গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয় - গর্ভবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়
সকালে খালি পেটে টমেটো খাওয়ার উপকারিতাপ্রিয় বন্ধুরা, আপনারা নিশ্চয়ই জানতে চাচ্ছেন গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয় এবং গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়। তাহলে বন্ধুরা আপনারা সঠিক জায়গাতেই এসেছেন কারণ আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদেরকে জানাতে চলেছি গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয় এবং গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয় সে সম্পর্কে। আপনার গর্ভকালীন সময়ে প্রতিদিনের খাবার তালিকায় সুষম, স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার রাখা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এটি গর্ভকালের বাড়তি পুষ্টির চাহিদা নিশ্চিত করে আপনার ওর্ভে শিশুর সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে।
গর্ভের শিশুর উপযুক্ত গঠন ও বিকাশ নিশ্চিত করার পাশাপাশি, বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতা প্রতিরোধে একটি শোষণ খাবার তালিকা মেনে চলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাই আমাদের এই পোস্টটিতে গর্ব অবস্থায় কি কি খাওয়া যাবে এবং কি কি খাওয়া যাবে না সে সম্পর্কে বিস্তারিত একটি ধারণা দেওয়া হয়েছে। এইসব বিষয়ে জানার জন্য আপনাকে এই পোস্টটি সুন্দরভাবে পড়তে হবে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা ঝটপট জেনে আসি গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয় এবং গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়।
পোস্ট সূচিপত্রঃ গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয় - গর্ভবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়
ভূমিকা
গর্ভাবস্থা হলো একটি পর্যায় যখন স্বাস্থ্য একটি মহিলার জীবনের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হয়ে ওঠে। ডায়েট এবং ব্যায়াম থেকে শুরু করে ঘুম এবং সঠিক ঘুমের অবস্থান, এমন কয়েকটি দিক রয়েছে যা মনোযোগের দাবি রাখে। ক্রমবর্ধমান পেটের সাথে, গর্ভাবস্থায় সঠিক ঘুমের অবস্থান নির্বাচন করার সময় সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। এই নিবন্ধনে, আমরা গর্ভবতী মহিলাদের জন্য সর্বতম ঘুমের অবস্থান ব্যাখ্যা করব এবং আপনাকে সাহায্য করার জন্য কিছু ব্যস্ত নির্দেশিকা শেয়ার করব।
এমন কি গর্ব অবস্থায় তেতুল খাওয়া, ঝাল খাওয়া, কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হবে, এমনকি কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হবে, পান সুপারি খেলে গর্ভাবস্থায় কি হতে পারে। গর্ভ অবস্থায় দই খাওয়ার উপকারিতা গর্ভাবস্থায় পানি পান করার উপকারিতা বা নিয়ম, এই পুরো পোস্টটিতে আমরা আলোচনা করেছি। তাই আপনি এই পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনার মধ্যে সব ধরনের স্বচ্ছ ধারণা চলে আসবে, আশা করি আপনি এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়বেন।
গর্ভবস্থায় তেঁতুল খেলে কি হয়
পুষ্টিকর খাবার হল যে কোন জীবন যাত্রার সবচেয়ে অবহেলিত এবং অতি প্রয়োজনীয় অংশগুলির মধ্যে একটি। আপনি গর্ভবতী হলে এটি আরো বেশি করে সত্য হয়। আমাদের জীবনযাত্রার মাঝে প্রচুর খাবার রয়েছে যা আপনার পক্ষে সাধারণত স্বাস্থ্যকর, তবে আপনার পেটের শিশুর কাছে গেলে তা বিপদজনক হতে পারে। আপনার গর্ববতী হওয়ার সময় আপনার ডায়েট ট পরিবর্তন হওয়া প্রয়োজন এবং গর্ববস্থায় তেঁতুল খাওয়া আপনার পক্ষে উপকারী কিনা তা বোঝা সর্বদা গুরুত্বপূর্ণ।
