কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে - বাতের ব্যথা কোথায় কোথায় হয়
নাকের পলিপাস দূর করার প্রাকৃতিক উপায়প্রিয় পাঠক, আপনি নিশ্চয়ই জানতে চাচ্ছেন কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে এবং বাপের ব্যাথা কোথায় কোথায় হয় সে বিষয়ে। তাই আমরা এখন আপনাকে জানাবো কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে এবং বাতের ব্যথা কোথায় কোথায় হয় সে সম্পর্কে। আপনি যদি আমাদের এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে এবং ভাতের ব্যাথা কোথায় কোথায় হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন। শুধু তাই নয় এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন বাতের ব্যথার লক্ষণ সম্পর্কেও।
আশা করি আপনার যদি বাতের ব্যথা থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার অনেক উপকারে আসবে। কেননা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা বাতের ব্যথা সম্পর্কে খুবই সুন্দরভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। দাঁতের ব্যথা কোথায় কোথায় হয় এবং কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে সে বিষয়ে অবশ্যই আপনার জানা খুবই জরুরী। কেননা আপনি যদি না জানেন কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে এবং বাতের ব্যথা কোথায় কোথায় হয়। তাহলে এই সমস্যাটি আপনার অনেক বড় আকার ধারণ করতে পারে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা ঝটপট জেনে নেওয়ার চেষ্টা করি কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে এবং বাতের ব্যথা কোথায় কোথায় হয়।
পোস্ট সূচিপত্রঃ কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে - বাতের ব্যথা কোথায় কোথায় হয়
ভূমিকা
আমাদের শরীরের একটি যন্ত্রণাদায়ক রোগ হল বাত। আমাদের শরীরে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন রকমের বাতের ব্যথা হয়। অস্থিরসন্ধিতে ইউরিক অ্যাসিড জমা হয়ে এই রোগের উৎপত্তি ঘটে থাকে। তাছাড়া মূত্রের মাধ্যমে যে পরিমাণ স্বাভাবিক ইউরিক অ্যাসিড শরীর থেকে বেরিয়ে যায়, তার থেকেও বেশি পরিমাণে ইউরিক অ্যাসিড আমাদের যকৃত এসিড তৈরি করে থাকে। সেজন্য রক্তের পরিমাণ বাড়ায়। আবার খাবারের মাধ্যমে বেশি পরিমাণ ইউরিক অ্যাসিডের উৎস হয়ে থাকে যেমন ক্রিম, রেড ওয়াইন, লাল মাংস ইত্যাদি গ্রহণ করলে।
আরো পড়ুনঃ কি খেলে ডায়াবেটিস হবে না
আমাদের শরীরের রক্ত থেকে যথেষ্ট পরিমাণে তা ফিল্টার করতে পারে না, বাপের উপসর্গগুলো দেখা দিতে শুরু করে। এছাড়াও আমরা এই পোস্টটির মাধ্যমে বাতের আরো কিছু বিষয় বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। এবং এর পাশাপাশি, কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে, বাতের ব্যথার লক্ষণ, বাতের ব্যথা কোথায় কোথায় হয় এবং দাঁতের ব্যথা ট্যাবলেট নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। তবে চলুন বিস্তারিতভাবে বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে
আমরা এখন আর্টিকেলের এই অংশে জানবো কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে। আসলে বিভিন্ন খাবার আছে যেগুলো খেলে আমাদের বাতের ব্যথা অধিকাংশ বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। সেজন্য যাদের বাতের ব্যথা আছে এ সকল খাবার নিয়ন্ত্রণে আনা উচিত কিংবা যদি এ খাবারগুলো থেকে বিরত থাকা যায় তাহলে আরো অনেক ভালো হয়। কেননা শুধুমাত্র এই খাবারগুলোর কারণেই বাতের ব্যথা তুলনামূলকভাবে অনেকটাই বেড়ে যায়। তো চলুন বন্ধু আমরা জেনে নেওয়ার চেষ্টা করি কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে।
