রাতে কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত - শিশুদের কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত

দুধ খাওয়ার উপযুক্ত সময়আমাদের দেহে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য পর্যাপ্ত ঘুমের কোন বিকল্প নেই।এবং অনেকটা কম ঘুমানোর মতোই বেশি ঘুমানো টাও স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর। আবার শৈশবে, কৈশোরে তারুণ্যে, যৌবনে এবং বৃদ্ধ বয়সে ঘুমের চাহিদা ও আলাদা আলাদা হয়ে থাকে।যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে বয়স ভিত্তিক ঘুমের সময়ের এক নির্দেশনা অনুযায়ী প্রকাশ করেছে। গার্ডিয়ান অবলম্বনে বয়স ভিত্তিক ঘুমের সময়ের পরামর্শ তুলে ধরা হল।
রাতে কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত - শিশুদের কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত
প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতি রাতে ছয় থেকে নয় ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন হয়ে থাকে। শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য ১২ ঘন্টা ঘুম অত্যন্ত প্রয়োজন। এবং কিছু মধ্য বয়সী এবং বৃদ্ধদের জন্য একটানা ঘুমিয়ে থাকা এবং দীর্ঘক্ষণ ঘুমানো খুবই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। এজন্য বৃদ্ধ মানুষকে মানসিক সুস্থতার সম্মুখীন হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
পোস্ট সূচিপত্রঃ

মানুষ ঘুমায় কেন

মানবদেহে ঘুম মানে সাময়িকভাবে হারিয়ে যাওয়া চেতনার লক্ষণ। পৃথিবীর সব প্রাণীর ক্ষেত্রেই ঘুম একটি জরুরী প্রক্রিয়া হিসাবে কাজ করে। যা কিনা মানুষের ক্ষেত্রে সঠিক শ্বাসক্রিয়া, রক্ত সঞ্চালন, শারীরিকবৃদ্ধ ও সংক্রমণ রোধ করতে অনেকটাই সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, আমাদের শরীরের ৫ শতাংশ বেশি রক্ত মস্তিষ্কের দিকে সঞ্চালিত হয়।

যখন আমরা ঘুমিয়ে পড়ি তখন আমাদের মস্তিষ্কের বিভিন্ন কেন্দ্র একটানা কাজ করতে থাকে। নিদ্রা আর জাগরণের প্রক্রিয়াটি সঠিকভাবে চালু রাখার জন্য। প্রতিদিন ২৪ ঘন্টায় আমরা ১৬ ঘণ্টা জেগে কাটায় আর আট ঘন্টা থাকি ঘুমিয়ে। আর তার জন্য যে কেন্দ্র তীর ভূমিকা সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য, সেটি হলো-আমাদের মস্তিষ্কের নিচের দিকে থাকা ছোট বাদামের মতো একটি অংশ।

যার নাম হলো হাইপোথ্যালামাস। এবং আমরা জেগে থাকবো নাকি ঘুমিয়ে পড়বো, তার অনেকটাই নির্ভর করে হাইপোথ্যালামাস এবং ব্রেন সিস্টেম নামক দুটি বিশেষ অংশের উপরে। মস্তিষ্কে যে দুটি অংশের কথা আপনাদের সামনে বললাম, তার কিছু নিউরন বা স্নায়ুকোষগুলি একদম এই কাজটার জন্য দায়ী।এদের দুই ভাগে ভাগ করা যায়।

এর মধ্যে যে সোনায় স্নায়ুকোষগুলিই উত্তেজিত থাকবে আমরা একটানা ১৬ ঘণ্টা জেগে থাকতে পারি।তাছাড়া তারায় তখন কর্মগত ঘুমানোর জন্য দায়ী, স্নায়ুকোষগুলিকে দাবিয়ে রাখতে সহায়তা করে। বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাস আর ব্রেন সিস্টেম এর বিশেষ কিছু স্নায়ুকোষ উত্তেজনার সঙ্কেত মস্তিষ্কের হায়ার সেন্টার

