দাঁতের ব্যাকটেরিয়া দূর করার প্রাকৃতিক উপায় - দাঁত ফাঁকা দূর করার ঘরোয়া উপায়
প্রিয় পাঠক, আপনি নিশ্চয়ই জানতে চাচ্ছেন দাঁতের ব্যাকটেরিয়া দূর করার
প্রাকৃতিক উপায়ে এবং দাঁত ফাঁকা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে। তাহলে বন্ধু
আপনি সঠিক জায়গাতেই এসেছেন কারণ আমরা এখন আপনার সামনে আলোচনা করব দাঁতের
ব্যাকটেরিয়া দূর করার প্রাকৃতিক উপায়ে এবং দাঁত ফাঁকা দূর করার ঘরোয়া উপায়
সম্পর্কে। আপনি যদি এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়েন
তাহলে আপনি দাঁতের ব্যাকটেরিয়া দূর করার প্রাকৃতিক উপায় এবং দাঁত ফাঁকা দূর
করার ঘরোয়া উপায় বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন।
কেননা আমাদের সুন্দর ধবধবে ঝকঝকে সাদা দাঁতের হাসির কোনও তুলনায় হয় না। তাই
আমাদের এই হাসিকে রক্ষা করার জন্য দায়িত্ব শুধুমাত্র আমাদেরই। তাই দাঁতের সাদাটে
ভাব যেন চলে না যায় সেদিকে আমাদের সুন্দরভাবে মনোযোগ দিতে হবে। আর দাঁত হলদেটে
যদি হয়ে গেলে সেটি পরিষ্কার করুন সঠিক উপায়ে বা ঘরোয়া প্রাকৃতিক উপায়ে। তাই
আমরা এই আর্টিকেল জুড়ে রেখেছি আপনাদের দাঁতের যে কোন সমস্যা সমাধানের জন্য। এই
আর্টিকেলটি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়লে দাঁতের যে কোন সমস্যা আপনি নিজে নিজেই দূর
করতে পারবেন। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা ঝটপট জেনে আসার চেষ্টা করি দাঁতের
ব্যাকটেরিয়া দূর করার প্রাকৃতিক উপায় এবং দাঁত ফাঁকা দূর করার ঘরোয়া উপায়।
পোস্ট সূচীপত্রঃ দাঁতের ব্যাকটেরিয়া দূর করার প্রাকৃতিক উপায়
ভূমিকা । দাঁত শক্ত রাখতে কি করা প্রয়োজন
আপনি যদি একটু সচেতন হন তবে কিছু বিষয় নিয়মিত চর্চার মধ্য দিয়ে অভ্যাসে পরিণত
করতে পারলে সারা জীবন সুস্থ সবল দাঁতের সুন্দর হাসি হাসতে পারবেন আপনি। সবার
সামনে নিজেকে উপস্থাপন করতে। বা নিজেকে সুন্দর দেখাতে একমাত্র দাঁতে আমাদের
সহযোগিতা করে থাকে। কারণ আমরা যখনই সামনের কোন মানুষের সাথে কথা বলি তখন আমাদের
সর্বপ্রথম দাঁতগুলো সামনে বেরিয়ে আসে।
আপনার দাঁত যদি সুন্দর থাকে তাহলে সামনের মানুষ আপনার সাথে কথা বলতে স্বাচ্ছন্ন
বোধ করে থাকে। আমাদের দাঁত সুন্দর করে রাখতে বা সুন্দর দেখাতে আমরা নিজেরাই যদি
একটুও সচেতন হই তাহলে অবশ্যই আমাদের দাঁত সারাদিন জীবনের জন্য ঝকঝকে সুন্দর
দেখাবে এবং নিজের সুন্দর অনুভূতি গুলো দাঁতের মাধ্যমে প্রকাশ পাবে। এটা আপনার
সুস্বাস্থ্যের পরিচয়।
দাঁত শক্ত রাখতে কি করা প্রয়োজন
দাঁত শক্ত রাখতে হলে আপনাকে নিয়মিত খাবারের পর পানি দিয়ে মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার
করে নিতে হবে। এবং আপনাকে চেষ্টা করতে হবে দুই বেলা ব্রাশ করার। কারণ এতে করে
ব্যাকটেরিয়া ও সংক্রমণ থেকে আপনি অনেকটাই মুক্তি পাবেন এবং আপনার দাঁত শক্ত ও
সবল রাখতে সহযোগিতা করবে। তাছাড়া আপনার ব্রাজিল ভক্ত জাতীয় ব্রাশ হয়ে থাকে
তাহলে সেটিকে আপনি ত্যাগ করুন।