তেতুলের পুষ্টিগুণ
তেতুল একটি অত্যন্ত সুস্বাদু উপাদান যা এর সাধের কারণে বিভিন্ন খাবারে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বেশ কয়েকটি প্রাচীন সভ্যতায় ওষুধের উদ্দেশ্যেও তেঁতুল ব্যবহার করা হয়েছিল, তেতুলের কিছু ঔষধি গুণ রয়েছে- তবে যা এটিকে একটি আকর্ষণীয় উপাদান করে তুলে তা হল তার পুষ্টিগুণ। পলি পলিফেনল, ফ্ল্যাভোনয়েডস, পটাশিয়াম, আইর্ ডায়েটরি ফাইবার, ভিটামিন এ, সি ও কে এবং আরো অনেক খনিজ সমৃদ্ধ রয়েছে।
গর্ভবস্থায় পরিমিত পরিমাণের সেবন করলে তেঁতুল খাওয়ার অসংখ্য উপকার রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি হল।
- তেঁতুলের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য গর্ভবস্থার পরিবর্তি পর্যায়ের গোড়ালি ও শরীরে কোলাভার এবং পেশির ব্যথা গুলি কমাতে সহায়তা করে।
- তেতুল ফ্ল্যাভোনয়েড এবং পলিফেনল সমৃদ্ধ, যা গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে সাহায্য করে।
- তেতুলের পটাশিয়াম এবং হালকা সোডিয়াম খনিজ গুলি থাকার কারণে হালকা পরিমাণে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে বলে জানা যায়।
- গর্ভাবস্থার মিষ্টি তেতুল তার ল্যাক্সিট বৈশিষ্ট্যের কারণে কন্ঠকাঠিন্যতে সহায়তা করতে পারে।
- তেতুল পরিমিত খেলে হজমের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য দুর্দান্ত করে তোলে, এটি মলের প্রবাহকে দৃঢ় হতে সহায়তা করতে পারে, এভাবে ডায়রিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করে।
- তেতুলের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টগুলি কয়েকটি ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে বলে বিশ্বাস করে অনেক বিশেষজ্ঞরা।
- তেতুল সকালের অসুস্থতা থেকে আশা বমি ভাব কমাতে সাহায্য করতে পারে - তেতুলের এক টুকরোতে কিছুটা নুন দিয়ে চুষে খাওয়া গর্ভবতী মহিলাকে আরো ভালো অনুভব করতে সহায়তা করে।
- আপনি শরবত আকার এতে তুই সেবন করতে পারেন, এটি আপনার তরকারিতে বা এমন কি একটি শব্দ পানীয়ের আকারের যোগ করতে পারেন, এটি অসংখ্য ভাবে ব্যবহার করা যায়।
গর্ভবস্থায় বেশি ঝাল খেলে কি হয়
প্রত্যেকটা নারীর জীবনে এক বিশেষ সময় প্রেগন্যান্সির এই ৯টি মাস, নিজের শরীরে একটা প্রাণের তিলে তিলে বেড়ে ওঠার মতো অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। অনেক হবু মাই, ভয়- আনন্দ- উৎকণ্ঠা মিলিয়ে নিশ্চই অনুভূতি কাজ করে সকলের মধ্যে। সঙ্গে থাকে একটা জিনিস জানার কৌতূহল, গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে? মা- দিদিমাদের যাওয়া টোটকা দিয়ে খুব সহজেই আপনি গ্রাস করতে পারবেন পুত্র না পণ্য সন্তানের জননী হতে চলেছেন আপনি।
- গর্ভাবস্থায় বেশি করে মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে ইচ্ছে হওয়ার অর্থ হলো, শরীরের ভেতর কন্যা সন্তান বেড়ে উঠছে। আর মায়ের যদি খুব ঝাল বা টক খেতে ইচ্ছে করে তাহলে ছেলে হওয়ার সম্ভাব নাটাই বেশি।
- তবে অতিরিক্ত ঝাল খেলে হতে পারে ব্রণ, ঘুমের সমস্যা এমনকি কথা বলতেও বাধা সৃষ্টি করতে পারে। খাবারে হালকা ঝাল মসলা সাদ ও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। খাবারের ঝাল নেট কমাতে সহায়ক, হৃদয়ে রোগের ঝুঁকে কমায়, হতাশা দূর করে।