বা কর্টেক্সে মস্তিষ্কের ওপরের অংশটিকে পাঠাতে থাকে যতক্ষণ আমরা জেগে থাকি বিশেষ করে রাসায়নিক সংবাদদাতা বা কেমিক্যাল নিউর ট্রান্সমিটার এর মাধ্যমে। অনেক আগে বিজ্ঞানীরা মনে পড়তেন, মানুষ ঘুমায় শরীরের ক্লান্তি দূর করার জন্য। কিন্তু ক্লান্তি দূর করার জন্য ঘুম নাকি খুব একটা কাজের হয় না।

কমপক্ষে ৮ ঘন্টা ঘুমালে শরীরের যে পরিমাণ ক্যালরি জমা হবে, সেই ক্যালোরি নাকি একটা পোস্ট খেয়েই পাওয়া যায়। ঘুমের স্তর মূলত দুই প্রকার হয়ে থাকে যেমন- র্যাপিড আই মুভমেন্ট স্তর, আর নন-র্যাপিড আই মুভমেন্ট স্তর।

রাতে কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত

একই সময়ে, NHS সুপারিশ করে যে প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতি রাতে কত ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন সেক্ষেত্রে প্রতি রাতে 6 থেকে নয় ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন হয়। শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য ১২ ঘন্টা ঘুম অত্যন্ত প্রয়োজন। এবং মধ্যবয়সী বা বৃদ্ধদের জন্য একটানা ঘুমিয়ে থাকা এবং দীর্ঘক্ষণ ঘুমানো খুব কঠিন হয়ে যায়।

এজন্য বৃদ্ধরা মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।শারীরিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন 6 ঘন্টার কম ঘুমানো স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর।আবার ৪ ঘণ্টার বেশি ঘুমানো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। ঘুমানোর সব থেকে সঠিক সময় হল রাত নয়টা থেকে ভোর চারটা পর্যন্ত।

আমরা এই সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে এসে রাত জাগা অভ্যাসটি বেশি গড়ে তুলেছি, তাই আমাদের এখন থেকেই সতর্ক হয়ে যেতে হবে। যদি আমরা স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চাই মানসিকভাবে ভালো থাকতে চাই, তবে আমাদের অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমের প্রয়োজন আছে।

একটি মানুষ যদি প্রতি রাত জেগে থাকে এবং যদি ঘুম পূরণ না হয়। তাহলে তার শারীরিক সমস্যা অনেক দেখা দিবে। যেমন চোখের ক্ষতি, স্বাস্থ্যের ক্ষতি, তাড়াতাড়ি চুল পাকার সমস্যা, মানসিক সমস্যা এবং দুশ্চিন্তা ইত্যাদি। তাই আমাদের সব সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে। এবং রাতে ঘুমানোর আগে অবশ্যই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকতে হবে। সব থেকে বেশি ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় আমাদের প্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া। তাই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সাবধান।

দুপুরে কতক্ষণ ঘুমানো উচিত

আমাদের জীবনের দৈনন্দিন কাজের জন্য, আমরা কখনো ঘুমানোর সুযোগটা পাই না, তাই আমাদের ঘুমের ঘাটতি থেকে যায়। সে ক্ষেত্রে আমরা অল্প কিছু কাজ করার মাধ্যমে বেশি ক্লান্ত অনুভব করি। এবং মাথা ব্যথার সমস্যা দেখা দেয়। আপনি যদি দুপুরে ৩০ মিনিট ঘুম দিতে পারেন। এরপরও যদি দেখেন ঘুমের অনুভূতি হচ্ছে আপনার মধ্যে,

সেক্ষেত্রে আপনি পুরো ৯০ মিনিট ঘুমাতে পারেন। কারণ ঘুমের অভাবে আপনি আগের চেয়ে বেশি ক্লান্ত হয়ে যেতে পারেন ও মাথাব্যথা অনুভব করতে পারেন। কিন্তু ৯০ মিনিট ঘুমালে আপনি ক্লান্ত বোর্ড থেকে বিরত থাকবেন এবং আপনি আপনার কাজ আরো ভালোভাবে সুন্দরভাবে করতে পারবেন।