কারণ একটি শক্ত ব্রাশের মাধ্যমে আপনার দাঁতের অনেক ক্ষতি হতে পারে। তাই যতটুকু
পারেন নরম ব্রাশ ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। আপনি নিয়মিত প্রয়োজনমত পানি পান
করার অভ্যাস গড়ে তুলুন এতে করে মুখ থেকে খাদ্য কণা ও বিষাক্ত পদার্থ বের হয়ে
যাবে। এবং আপনার দাঁত মজবুত থাকবে। যতটুক পারেন আপনি নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার
গ্রহণ করুন। আপনি যদি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খেতে পারেন বা খাবারে
রাখতে পারেন।
তাহলে অবশ্যই আপনার দাঁত শক্ত এবং মজবুত থাকবে। এত কিছুর পরেও যদি আপনার দাঁতে
সমস্যাগুলো দূর না হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে আপনাকে। সে
ক্ষেত্রে যদি স্কেলিং এর প্রয়োজন হয়, তাহলে স্কেলিং করে নিতে হবে আপনার দাঁতের।
স্কেলিং এর পাশাপাশি কিছু ওষুধ সেবন করতে পারলে এই সমস্যাগুলো থেকে আপনি মুক্ত
পাবেন।
চিকিৎসা বিষয়ে বিস্তারিত জানতে কল করতে পারেনঃ ০১৬৫০১৯৮৭৬৭
দাঁত ভালো রাখার উপায় কি
আমাদের দাঁত ভালো রাখার জন্য প্রথমে আমাদেরকেই সচেতন থাকতে হবে। এবং দাঁতের
বাড়তি যত্ন নিতে হবে। আপনি যদি দাঁতের যত্ন নিয়মিত নিয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই
আপনার দাঁত ভালো থাকবে এবং দাঁত ভালো রাখা সম্ভব। তাই কোন কিছু না ভেবে আগে নিজে
নিজের দাঁতের যত্ন নেয়া শিখুন। আপনার দাঁত ভালো রাখতে, এই বিষয়গুলি মনোযোগ দিন।
- সে অনেক উপাদান কম থাকে এমন টুথপেস্ট ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।
- খাদ্য তালিকায় ভিটামিন সি ও মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার রাখার চেষ্টা করুন।
- রাতে খাওয়ার পর এবং সকালে খাওয়ার পর দাঁত সুন্দরভাবে ব্রাশ করুন।
- এবং শাকসবজি খাওয়ার পাশাপাশি নারকেল তেল, বাদাম, এভোকেডো ইত্যাদি স্বাস্থ্যকর চর্বি খাদ্য তালিকায় রাখুন।
- খাবার পর সব সময় ভালো করে মুখ ধুয়ে নেবেন বা কুলি করবেন।
- প্রতি দুই মাস পর পর টুথব্রাশ বদলাবেন।
- যে সমস্ত খাবার খেলে আমাদের দেহে প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব যেমন মাংস, মাছ, ডিম, বিন, প্রভৃতি জাতীয় খাবার খেতে পারেন।
- ধূমপান করবেন না। ধোয়াহীন খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন, এতে করে আপনার দাঁত ভালো থাকবে।
- খাবার খাওয়ার পর মিষ্টিহীন চীন গাম চেবাতে পারেন, এতে আপনার মুখের ময়েশ্চারাইজ ভাব ঠিক থাকবে।
- মুখের ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করতে আপনি চা খেতে পারেন।
দাঁতের ব্যাকটেরিয়া দূর করার প্রাকৃতিক উপায়
দাঁতের ব্যাকটেরিয়া দূর করার জন্য, পরিষ্কার পরিছন্নতার নিয়মগুলো তো মেনে চলতেই
হবে। পাশাপাশি প্রতিবেলা ব্রাশ করার আগে ফ্লসিং পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে করে
দাঁত সাদা রাখার জন্য ব্রাশ করা ও ফ্লসিং সবচেয়ে বেশি ভালো প্রাকৃতিক উপায়।
টুথপেস্ট দাঁতের মাঝে ও গোড়ায় থাকা ময়লা পরিষ্কার করে দাঁত কে করে তুলে সাদা ও