- আপনার যদি অতিরিক্ত মধ্যপান এর অভ্যাস থেকে থাকে, তাহলে বাপের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাছাড়া অস্টিও অথারাইটিসের ঝুঁকিও বাড়াতে পারে অ্যালকোহল।
- অতিরিক্ত লবণ খাওয়া বিরত রাখতে হবে বাতের সমস্যা থাকলে।
- শিকড় জাতীয় খাবার কখনোই খাবেন না আপনি যেমন লেবু, আমরা, টমেটো। এছাড়াও সাদা চিনি এবং কাম্বেন ময়দা এড়িয়ে চলুন কারণ বাড়িয়ে দিতে পারে আপনার বাপের ব্যথা।
- বাতের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে গুটেন সমৃদ্ধ খাবার। গম, বালির মতো দানা, শস্যতে থাকে ব্লুটেন নামক এক বিশেষ প্রোটিন। যা বিশেষজ্ঞদের মতে বাতের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।
- বাতের ব্যথার জন্য সব থেকে দায়ী হল চিনি। বিশেষ করে আইসক্রিম, ক্যান্ডি, ঠান্ডা পানিতে অতিরিক্ত মিষ্টি থাকে বলে। তা আমাদের বাতের সমস্যা দেখা দেয়।
- বাতের সমস্যা বৃদ্ধি করতে পারে প্রক্রিয়াজাত মাংস ও রেডমিট প্রদাহ। সেজন্য আমাদের বাড়তে পারে বাতের ব্যথা। এগুলো মাংসতে ইন্টারলিউকিন, সি-রিয়্যাক্টিভ প্রোটিন এবং হোমোসিস্টেইনের মতো উপাদান গুলো থাকায়। যা আমাদের প্রদাহকে সৃষ্টি করতে পারে।
বাতের ব্যথার লক্ষণ
আমরা এতক্ষণ জানলাম কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে। এখন আমরা আর্টিকেলের এই অংশে জানবো বাতের ব্যথার লক্ষণ গুলো কি কি সে বিষয়ে। তাই আপনারা যারা এখনো পর্যন্ত জানেন না বাপের ব্যাথার লক্ষণ সম্পর্কে তারা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে এখনই জেনে নিন বাপের ব্যাথার লক্ষণ গুলো আসলে কি কি। নিচে আপনাদের জন্য বাতের ব্যথার লক্ষণ গুলো তুলে ধরা হল।
আরো পড়ুনঃ ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম
- লালচে ভাব।
- গতিরাস পরিসীমা।
- ফোলা।
- ব্যথা।
- কড়া।
- আপনার পায়ের গোড়ালি এবং জোড়ায় অত্যাধিক ব্যথা অনুভব করা।
- এবং ব্যথা কমে যাওয়ার পরেও বাতের ব্যথায় আক্রান্ত স্থান ফুলে থাকা।
- শরীরে হালকা হালকা জ্বর হওয়া।
- হাতের কব্জি, নখে, কুনি সহ বিভিন্ন স্থানে প্রচুর ব্যথা করা।
আপনার যদি এ লক্ষণ গুলো দেখা দেয় তাহলে দ্রুত অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করতে হবে। এবং আপনাকে যতটা সম্ভব বিশ্রাম নিতে হবে। কিছুদিনের জন্য ভারী কাজ থেকে বিরত থাকবেন। আপনাকে অবশ্যই বেশি পরিশ্রমের কাজ কমিয়ে দিতে হবে। আপনার আক্রান্ত স্থানে নিয়মিত প্রতিদিন সরিষার তেল মালিশ করতে পারে, এতে করে আপনার আরাম মিলবে।
বাত ব্যথার কারণ কি
অস্থিসন্ধিতে ইউরিক এসির জমার ফলে বাত ব্যথার সমস্যা দেখা দেয়। শতকরা ৩০ ভাগের বেশি রোগীর ক্ষেত্রে এটা দেখা দিয়ে থাকে। এবং এটি বংশগতভাবেও হতে পারে। বাত ব্যথার ঝুঁকি বাড়ার উল্লেখযোগ্য যেসব কারণ তা হল- শরীর মোটা হয়ে যাওয়া, ডাইবেটিস, কিডনির রোগ রক্তস্বল্পতা।
অ্যালকোহল নিয়মিত পান করলে তা দেহ থেকে ইউরিক এসিড বের করে দেওয়াই বাধা দিয়ে থাকে এবং সে ক্ষেত্রে প্রকারান্তরে বাতের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। কিছু কিছু ওষুধ অনেক সময় আমাদের বাতের ঝুঁকি দাঁড়িয়ে থাকে যেমন- লিভোডোপা, সাইক্লোস্পোরিন, অ্যাসপিরিন, বিভিন্ন ডাই ইউরেটিক্স ইত্যাদি।
বাতের ব্যথা কোথায় কোথায় হয়