দুপুরের ঘুমানোর অভ্যাস স্বাস্থ্যের জন্য স্বাস্থ্যের জন্য ভালো বলে মনে করা হয়। কিন্তু খুব কম সংখ্যক লোকই জানেন যে দুপুরে ঘুমানোর কিছু উপকারিতা রয়েছে। এটি বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে পেন্সিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহকারী অধ্যাপক দুপুরের ঘুমকে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বলে বর্ণনা করেছেন।

তিনি বলেছেন, দুপুরে ঘুমালে কাজ আরো আনন্দদায়ক হয়ে থাকে। এবং মন-মানসিকতা বা মেজাজ অনেকটাই ঠান্ডা থাকে। গবেষক আরো বলেন, বিশ্বাস করেন যে এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও শক্তিশালী করে তোলে। এ ছাড়া হৃদয়ে রোগের ঝুঁকিও অনেকটা কমে যায়। দুপুরে ঘুমানো আপনার জন্য রাতে ঘুমানো কিন্তু কঠিন করে তুলতে পারে।

কোন কোন সময় ঘুমানো উচিত নয়

আমাদের জীবনে ঘুমের চেয়ে পরিশ্রমকে প্রাধান্য দেয়ায় সাফল্যের চাবিকাঠি। আপনি যদি প্রতিদিন সকাল দশটার সময় ঘুম থেকে ওঠেন তাহলে আপনার স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর। তাই প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস গড়ে তুলুন। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর অবশ্যই আপনি ব্যায়াম করুন। ব্যায়াম আপনার শরীর ও মনকে সারাদিনের কাজের জন্য সুন্দরভাবে তৈরি করে দিবে।

তাই যদি আপনার ব্যায়াম করার অভ্যাস না থাকে, তাহলে আজ থেকে ব্যায়াম করার অভ্যাস আপনি গড়ে তুলুন। ঘুম আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাই বলে সেটি যদি আমরা এমন ভাবে ব্যবহার করি একটা সময় গিয়ে দেখা যাবে ঘুম আমাদের জন্য ক্ষতিকারক হয়ে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যারা ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১২ ঘন্টা ঘুমিয়ে কাটান তাদের সাবধান হওয়া উচিত।

কারণ ঘুমের সময় আমাদের শরীরে কোন মুভমেন্ট হয় না। এই অবস্থায় শরীর বেশি সময় থাকার কারণে শরীরের মেয়েদের বা চর্বির পরিমাণ বাড়তে শুরু করে। রাতে নিরবচ্ছিন্ন ঘুমের পাশাপাশি দিনের বেলা তো যদি ঘুমের অভ্যাস থাকে তাতে শরীরে এক বিরূপ প্রভাব পড়ে। এতে ঘুমের পরিমাণও বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

আর বেশি পরিমাণ ঘুমের কারণে আমাদের যেসব রোগের ঝুঁকি রয়েছে সেগুলো হল ডায়াবেটিস, হার্ট অ্যাটাক, স্থূলতা, কোষ্ঠকাঠিন্য, এবং ব্যাক পেইন ইত্যাদি। বিশেষ করে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন দিনের বেলায় ঘুমের অভ্যাস বাদ দেওয়ার জন্য। তবে কাজের গতি বৃদ্ধিতে দশ মিনিটের হালকা বিশ্রাম নেওয়া যেতে পারে বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা।

শিশুদের কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত

প্রতিটি শিশুই আলাদা হয়। তাদের ঘুমও আলাদা হয়, এবং খাওয়ার অভ্যাস ও আলাদা হয়। অনেক শিশু আছে রাতে ঘুমায় না, আবার ৫ ঘন্টা টানা ঘুমে রাত কাভার করে দেয়। তাই শিশুদের ২৪ ঘন্টায় কত ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন প্রথম থেকেই এই বিষয়গুলো জানা থাকলে সুবিধা হয় সবার। কারণ, নবজাতক একটু ঘুমালে নতুন হওয়া মায়েরও বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়।