ঝকঝকে। এবং ফ্লসিং দাঁতে জমে থাকা খাদ্য ও অন্যান্য জীবাণু ব্যাকটেরিয়া পরিষ্কার
করতে সহযোগিতা করে।
আপনার দাঁতে জমে থাকা খাদ্য ও অন্যান্য ব্যাকটেরিয়া ক্ষতিকর প্রভাবে দাঁত
উজ্জ্বলতা হারায় এবং দাঁত অনেকটাই কালচে ভাব দেখায়। তাছাড়া ওয়েল পুলিং হচ্ছে
এমন একটি উপাদান যেটা প্রাচীন আয়ুর্বেদিক পদ্ধতি হিসেবে কাজ করে। যেখানে মুখে
তেল রেখে কয়েক মিনিট ধরে কুলকুচা করা হয়। আপনি সাধারণত যেভাবে মাউথ ওয়াশ
ব্যবহার করেন সেভাবে।
সেক্ষেত্রে তিল, নারকেল কিংবা জলপাইয়ের যে কোন তেল ব্যবহার করতে পারেন আপনি। এক
টেবিল চা চামচ তেল মুখে নিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করলে এতে ব্যাকটেরিয়া
দূর হবে। এমনটাই বলেছেন অনেক বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বা গবেষকেরা মুখে ১০ থেকে ১৫ মিনিট
নারিকেল তেল রাখলে দাঁতের ক্ষয় রোধ যেমন হয় তেমনই আবার মারের রোগ ও হ্রাস পায়
অনেকটাই।
দাঁতের ক্ষয় হওয়ার কারণ কি
আমাদের দাঁত ক্ষয় হওয়ার জন্য কিছু কিছু বিষয় এর জন্য দায়ী। যেমন বলতে পারেন-
খাদ্যাভ্যাস, সময়, মুখের লালা, মুখের পরিবেশ। এইসব একসঙ্গে হয়ে দাঁতের ক্ষয়
রোগ করে থাকে। আপনি যখন খাবার খান তখন আপনার দাঁতে খাদ্য কনা লেগে থাকে। এসব
খাবারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রমণ করে থাকে পরিশোধিত চিনি। দাঁতের ক্ষয় হওয়ার
জন্য খুব বেশি দায়ী এই খাবারটি।
তাই আমরা বলে থাকি আপনি খাওয়ার পর দাঁত ভালোভাবে মাছবেন। এটি অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যা খাই, তার এই খাদ্য কণা দাঁতের মধ্যে লেগে থাকে। এবং আরেকটি
বিষয় হলো, প্রবণতা। আসলে সবার তো এই রোগ হয় না, যাদের প্রবণতা বেশি তাদের হয়ে
থাকে। আশা করি আপনি নিয়মিত সুন্দরভাবে দাঁতের যত্ন নিলে আপনার দাঁতের ক্ষয় রোধ
আপনি নিজে নিজেই করতে পারবেন।
দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত বন্ধ করার উপায়
আমরা এখন আর্টিকেলের এই অংশে জানতে চলেছি দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত বন্ধ করার উপায়
সম্পর্কে। অনেকেরই দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ে। আবার একই সঙ্গে কিছু খেতে গেলে
মাড়িতে ব্যথা লাগা ও যন্ত্রণা করার মত সমস্যা দেখা দেয়। তাই দাঁতের স্বাস্থ্য
ভালো না থাকলে এসব লক্ষণ দেখা দিতে পারে আপনার।
দাঁত ও দাঁতের মাড়ির সমস্যা প্রায় মানুষেরই হয়ে থাকে। তবে এসব সমস্যা
দীর্ঘস্থায়ী হলে পরে তা মারাত্মক লক্ষণ দেখা দিতে পারে বা দাঁতগুলো আস্তে আস্তে
উঠে যেতে পারে। দাঁত বা দাঁতের মাড়ির যে কোন সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের
কাছ থেকে চিকিৎসা নিতে হবে। তাছাড়া আমাদের তিনটি উপায়ে মাড়ি থেকে রক্ত পড়া
থেকে বন্ধ পেতে পারে আপনার দাঁত ও মাড়ি।
হলুদ
হলুদে থাকে এন্টি ফাংগাল, যা অ্যান্টি সেপটিক ও এন্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য