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়
সাধারণত গর্ভবতী মহিলাদের স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি খিদে পায় এবং সেই সময়ে ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করাটা তাদের জন্য খুব জরুরী। এই খাবার তার গর্ভের শিশুর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। বর্তমান যুগে প্রায় সকলেই চান যেন তার অনাগত সন্তানের গায়ের রং উজ্জ্বল বা ফর্সা হয়।
এজন্য পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের পাশাপাশি নিজের জীবনাচরনের ইতিবাচক পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞদের মতে খাদ্য নির্বাচনের ওপর সন্তানের শরীরের বর্ণ কেমন হবে তা নির্ভর করে না, এটা নির্ভর করে তার বাবা- মা এর কাছ থেকে যে জিনিস পেয়েছেন তার ওপর। শুধুমাত্র ত্বকের সৌন্দর্যই কোন মানুষের একান্ত আকাঙ্ক্ষিত বিষয় হতে পারে না।
তাই গর্ভবতী মায়েদের উচিত একটি সুস্থ, মেধাবীও স্বাভাবিক শিশুর জন্মের জন্য চেষ্টা করা। তাই আসুন জেনে নেই গর্ভবতী অবস্থায় যে খাবার গুলো খেলে বাচ্চা ফর্সা হতে পারে।
দুধ
গর্ভবতী মহিলাদের দুধ পান করা অত্যন্ত জরুরী। কারণ দুধ শিশুর শরীর গঠনের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। প্রচলিত ধারণা মতে দুধ ও ত্বকের রং ফর্সা করতে সাহায্য করে।
ডিম
প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী বিশ্বাস করা হয় থাকে যে, যদি ফর্সা বাচ্চা চান তাহলে গর্ববস্থায় দ্বিতীয় তিন মাসে ডিমের সাদা অংশগ্রহণ করা উচিত। তবে সত্য এই যে গর্ব অবস্থায় নিয়মিত ডিম খাওয়া মায়ের জন্য খুব প্রয়োজন। ডিমের অধিকাংশ পুষ্টি গুণ এর কুসুমের মাঝেই থাকে। তাই কুসুম খাওয়া বাদ দেওয়া চলবে না।
জাফরান দুধ
অনেক মহিলা গর্ভবতী অবস্থায় জাফরান দেওয়া দুধ পান করে থাকেন।এমনকি মনে করা হয় জাফরান গর্ভের শিশুর গায়ের রং ফর্সা করে।
চেরি ও বেরি জাতীয় ফল
চিরি ও বেরি জাতীয় ফলে উচ্চমাত্রার এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, জাতকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাই স্ট্রবেরি, ব্ল্যাক বেরি, ব্লু বেরি ইত্যাদি ফল খাওয়া হয় বাচ্চার সুন্দর ত্বকের জন্য।
টমেটো
টমেটোতে লাইকোপেন থাকে যা ক্ষতিকর আল্ট্রা ভায়োলেটরে এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে সূর্যের আলোর প্রতি পর প্রবাহ থেকে রক্ষা করে। বিশ্বাস করা হয় যে, গর্ববস্থায় টমেটো খেলে বাচ্চার বর্ণ ফর্সা হয়।
কমলা
কমলা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ তাই শিশু শরীর গঠনের জন্য অপরিহার্য। গর্ভবস্থায় কমলা খেলে শিশু ত্বক ভালো হয়।
নারীকেল
প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী নারীকেলের সাদা অংশ গর্ভের শিশুর বর্ণ ফর্সা করে থাকে। তবে গর্ব অবস্থায় অতিরিক্ত নারিকেল খাওয়া মোটেও স্বাস্থ্যসম্মত নয়। খেতে পারেন, তবে পরিমিত। শুধুমাত্র ত্বকের সৌন্দর্য কোন মানুষের একান্ত আকাঙ্ক্ষিত বিষয় হতে পারে না, গর্ভবতী মায়ের উচিত সুস্থ, মেধাবী ও স্বাভাবিক শিশু জন্মের জন্য চেষ্টা করা। তাই পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণের সাথে সাথে নিজের জীবন ধারাতেও ইতিবাচক পরিবর্তন আনা একান্ত প্রয়োজন।
গর্ভবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়
