্ট পরিমাণে আলো থাকতে হবে। আর সব সময় মেঝে শুকনো ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে রাখতে হবে। আপনি যদি মেঝেতে ম্যাট রাখতে পারেন তাহলে খুবই ভালো হয়। গরুর ঘরের চালের উচ্চতা মেঝে থেকে অন্তত সাত ফুট উঁচু হতে হবে।

    গরুর খাদ্য ও পানি

    গরুকে সময় মত টাটকা ও পরিষ্কার খাদ্য এবং পানি দিতে হবে। আপনি যদি নিয়মিত একই সময়ে পানীয় খাবার দিতে পারেন তাহলে সেটি গরুর জন্য অনেক ভালো হয়।প্রতিদিন ওজন গ্রহন নির্দিষ্ট সময় অন্তত ওজন নির্ণয় করার পর মাংস বৃদ্ধির হার পরীক্ষা করে নিতে হবে। একটি গরুর আনুমানিক ওজন নির্ণয় সূত্র হলোঃ একটি গরুর ওজন (কেজি) = দৈর্ঘ্য (ইঞ্চি)*(গুণ) বুকের বের (ইঞ্চি)*(গুণ) বুকের বেড় (ইঞ্চি) ভাগ ৬৬০।

    একটি গরু হৃষ্টপুষ্ট করণে বর্জনীয়

    স্টেরয়েড, নির্দিষ্ট ঘোষিত এন্টিবায়োটিক হরমোন ইত্যাদি ক্ষতিকর উপাদনের ব্যবহার হৃষ্টপুষ্ট করণে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এছাড়াও এটি আইনত দন্ডনীয়। গরু বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে লালন-পালন এবং নিরাপদ ও পুষ্টি মানসম্পন্ন সুষম খাদ্য দিয়ে গরুর করুন করতে হবে আমাদের সকলকেই। সেজন্য আপনাকে আপনার নিকটস্থ উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে যোগাযোগ করে তাদের কাছ থেকে পরামর্শ নেয়ার চেষ্টা করতে হবে।

    দেশি গরু পালন পদ্ধতি

    দেশি গরু পালনে আপনাকে প্রথমে চার থেকে পাঁচটি দেশি গাভী কিনতে হবে যেগুলো তিন থেকে চার লিটার দুধ দেয় ও তাদের ক্রয় মূল্য হবে সর্বোচ্চ ৩৫ থেকে ৪৫ হাজারের মধ্যে। এবং গাভী গুলো ২/৪/৬ দাঁত এই বয়সের হওয়া প্রয়োজন। এছাড়াও একটি সাদামাটা কিন্তু মজবুত গোয়াল ঘর অথবা শেড তৈরি করতে হবে ৫০,০০০ টাকার মধ্যে। আপনি এই টাকায় চার থেকে পাঁচটা দেশি গাভী রাখা যায় এমন শেড অনায়াসেই তৈরি করতে পারবেন।

    আপনার দেশি গাভী গুলো যেন বছর দিয়ানো হয়ে থাকে সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখার চেষ্টা করবেন। এ সকল জাতীয় গাভীর প্রতিদিন সর্বোচ্চ ২ কেজি দানাদার খাদ্য লাগতে পারে। কিন্তু কোনোটা হয়তো একটু বেশি খাবে আবার কোনোটা হয়তো একটু কম খাবে। এছাড়াও এদের পর্যাপ্ত ঘাস এবং খড় দিতে হবে, যেগুলো শ্রম আর কৃষিজ ফসল থেকে পাওয়া যাবে, অথবা আপনি আপনার এক বিঘা জমিতে উন্নত জাতের ঘাস চাষ করতে পারেন দেশি গরু পালনের জন্য।

    শেষ কথা | আধুনিক পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণ

    যেহেতু আমরা সকলে গরুর লালন পালন করি সে ও তো আমাদের উক্ত বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে রাখা উচিত। আমরা যেহেতু এই পোস্টটির মাধ্যমে জানতে পেরেছি, আধুনিক পদ্ধতিতে গরু পালন, ফোন করবো পালনে লাভ বেশি, আধুনিক পদ্ধতিতে গরুর খাবার, আধুনিক পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণ, আধুনিক পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণ ও চিকিৎসা, দেশি গরু পালন পদ্ধতি। আশা করি এ পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি ইতিমধ্যে জেনে গেছেন এ সকল বিষয় সম্পর্কে।
    প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করি এই পোস্টটি আপনার কাছে অনেক ভালো লেগেছে এবং আপনার অনেক উপকারে আসবে। তাই এ পোস্টটি যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আর নিয়মিত নতুন নতুন ব্লক পোস্ট বা আর্টিকেল পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। আসসালামু আলাইকুম।

    এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

    পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
    এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

    সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

    comment url