সমূহ। এতে আছে কারকেউমিন নামক বিশেষ এক উপাদান। যা মারি থেকে প্লাক,
ব্যাকটেরিয়াসহ বিভিন্ন সংক্রমনের ঝুঁকি থেকে বাঁচায়। দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত
পড়া বন্ধে ১ চা চামচ হলুদের গুড়া, আধা চা চামচ লবণ ও আধা চা চামচ । সরিষার তেল
মিশিয়ে নিতে পারেন। এই মিশ্রণটি দাঁত ও দাঁতের মাড়ির গোড়ায় লাগিয়ে ম্যাসাজ
করুন। প্রায় তিন থেকে পাঁচ দিন এই মিশ্রণ লাগালেই আপনার মাড়ির সমস্যা থেকে
চিরতরে মুক্তি পাবেন।
টি ট্রি ওয়েল
টি ট্রি ওয়েলে রয়েছে অ্যান্টিৃসেপকটিক বৈশিষ্ট্য। আপনার দাঁত ও দাঁতের মাড়ির
সংক্রমণ রোধে দুর্দান্ত কাজ করে থাকে এই তেল। আপনার দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত পড়া
বন্ধে ১ চা চামচ নারকেল তেল ও তিন থেকে চার ফোঁটা টি ট্রি ওয়েল মিশিয়ে মারের
গোড়ায় লাগিয়ে মেসেজ করুন। এরপর পাঁচ থেকে সাত মিনিট রেখে ভাল করে কুলি করে মুখ
ধুয়ে ফেলুন। দিনে অন্তত তিনবার এটি করলেই মারের যাবতীয় সমস্যা থেকে মুক্তি
পাবেন আপনি।
মধু
মধুতে যে কতটা স্বাস্থ্যকর উপকারিতা রয়েছে সে সম্পর্কে আমাদের কমবেশি সবারই জানা
আছে। মাড়ি থেকে রক্ত পড়া বন্ধে কাজে লাগে এই মধু। মধুতে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল
বৈশিষ্ট্য সমূহ রয়েছে। যা আপনার দাঁত ও মাড়ির প্লাক ও ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে
থাকে। সেজন্য এক চা চামচ মধু মাড়িতে দিয়ে হালকা হাতে মেসেজ পড়তে থাকুন প্রায়
৫ মিনিট পর হালকা গরম পানি দিয়ে কুলি করে ফেলুন। আপনি দ্রুত ফল পেতে পারেন
প্রতিদিন অন্তত তিনবার করে মধু মাড়িতে ব্যবহার করলে।
দাঁত ফাঁকা দূর করার ঘরোয়া উপায়
কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে দেখা যায় যাদের দাঁত ফাঁকা বা সামনের দাঁতের ফাঁকা
নিয়ে খুবই চিন্তিত থাকে এছাড়া সামনে দুই দাঁত বাদেও পাশের দাঁতেও ফাঁকা দেখা
যায়। দাঁত ফাঁকা হওয়ার বিভিন্ন রকমের কারণ থাকতে পারে যেগুলোর মধ্যে বংশগত
কারণে হয়ে থাকে আবার কিছু কিছু ফাঁকা আছে মুখের গঠনের পরিবর্তনের কারণেও হয়ে
থাকে। এ সময়ের চিকিৎসকেরা দাঁতের ফাঁকা বন্ধ করার জন্য অনেক ধরনের চিকিৎসা
পদ্ধতিতে চিকিৎসা করে আসছে।
এবং এর মধ্যে কিছু পদ্ধতি আছে খুবই কম খরচে চিকিৎসা করা সম্ভব হয়, আবার কিছু
পদ্ধতি আছে যেগুলো চিকিৎসা করতে অনেক টাকা প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু আমরা আলোচনা করব
ঘরোয়া উপায়ে থাকা যাতে চিকিৎসা কিভাবে নেওয়া যায়। ফাঁকা দাঁতের চিকিৎসা করার
জন্য ঘরোয়া পদ্ধতি তেমন একটা কাজ করে না বললেই চলে তবে আপনি চাইলে একটি কাজ করতে
পারেন সেটি হলো আপনি আপনার দুই দাঁতের মাঝখানটাই শক্ত করে রাবার বেঁধে রাখতে
পারেন।
তাহলে আপনি আস্তে আস্তে দেখবেন সামনের দাঁতের থাকাটা বন্ধ একটু একটু করে হচ্ছে,
এতে আবার অসুবিধা আছে সেটা হল পাশের দাঁতের পাশ থেকে ফাঁকা দেখাতে পারে আবারও।
সাময়িক সাম্যের জন্য কার্যকর হল কিছুদিন পর দেখা যায় আবার রাবারটি খুলে ফেললে