সন্তান যেন বুদ্ধিমান ও মেধাবী হয়- এই প্রত্যাশা সব বাবা-মায়েরই থাকে। এ কারণেই গর্ভবতী নারী শিশুর কথা চিন্তা করে স্বাস্থ্যকর খাবার খান এবং স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে চলাফেরা করুন। পুষ্টিকর খাবারের অভাবে শিশুর মানসিক বিকাশ বাধা বস্তু হতে পারে। আবার জন্ম নেয়া শিশু পরবর্তীতে নানা সমস্যায় ভুগতে পারে।
যেহেতু বুদ্ধিমান ও মেধাবী সন্তান চান বাবা-মায়েরা কাজেই তার মস্তিষ্ক গঠনের উপর জোর দিতে বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। জন্মের প্রথম দুই বছর সন্তানের জন্য দরকার মস্তিষ্কের সঠিক বিকাশ।গর্ভবস্থায় প্রোটিনযুক্ত খাবার যেমন, ডিম, মাংস, মাছ, বিনস, পাঁচমিশালী ডাল, সিড নিয়মিত খেলে শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটে।
কলা ও শুকনো ফল এবং পুদিনা পাতা, সবুজ শাকসবজিতে আয়রন ও ফলিক এসিড আছে, যা গর্ভবস্থায় শিশুর মস্তিষ্কে বিকাশ ঘটাতে সহযোগিতা করে, তাছাড়া বুদ্ধিমত্তা বাড়াতে সাহায্য করে। সন্তানের মস্তিষ্কের বিকাশ মায়ের গর্ভবস্থায় শুরু হয়ে থাকে। সেজন্য এই সময় দরকার মায়ের একটি বালান্স ও মডিফাইড ডায়েট এর।
সবকিছু অতিরিক্ত না খেয়ে কি খেলে বাচ্চার ব্রেন্ট ডেভেলপমেন্ট হবে সেটা খাওয়া প্রয়োজন। সাধারণত মায়ের গর্ভবস্থায় বাচ্চার ৩০% ব্র্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ঘটে। তাই গর্ভাবস্থায় মা কি খাবে তার একটা নির্দিষ্ট তালিকা আগে থেকেই প্রস্তুত করা দরকার। আমাদের পরিবেশ ও খাদ্য খাদ্যাভাসের পরিবর্তনের কারণে অভিভাবকেরা প্রায়ই তাদের বাচ্চাদের নিয়ে চিন্তিত থাকেন।
কিভাবে বা কি খেলে বাচ্চার ব্রেন তৈরি হবে? প্রথমত চিন্তা করতে হবে গর্ভাবস্থায় মায়ের খাদ্য তালিকা কেমন ছিল কারণ গর্বের সময় ভ্রমণের মস্তিষ্কের ৩০ ভাগ ডেভেলপ হয়ে যায়। খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণ মাছ, ডিম, দুধ, ইত্যাদি থাকতে হবে। বাদাম বাচ্চা ও যে কোন বয়সের আইকিউ লেভেল বাড়ানোর জন্য প্রয়োজন।
জন্মের পর শিশু যখন মায়ের দুধ খায় তখন প্রসূতির খাদ্যের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে কারণ এই সময় মস্তিষ্কের বাকি ৭০ ভাগ অংশ ডেভেলপ হয়ে যায়। প্রতি সপ্তাহে তিন দিন আয়োডিনযুক্ত খাবার যেমন সামুদ্রিক মাছ খাবেন যা বাচ্চার আইকিউ লেভেল বাড়িয়ে দেয়। জন্মের ছয় মাস পর বাচ্চাকে দুধ ও দুধের তৈরি খাবার, সবজি, সেমাই, সাগুতে বাদাম গুড়া মিশিয়ে খাওয়ালে
বাচ্চার মেধা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। ধীরে ধীরে খাবারের পরিমাণ ও ধরন বাড়ালে বাচ্চার পরিপাকতন্ত্র শক্তিশালী হয়ে থাকে। খিচুড়ির সঙ্গে প্রথমে ডিমের কুসুম যাতে প্রোটিন ও পোলিন থাকে যা নিউরোট্রান্সমিটার হিসেবে কাজ করে। ডিমের কুসুম এক আউন্স পানের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন।
কুসুম খেলে বাচ্চার এক থেকে দেড় ঘন্টা খিদে পাবে না। ছাদ থেকে আট মাস ডিমের সাদা অংশ খাওয়াবেন যাতে অ্যালবুমিন থাকে, এর বিকল্প পৃথিবীতে আর তৈরি হয়নি। ছোটবেলা থেকেই ড্রাই ফ্রুট যেমন চেরি, খেজুর, কিসমিস, পাম ফ্রুট খেলে ক্যালরি চাহিদা পূরণ হয়।
গর্ভবস্থায় পান সুপারি খেলে কি হয়
আমাদের দেশ এবং পরিবার ফুলের মধ্যে পান সুপারি খাওয়ার রাস্তা খুব সাধারণ একটা ব্যাপার। শরীরের জন্য পান পাতা বা সুপারি নিজের উপকারের ভাগটি নিয়ে আসে এবং তার সাথে খিদে বা আহারে রুচির উপরেও তার একটা প্রভাব আছে বলে জানা যায়। গর্ভাবস্থায় আবার কখনো কখনো আপনার মিষ্টি পান খাওয়ার ভাবনা হতে পারে, সেই স্বাদ অসাধনের জন্য আপনি ব্যাকুল হয়েও উঠতে পারেন।