মানসিক ও শারীরিকভাবে বেড়ে ওঠার জন্য শিশুদের দরকার পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম। তবে প্রথম তিন মাস খিদে, ডায়াপার বদলানো কিংবা শারীরিক কোন অসুবিধার কারণে একনাগারে অনেক কিছুই ঘুমায় না। কিছুক্ষণ পর পরই ঘুম ভেঙ্গে যায়। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে, তিন মাস পর থেকে শিশুদের জন্য একটা নির্দিষ্ট ঘুমের সময় ঠিক করে নেওয়া ভালো। কাজটি অবশ্যই কষ্টসাধ্য।

কিন্তু একবার যদি শিশুর ঘুমের সময় ঠিক করে নেওয়া যায়, তাহলে সেটা আপনার জন্য আনন্দের সংবাদ হয়ে যাবে। সাধারণত দিনের মধ্যে একটা সময় থাকে, যখন আপনার শিশু টানা চার পাঁচ ঘন্টা ঘুমাবে। কিন্তু সব শিশুই যে ঘুমাবে বিষয়টি আসলে তা নয়। শিশুদের ঘুম পাড়ানোর কায়দা ভিন্ন ভিন্ন থাকে। প্রথম কয়েকটা দিন একটু ধৈর্য ধরে খেয়াল করলে বুঝে যাবেন, আপনার শিশু কি চাইছে। প্রথম কয়েকটা দিন শিশুকে আরাম বা স্বস্তি দেওয়ার চেষ্টা করুন।

বাচ্চার জন্য একটি রুটিন করার চেষ্টা করতে পারেন। ঘুমের জন্য নির্দিষ্ট সময়ের আগে গোসল করাতে পারেন, এবং পাল্টে দিতে পারেন গায়ের পোশাক, আচড়ে দিতে পারেন চুল, যতটা পারেন ঘরের আলো কমিয়ে দিন। ঘুমের আগে পরপর কয়েক কাজগুলো করলে সেই বুঝতে পারবে এখন ঘুমের সময় হয়েছে। সাধারণত ৬ মাস পর থেকে শিশুরা রাতের বেলায় কিছুটা সময় ধরে ঘুমায়। রাতে বুকের দুধ খাইয়ে ঘুম পাড়ানোর অভ্যাস থাকলে সেটা এই সময়ে ছেড়ে দেওয়া ভালো।

নিচে শিশুদের ঘুমের তালিকা দেওয়া হল।

বয়স

দিনের বেলায় ঘুম 

রাতের বেলায় ঘুম

সদ্য নবজাতক

৮ ঘন্টা ঘুমানো দরকার

৮ ঘন্টা ৩০ মিনিট

১-৩ মাসের শিশু

৭ ঘণ্টার ঘুম(৩বার)

৮-৯ ঘন্টার ঘুম

৩-৬ মাসের শিশু

৪-৫ ঘন্টা ঘুম(৩বার)

১০-১১ ঘন্টা

৬-৯ মাসের শিশু

৩ ঘন্টা(৩বার)

১১ ঘন্টা

৯-১২ মাসের শিশু

২ ঘন্টা ৪৫ মিনিট(২বার)

১১ ঘণ্টা

১ বছরের শিশু

২ ঘন্টা ৩০ মিনিট 

১১ ঘন্টা

৪ ঘন্টা ঘুম কি যথেষ্ট

কখনোই না, কারণ আমাদের স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে ছয় থেকে আট ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন।সেখানে চার থেকে পাঁচ ঘন্টা ঘুমালে মাথাব্যথা, চোখ ব্যথা, হার্টের সমস্যা ইত্যাদি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যদি আপনার কম পরিমাণে ক্রিয়েটিভ কাজ করার দরকার হয় তাহলে চার থেকে পাঁচ ঘন্টা ঘুমালে ঠিক আছে, কিন্তু এর কম না।

চার ঘন্টা নিয়মিত ঘুমালে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাবে। হার্টের প্রবলেম দেখা দিতে পারে। মানসিক চাপ বাড়বে, এবং শরীর দুর্বল হয়ে যাবে। তাছাড়া রোগে বাসা বাঁধার, ক্যান্সার পর্যন্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই আপনাকে প্রত্যেকদিন কমপক্ষে পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টা ঘুমাতে হবে । ব্যাপারটা প্রয়োজনীয়তার ওপর নির্ভরশীল,আমাদের দেশে ইন্টারমিডিয়েট পর্যন্ত স্টুডেন্টদের সাত ঘন্টা ঘুম অত্যন্ত জরুরী।