দাঁত আগের পজিশনে চলে আসে। সে কারণে বলা যেতে পারে এই চিকিৎসাটি কতটা কার্যকর
নয়।
তবে আপনি দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে এটা থেকেও একটি ভালো কিছু পাওয়ার সম্ভাবনা
রয়েছে। সে কারণে তাই বর্তমান সময় থাকা দাঁতের সমস্যা তেমন একটা কোন সমস্যায়
নয়। এর জন্য রয়েছে বিভিন্ন ধরনের আধুনিক চিকিৎসা।
দাঁতের ক্ষয় রোধের ওষুধ
আমরা এখানে দাঁতের ক্ষয় রোধের ওষুধ কিছু আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম। এগুলো আপনি
যেকোনো বাজারে ওষুধের দোকানে বা ফার্মেসিতে পাবেন। এবং এই ওষুধগুলো ডাক্তারের
পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত সেবন করলে। আপনার দাঁতের ক্ষয় রোধ করা খুব সহজেই সম্ভব
হবে। তাহলে জেনে নিন ওষুধ গুলোর নাম।
- ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট
- ইটোরিক্স ট্যাবলেট
- Amides 400 Tablet
- Tory 60 Tablet
- Napa One Tablet
- Moracin 500 Tablet
- Fenamic Tablet
- Etorlok 20 Tablet
- Etoricoxib Tablet
কি খেলে দাঁতের মাড়ি শক্ত হয়
কিছু কিছু খাবার আছে যা খেলে আপনার দাঁতের মাড়ি শক্ত করা সম্ভব। আপনি যদি এই
খাবারগুলো আপনার খাবারের তালিকায় যোগ করতে পারেন বা খাদ্যাভেসে রাখতে পারেন,
তাহলে আপনার দাঁতের মাড়ি শক্ত করা সম্ভব এই খাবার গুলোর মাধ্যম।
- কচি কচি সবজি
- দুধের তৈরি খাবার
- বাদাম
- পত্রল সবজি
- পেঁয়াজ ও রসুন
- সেটাকে মাশরুম
- স্ট্রবেরি
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি
নিশ্চয়ই এতক্ষণে জেনে গেছেন দাঁতের ব্যাকটেরিয়া দূর করার প্রাকৃতিক উপায় এবং
দাঁত ফাঁকা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে। শেষ কথা হিসেবে আপনাকে একটা কথাই
বলতে চাই সেটা হল আপনার দাঁতের যে কোন সমস্যা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অবশ্যই আপনি
চিকিৎসকের কাছে পরামর্শ নিয়ে দাঁতের যত্ন নিবেন।
দাঁত আমাদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ সেহেতু আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত নিয়মিত দাঁতের
যত্ন নেওয়া। তাহলে বন্ধু আশা করি আপনি নিশ্চয়ই এই পোস্টটি সম্পন্ন করার মাধ্যমে
দাঁত বিষয়ক বিভিন্ন ধরনের অজানা তথ্য জানতে পেরেছেন এবং এ পোস্টটি আপনার কাছে
অনেক ভালো লেগেছে। তাই বন্ধুদের পোস্টটি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকলে আপনার
বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
কারণ আপনার মাধ্যমে আপনার বন্ধুরাও জানতে পারবে দাঁতের ব্যাকটেরিয়া দূর করার
প্রাকৃতিক উপায় এবং দাঁত ফাঁকা দূর করার ঘরোয়া উপায়। আর অবশ্যই আমাদের এই
ওয়েবসাইটটি ফোলো অথবা ভিজিট করতে ভুলবেন না। কারণ আমরা এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত
নতুন নতুন ব্লগ পোস্ট বা আর্টিকেল পাবলিশ করে থাকি। আসসালামু আলাইকুম।
সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url