কিন্তু এটা কি গর্ভাবস্থায় শিশুর জন্য নিরাপদ কিংবা এর কোন ক্ষতিকারক প্রবাহ আছে কি? আসুন সে সম্পর্কে বিস্তারিত সন্ধান করা যাক-আমাদের মধ্যে অনেকের ক্ষেত্রে পান সুপারি একটা স্বাস্থ্যকর পছন্দ হয়ে থাকতে পারে, তবে যখন আপনি গর্ভবতী তখন সময়ের সাথে পরিণত পরিমাণে সেটি গ্রহণ করার পরামর্শ আপনাকে দেওয়া হয়।
সুপারির সাথে পান পাতা খেলে তা অনেকের স্বাস্থ্যের উপরেও একটা ক্ষতিকারক প্রবাহ ফেলতে পারে। এমনকি পরিমাণ হিসেবে তা ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে, পৃথিবীর অনেক অংশের মানুষের যাদের মধ্যে নিয়মিত পান খাওয়ার একটা ঐতিহ্যবাহী রেওয়াজ রয়েছে।এমনকি গর্ভাবস্থায়তেও, কাদের ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় কালীন জটিলতা, জন্মগত ব্যাধি ইত্যাদির মতো ঘটনাগুলো উচ্চমাত্রায় দেখা গেছে।
বেশিরভাগ গর্ভবতী মহিলা যারা গর্ব অবস্থায় পান সুপারি খাওয়া অব্যাহত রাখেন তারা সেটি সাধারণত করে থাকেন তাদের পরিবার এবং প্রতিবেশীদের মধ্যে চলে আসা দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য থেকে। পান পাতা গুলি হজম প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে এবং কোন ব্যক্তির ক্ষুধা উদ্দীপক ক হিসেবে কাজ করে বলে জানা গেছে।
বেশ কিছু জায়গায় আবার বুকের দুধ উৎপাদন বাড়ানোর জন্য স্তন পান করানোর সময় স্তনের ওপর পান পাতা গুলি প্রয়োগ করার দেওয়া আছে। পান পাতার মধ্যে বেশ পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টি-এক্সিডেন্ট থাকে। আর এই বৈশিষ্ট্যের জন্য এগুলি কাশি, ডিহাইড্রেশন, প্রদাহ, কন্সটিপেশন বা কোষ্ঠকাঠিন্য, মাথা ব্যথার মত সাধারণ অসুস্থতা এবং সমস্যা গুলিতে এ ধরনের অন্যান্য আরো কিছু ক্ষেত্রে একটি প্রাকৃতিক নিরাময় হিসেবে কাজ করে।
গর্ভবতী অবস্থায় খুব বেশি পরিমাণে পান সুপারি খাওয়ার ফলে তার ক্ষতিকারক প্রবাহ গুলি তুলে ধরা হল।
- নিয়মিত পান সেবনকারীদের ক্ষেত্রে অন্যতম বৃহত্তম যে ক্ষতিকারক প্রবাহটি লক্ষ্য করা গেছে তা হলো তাদের মধ্যে ক্যান্সার হওয়ার একটা প্রবল ঝুঁকি থেকে যায়। এর বেশিভাগ সময় যেটি হয়ে থাকে তা হল- কোরাল বা মুখে ক্যান্সার, যাকে বল মাকেই নয়, তার গর্ভস্থ বাচ্চার উপরেও অনেকটা প্রভাব ফেলতে পারে।
- গর্ভাবস্থায় পান সুপারি খেলে তাকে আনসারের কারণ হয়ে উঠতে পারে, তবে এছাড়াও মুখে ঘা বা আলসার হওয়ার সম্ভাবনাটাও অনেক বেশি বেড়ে যায়, যদি সেটি খুব বেশি পরিমাণে হাওয়া হয়ে থাকে, তা নিরাময় হতে অনেক বেশি সময় লেগে যায়। তাছাড়া এটি দেহের ভেতরেও পৌঁছে যেতে পারে এবং গ্রাস নালী, স্বরযন্ত্র এবং গলার মত আভ্যন্তরীণ অঙ্গাণুবলিতে প্রবাহ ফেলে যা মারাত্মক ক্ষতি করে তোলে।
- দোকান থেকে যখন পান সুপারি কেনা হয়, তখন বেশিরভাগ পান সুপারি সাথেই তামাক মেশানো থাকে। তামাক একটি উত্তেজক হিসেবে পরিচিত যা ডোপামিনের মাত্রা বাড়ায় এবং দেহের শরীর শরীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে। , এটি একদিকে যেমন নেশা বাড়িয়ে তোলে তেমনি আবার অন্যদিকে গর্ভস্থ শিশুর ওপর প্রতিকূল প্রভাব ফেলতে পারে কারণ এই সকল পরিবর্তনগুলি তার বৃদ্ধির জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে।