সাধারণত বৃদ্ধাঙ্গুলিতে বাতিল সমস্যা প্রথম দেখা দিয়ে থাকে। তাছাড়া এর প্রধান লক্ষণ গুলো হলো প্রদাহ, অস্থিসন্ধি লাল হয়ে যাওয়া, ব্যথা, অস্থিসন্ধি ফুলে যাওয়ার ভাব দেখা দেওয়া ইত্যাদি। বাতের জন্য আমাদের আঙ্গুলগুলো নাড়াতে তীব্র ব্যথা করে থাকে। এবং অনেক সময় দেখা যায় সামান্য চাদরের স্পর্শেও ব্যথা লাগে। ইমিউন সিস্টেম আছে আমাদের শরীরে।
আরো পড়ুনঃ জন্ডিস থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়
এটা এক ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। যা আমাদের শরীরকে এক প্রকার পাহারা দিয়ে থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এ ধরনের বাতগুলো বেশ জটিল হয়। যেগুলোর নাম হিসেবে একটি বোলি SLI এটা বেশি অংশে তরুণীদের হয়ে থাকে। তাছাড়া এটি একটি কঠিন রোগ, এবং আরেকটি রোগ হল রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস।
এগুলো বেশি সংখ্যক তরুণ বয়সে বেশি হয়। এগুলো সাধারণত আমাদের ইমিউন পদ্ধতির কারণে হয়। আমাদের ইমিউন পদ্ধতির দায়িত্ব হলো বিভিন্ন রোগ আক্রমণ থেকে শরীরকে এক প্রকার পাহারা দেওয়া। এবং অনেক ক্ষেত্রেই এই ইমিউন পদ্ধতিই আমাদের শরীরের সাথে প্রতারণা করে থাকে।
বাতের ব্যাথার ট্যাবলেট
আমরা এখন আর্টিকেলের এই অংশে জানব বাতের ব্যথার ট্যাবলেট সম্পর্কে। তাই আপনারা যারা অনেক খোঁজাখুঁজি করছেন বাতের ব্যথার ট্যাবলেট নিয়ে। তারা মূলত আর্টিকেলের এই অংশটুকু থেকে জেনে নিন বাতের ব্যাথার ট্যাবলেট গুলো সম্পর্কে। নিচে আপনাদের জন্য আমরা বাপের ব্যাথার ট্যাবলেট গুলো জানিয়েছি।
জানিয়ে রাখা ভালো, ডিক্লোমল ট্যাবলেট (Diclomol Tablet) হচ্ছে একটি আন্টি-ইনফ্লামেটরি বেদনা নাশক ঔষধ হিসেবে কাজ করে।
- মাইগ্রেন (Migraine)
- বুর্সাইটিস (Bursitis)
- ডিসমেনোরিয়া (Dysmenorrhea)
- ট্রেন্ডিনাইটিস (Tendinitis)
- অ্যাঙ্কাইলুজিং স্পন্ডিলাইটিস (Ankylosing Spondylitis)
- অস্টিও আর্থ্রাইটিস (Osteo Arthritis)
- রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস (Rheumatoid Arthritis)
শেষ কথা । বাত ব্যথার কারণ কি । ব্যথা হয় কেন
প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি নিশ্চয়ই এতক্ষণে জেনে গেছেন কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে এবং বাতের ব্যথা কোথায় কোথায় হয়। আসলে আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যাদের মাঝেমধ্যেই বাতের ব্যথার সমস্যা দেখা দেয়, মূলত তাদের জন্য এই আর্টিকেলটি অনেক উপকারী হবে।
কেননা এই আর্টিকেলে আমরা খুবই সুন্দরভাবে আলোচনা করে জানিয়েছি কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে এবং বাপের ব্যাথা কোথায় কোথায় হয়। আশা করি বন্ধুরা এই আর্টিকেলটি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লেগেছে এবং এই আর্টিকেলটি আপনাদের অনেক উপকারে আসবে। তাই এই আর্টিকেলটি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
কেননা আপনার বন্ধুরাও আপনার মাধ্যমে জানতে পারবে কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে এবং বাতের ব্যথা কোথায় কোথায় হয় সে বিষয়ে। আর অবশ্যই আমাদের এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট বা ফোলো করার চেষ্টা করবেন। কারণ আমরা এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত নতুন নতুন ব্লগ পোস্ট বা আর্টিকেল পাবলিশ করে থাকি। শুধু তাই নয় আমরা নিত্য নতুন তথ্য বিষয়ক বিভিন্ন পোস্ট পাবলিশ করি। আর অবশ্যই আপনি নিজে ভাল থাকবেন, এবং আপনার পরিবারকে ভালো রাখার চেষ্টা করবেন, আসসালামু আলাইকুম।
সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url