আপনি যদি টেকনিক্যাল লাইনে অথবা ক্রিয়েটিভ লাইনে কাজ করেন, সেক্ষেত্রে আপনার মাথা কাটাতে হবে বেশি এবং ঘুম যদি ঠিকমতো না হয় তাহলে ব্রেন ঠিকমতো কাজ করবে না, আমাদের ব্রেনের ram এর পরিমাণ কম কিন্তু rom এর পরিমাণ বেশি থাকায়, দরকার মত ভুল যদি না হয় তাহলে র‍্যাম এর ইনফরমেশন রুমে সেভ না হয়ে ডিলিট হয়ে যায়।

সমস্ত ইনফরমেশন ঠিকভাবে সেভ করার জন্য এবং ব্রেনের ওয়ারিং ঠিক করার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ কাজ এর জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ ঘুম জরুরী দেহে। তাই আমাদের কখনোই ক্রিয়েটিভ কাজ ছাড়া চার ঘন্টা ঘুমানো যাবে না। এটা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এবং আয়ু কমে যেতে পারে।

৬ ঘন্টা ঘুম কি যথেষ্ট

বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত আছে যে ১৮ থেকে ৬৪ বছর বয়সী মানুষের রাত্রে সাত থেকে নয় ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন, তবে কারো কারো নিয়মিত ৬ ঘন্টা ঘুমেও সব ঠিকঠাক থাকতে পারে।তাছাড়া ৬৫ বছরের চেয়ে বেশি বয়সীদের জন্য ঘুমানো প্রয়োজন ছাদ থেকে আট ঘন্টা পর্যন্ত।কিন্তু আমাদের দেশে অনেকেই দিনের বেলায় ভাত ঘুম দিয়ে রাতে নিয়মিত পাঁচ ঘন্টাতেই দিব্যি ভালো থাকতে পারে।

যদিও কিছু লোক আমাদের দেশে আছে যারা নিয়মিত স্বল্প সময়ের ঘুমে কাজ করে, সেক্ষেত্রে গবেষণায় বেশিরভাগই সম্পন্ন হয় যে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য কয় ঘন্টা ঘুম যথেষ্ট নয়।বিশেষজ্ঞরা গবেষণা করে সুপারিশ করেছেন যে বেশিরভাগ প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতি রাতে কমপক্ষে সাত ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন আছে, স্বাস্থ্যকে ভালো রাখার জন্য।

৬ ঘন্টার কম সময় ঘুমালে শরীরের একাধিক ক্ষতি হয়ে থাকে। আর এই পরিস্থিতির দীর্ঘদিন চলতে থাকলে একসময়ে তা মানুষের আয় এর ওপর প্রভাব ফেলে। একাধিক গবেষণায় বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে ছয় ঘন্টা বা তার কম সময় ঘুমালে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ওবেসিটি এবং কোলেস্টেরল বৃদ্ধির মত বড় বড় রোগের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।

আমাদের দেশে বেশিরভাগ লোকের জন্য, প্রতি রাতে চার ঘন্টা ঘুম থেকে ওঠার জন্য যথেষ্ট নয়, বিশ্রাম এবং মানসিকভাবে সতর্ক বোধ করতে, তারা যতই ভালো ঘুমান না কেন। একটি সাধারন কল্পনা কাহিনী রয়েছে যে আপনি দীর্ঘস্থায়ীভাবে সীমাবদ্ধ ঘুমের সাথে ঢাকাইয়া নিতে পারেন, তবে এমন কোনো প্রমাণ নেই যে শরীর কার্যকরভাবে ঘুমের বঞ্চনার সাথে খাপ খেয়ে যায়।

শেষ কথা | রাতে কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত | শিশুদের কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত

প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি যদি এই পোস্টটি সুন্দর ভাবে পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনি ঘুমের বিষয়ের যে কোন প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছেন। এমন নতুন নতুন ব্লগ পোস্ট নিয়মিত পাবার জন্য, আমাদের সাথেই থাকুন। আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url