- পানের পাতার উপর চুনের পলেপ দেওয়াই তাপান পাতার সকল পুষ্টি পদার্থ গুলি বেরিয়ে আসার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক হয়ে উঠতে পারে, তবে এটি অবশ্যই হৃদয়স্পন্দনে প্রবাহ ফেলতে পারে এবং বুক ধরফরানির কারণ হয়ে উঠতে পারে। এর থেকে হওয়া দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির মধ্যে কোরোনারি হার্ট ডিজিজ অন্তর্ভুক্ত। অনেক সময় আবার মানুষ ও পানের সাথে এই চুন খাওয়ার প্রতি অতিমাত্রায় আসক্ত হয়ে পড়ে।
- নিয়মিত মিষ্টি পান খাওয়ার ফলে ওজন বেড়ে যেতে পারে। গর্ব অবস্থায় নানা রকম খাদ্য বাসনা জেগে ওঠাটা কখনো নতুন জিনিস নয়, প্রায় সব মায়েদেরই এই সময় এমন কিছু খাবার খাওয়ার ইচ্ছে হয় সেগুলি কখনো কখনো অদ্ভুত হতে পারে। তবে এটা জেনে রাখাটাও গুরুত্বপূর্ণ যে তাদের সকল খাদ্য-বাসনা গুলি চরিতার্থ চরিতার্থ করাটাও সব সময়ের জন্য নিরাপদ হয়ে থাকে না। সেগুলির মধ্যে বেশ কিছু দীর্ঘ মেয়াদে তাদের এবং,গর্ভস্থ শিশুর ঠিকমতো যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে তার স্বাস্থ্যকর বিকাশকে সুনিশ্চিত করার একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়।
গর্ভাবস্থায় দই খাওয়া যাবে কি না
আমাদের দেশে দই অনেক জনপ্রিয় এবং অত্যন্ত পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার। কিন্তু গর্ভাবস্থায় এ খাবারটি খাওয়া নিরাপদ না ঝুঁকিপূর্ণ, তা নিয়ে অনেকেরই জানার জন্য কৌতুহলে ভুবেন। যদি এমন সমস্যায় আপনিও থাকেন, তবে আজকের আয়োজন আপনারই জন্য। দোয়ে রয়েছে শরীরের জন্য উপকারী ব্যাকটেরিয়া, যা কোন খাবার দ্রুত হজম করতে সাহায্য করে থাকে। তাই হজমের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে দুই ডায়েট লিস্টে রাখতে বলেছেন অনেক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞরা আরো বলেন, হবু মায়েদেরও ডায়েট লিস্টে দই রাখা প্রয়োজন। কারণ, গর্ভাবস্থায় হজম শক্তি হ্রাস পায়। পেটে গ্যাসের সমস্যা বাড়ে। এ সময় গ্যাসের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে হবু মায়েরা কোন ওষুধ খেতে পারেন না। এতে শিশুর ভ্রূণের ক্ষতির আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই এ সময় উপর আপনি ভরসা রাখতে পারেন টক দইয়ের ওপর। পুষ্টিবিদরা বলেন, হবু মায়েদের নিয়মিত দই খাওয়ার অভ্যাস না থাকলে বিপদ।
- ওই অন্ত্র সুস্থ রাখে, যা ইমিউনিটি বাড়িয়ে তুলে।
- ধুয়ে থাকা ক্যালসিয়াম হবু মা ও শিশুর হাড় মজবুত রাখতে সহায়তা করে। ভ্রণের দাঁতের গঠনেও ভূমিকা অনেক বেশি এই দইযে।
- ব্লাডপ্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে দুই। কিডনি, চোখ, হাড়ের সুরক্ষা ও দারুন কাজ করে থাকে দই।
- রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে আনতে পারে দই। হরমোন জনিত পরিবর্তন কিংবা ভারসাম্যহীনতার কারণে ত্বকের পরিবর্তন শুরু হলে তার সুরক্ষা নিশ্চিত করে থাকে দই। পিগমেন্টেশন প্রতিরোধেও এটি কার্যকারী অনেকটাই ভূমিকা পালন করে।
- গর্ভাবস্থায় খুব বেশি ওজন বৃদ্ধি এড়াতে চাইলে নিয়মিত দই খাওয়া প্রয়োজন। দই ওজন কমাতে সহায়তা করে।
- হবু মায়েদের প্রেগনেন্সির সময় ঘন ঘন মুড চেঞ্জ হয়। অযথ হয় বাড়তে থাকে উদ্বেগ আর দুশ্চিন্তা, এই সময় দই খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা স্ট্রেস হরমোন কার্টিসল বাড়তে বাধা দেয়, যা মানুষের চাপ মুক্ত থাকতে সাহায্য করে বহু মায়ের।
- গর্ভাবস্থায় হবু মায়েদের অবশ্যই খেতে হবে এক কাপ দল। মিষ্টি দইয়ের পরিবর্তে টক দই খাওয়ার অভ্যাস করলে এর সুফল দ্রুত পাওয়া যাবে বলেই মনে পড়ে অনেক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
গর্ভবস্থায় বেশি পানি পান করলে কি হয়
গর্ভাবস্থায় পর্যাপ্ত পানি পান করাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তবে তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো পানের উৎস নিরাপদ কিনা সে সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া। কারণ পানির মধ্যে শুধু h২৫ থাকে ব্যাপারটা এমন নয়, আপনার পান করা পানির মধ্যে আরও অনেক কিছু থাকতে পারে। গর্ভকালীন সময়ে আপনার কি অনেক পানি পান করতে ইচ্ছে করে? হ্যাঁ।
এমনটাই হওয়া উচিত। অজান্তেই আপনি মা হতে যাচ্ছেন, আর এই মুহূর্তে পর্যাপ্ত পানি পান করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় বের হয়ে দাঁড়ায়। যে পানি আপনি পান করছেন সেটা কিভাবে নিরাপদ রাখবেন?
পানি আপনার গর্ভের শিশুর কাছে প্রয়োজনীয় উপাদানগুলো পৌঁছে দেয়
কখনো কি আপনি ভেবেছেন যে গর্ভাবস্থার সময়ে আপনি যে ভিটামিন গ্রহণ করেন এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খান সেগুলো আপনার গর্ব পর্যন্ত কিভাবে পৌঁছায়? এইসব কিছুর প্রক্রিয়া শুরু হয় পানের মাধ্যম দিয়ে। প্রয়োজনীয় পুষ্টির শোষণ করে নিয়ে শরীরের কোষ পর্যন্ত পৌঁছাতে পানি আপনার শরীরকে অনেকটাই সাহায্য করে থাকে।
এছাড়া ভিটামিন, মিনারেল সহ অন্যান্য ধর্ম যাতে রক্ত কণিকায় পৌঁছে যায় সে ব্যাপারেও পানি আপনার শরীরকে পর্যাপ্ত পরিমাণে সহায়তা করে থাকে। এবং এ পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ রক্তকণিকা পরবর্তীতে প্লাসেন্টাতে পৌঁছে এবং সর্বোপরি আপনার গর্ভের শিশুর পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। এটা জেনে রাখবেন যে এই ধরনের সকল প্রক্রিয়ায় প্রাণের সাহায্যে হয়ে থাকে।
গর্ভকালীন সময়ে আপনাকে একটু বেশি পানি পান করা উচিত
গর্ভকালীন সময়ের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আপনার এবং গর্ভের শিশুর জন্য একটু বেশি পরিমাণে পানি পান করতে হবে। যদিও পানের পরিমাণটা একদমই নির্ভর করছে আপনার শারীরিক গঠন এবং আপনি কতটা সক্ষম তার ওপর। সাধারন হিসাব অনুযায়ী আপনাকে প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস বা ২ থেকে ৩ লিটার পানি সব ধরনের উৎস মিলিয়ে পান করতে হবে।
তাছাড়া সবচাইতে ভালো হয় যদি আপনার শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করা এ বিষয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া যায়। একসাথে অনেক পানি পান না করে বরং সারাদিনে কিছুক্ষণ পর পর পানি পান করা ভালো, কেননা এক্ষেত্রে অনেক পানি পান করে ফেলাটা আপনাকে অনেক অস্বস্তির মধ্যে ফেলতে পারে।
আমাদের মধ্যে অনেকেরই পরিমিত পানি পান করতে খুব একটা ভালো লাগে না, সকালে একটা অথবা দুইটা বোতলের মধ্যে পানি ঢেলে সেগুলো হাতের নাগালের মধ্যে রাখুন তাতে করে যে কোন সময় আপনি পানি পান করতে পারেন। এছাড়াও ব্যায়ামের শুরুতে, ব্যায়ামের মধ্যে এবং ব্যায়ামের শেষে নিয়মিত পানি পান করতে ভুলবেন না
এবং আবহাওয়া যদি বেশ গরম হয় তাহলে তো পানি পান করাটা আপনার জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। আরেকটি বিষয় জেনে রাখবেন, আপনার যদি তৃষ্ণা অনুভূত হয় তার মানে হল আপনার শরীর পানি শূন্যতায় ভুগছে এবং এই মুহূর্তেই পানের প্রয়োজন আপনার। আপনি এখন একটা প্রশ্ন করতে পারেন, সেটা হল কিভাবে বুঝবেন যে আপনি পরিমাণ মতো পানি পান করছেন কিনা?
এর উত্তর হচ্ছে যে আপনার যদি নিয়মিত প্রসাব হয় এবং তার রং ধুসর অথবা রংবিহীন হয় তাহলে বুঝতে হবে আপনার পানি পান করার তৌফিক আছে। পরিমিত বাণী প্রসবের রাস্তায় সংক্রমণ, কণ্ঠকাঠিন্য এবং অর্শরোগ প্রতিরোধ করে থাকে।
গর্ভবতী অবস্থায় কিভাবে ঘুমানো উচিত
গর্ভবতী মহিলাদের জন্য ঘুমের সর্বতম দিয়ে হলো দক্ষিণ দিকে মুখ করে মাথা রাখা কারণ এটি শরীরের প্রাকৃতিক মেরুত্বের কারণে তার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। গর্ভবতী মহিলাদের পূর্ব দিকে মাথা রেখে ঘুমানো একদম এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ হলো তাপ, যা গর্ভাবস্থাকে প্রভাবিত করে।
যখন পৃথিবীর পূর্ব দিক উত্তপ্ত হয়, তখন পশ্চিমবঙ্গ ঠান্ডা থাকে। এভাবে, সূর্যের কারণে উত্তপ্ত তাপবিদ্যুৎ পূর্ব থেকে পশ্চিমে চলে যায়। এছাড়াও গর্ভাবস্থায় ঘুমানোর অবস্থান সম্পর্কে আরো কিছু টিপস রয়েছে।
- একজন গর্ভবতী মহিলার মাথার নিচে ঘুমানো এড়ানো উচিত মরীচি শয়নকক্ষ এবং বিছানার আশেপাশে যায়গাটি বিশৃঙ্খলা মুক্ত রাখতে হবে।
- সবার ঘরের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে ঘুমানো উচিত। উত্তর-পশ্চিম দি ক এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।
- বেডরুমে টেলিভিশন, কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা অন্যান্য ইলেকট্রনিক গেজেট এড়িয়ে চলুন, কারণ এগুলো নেতিবাচক শক্তির উৎস হতে পারে।
- অন্তত প্রথম তিন মাস বাড়ির দক্ষিণ-পূর্ব এলাকায় এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। সে উত্তর-পূর্বের ঘরে ঘুমাতে পারে।
- নিশ্চিত করুন যে ঘরটি ভালোভাবে আলোকিত এবং ভালো বায়ু চলাচল করছে এমন একটি রুম।
- এবং নারীদের অবশ্যই ধর্মীয় ও অনুপ্রেরণামূলক বেশি বেশি বই পড়ার চেষ্টা করুন।
- সুন্দর শিশুদের ছবি দিয়ে সবার ঘর সাজানো। দেওয়ালে আকর্ষণীয় পেন্টিং ঝুলিয়ে রাখুন কিন্তু সহিংসতা বা কোন নেতিবাচকতার চিত্র রাখবেন না।
- সিঁড়ির নিচে বাথরুম ব্যবহার করবেন না।
- বাড়িতে গাছপালা রাখার সময়- ক্যাকটাসের মতো কাটাযুক্ত গাছ বা রাবার গাছের মতো সাদা রস যুক্ত গাছ ব্যবহার করবেন না। বনসাই গাছ বাড়িতে রাখবেন না কারণ এটি বৃদ্ধি রোধ করে।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি যদি এই পোস্টটি সম্পন্ন ভালোভাবে পড়ে থাকেন তাহলে আপনি অবশ্যই উপকৃত হয়েছেন এবং জেনেছে গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয় - গর্ভবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়, নিশ্চয়ই আমাদের এই পোস্টটি আপনাকে উপকৃত করেছে।
আপনার কাছে এই পোস্টটি ভাল লেগে থাকলে আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। এরকম বিভিন্ন ধরনের ব্লক পোস্ট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। আমরা নিয়মিত নতুন নতুন পোস্ট আপলোড করে থাকে এ সাইটে। আসসালামু আলাইকুম।
সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url