ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব কি - ব্যবস্থাপনার বৈশিষ্ট্য কি কি
দৈনন্দিন জীবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহারপ্রিয় পাঠক, আপনি নিশ্চয়ই জানতে চাচ্ছেন ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব কি এবং ব্যবস্থাপনার বৈশিষ্ট্য কি কি। সেজন্য আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাকে জানাবো ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব কি এবং ব্যবস্থাপনার বৈশিষ্ট্য কি কি সে সম্পর্কে। আপনি যদি আমাদের এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে জানতে পারবেন ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব কি এবং ব্যবস্থাপনার বৈশিষ্ট্য কি কি। শুধু তাই নয় এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনারা আরো জানতে পারবেন আধুনিক ব্যবস্থাপনার জনক কে।
আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনার কাছে অনেক ভালো লাগবে এবং আপনি আর্টিকেলের মাধ্যমে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন। আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যাদের বিভিন্ন পরীক্ষায় অনেক সময় প্রশ্ন হিসাবে ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব কি ও ব্যবস্থাপনার বৈশিষ্ট্য কি কি এবং আধুনিক ব্যবস্থাপনা জনক কে এ সমস্ত বিষয়গুলো এসে থাকে। তাই আমাদের এ সমস্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে আসা উচিত। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা ঝটপট জেনে নেওয়ার চেষ্টা করি ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব কি ও ব্যবস্থাপনার বৈশিষ্ট্য কি কি এবং আধুনিক ব্যবস্থাপনার জনক কে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব কি - ব্যবস্থাপনার বৈশিষ্ট্য কি কি
ভূমিকা
ব্যবস্থাপনা হলো কোন নির্দিষ্ট লক্ষ্য বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে এক বা একাধিক ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত কোনো গোষ্ঠীর ওপর কর্তৃত্ব স্থাপন ও নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে একটি প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত উপকরণ এবং কার্যক্রম ব্যবহারের একটি ধারাবাহিক সার্বজনীন ও সামাজিক প্রক্রিয়া যা এক ধরনের মূল্যবান অর্থনৈতিক সম্পদ।
আরো পড়ুনঃ ব্যবসায় পরিকল্পনার মৌলিক ধারণা কি কি
তাই আমরা এই আর্টিকেল জুড়ে যে সমস্ত বিষয়গুলো জানবো সেগুলো হল ব্যবস্থাপনার বৈশিষ্ট্য কি কি, আধুনিক ব্যবস্থাপনার জনক কে, ব্যবস্থাপনা প্রথম কাজ কি, এবং ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব কি। এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি অনেক কিছু জানতে পারবেন এগুলো বিষয়ে। তাই অবশ্যই এ পোস্টটি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়বেন।
ব্যবস্থাপনার প্রথম কাজ কি
ব্যবস্থাপনার প্রথম কাজ হল পরিকল্পনা করা। এখন আপনি হয়তো বা প্রশ্ন করতে পারেন পরিকল্পনা কি? সেই উত্তরে আমরা বলব পরিকল্পনা হচ্ছে ভবিষ্যতে আমরা কি করতে চাই, কিভাবে, কখন এবং কার দ্বারা করতে চায় তা পূর্ব হতে নির্ধারণ করা কেই মূলত পরিকল্পনা বলা হয়ে থাকে।
এবং একটি পরিকল্পনা ব্যবস্থাপনার অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা বজায় রাখতে অনেক সহযোগিতা করে থাকে। আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন ব্যবস্থাপনার প্রথম কাজ কি। এই প্রথম কাজের মাধ্যম দিয়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালনা করা হয়ে থাকে।
ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব কি
ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব বলতে পরিবার, ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, ধর্ম, রাষ্ট্র, সমাজ তথা সব ক্ষেত্রেই অতি প্রয়োজনীয় বিষয়ে পরিণত হয়েছে এই ব্যবস্থাপনা। কখনোই কোন প্রতিষ্ঠানে সফলতা লাভ করতে পারবে না ব্যবস্থাপনা ছাড়া। এই বিশ্বায়নের যুগে প্রতিষ্ঠান কাজে দিনে দিনে প্রতিযোগিতা বেড়ে যাওয়ার দক্ষ ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব আগের থেকে অনেকটাই বেড়ে গেছে। নিচে আমরা কিছু ব্যবস্থাপনার গুরুত্বের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি সেগুলো হল-
উত্তম সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করা
আমরা জানি একটি প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পক্ষ থাকে। যেমন ব্যবস্থাপক, ক্রেতা, মালিক, কর্মী, ভোক্তা এবং সরবরাহকারী প্রভৃতি। এই ধরনের পক্ষের মধ্যে কোন মত বিরোধ হলে তা ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কমিয়ে আনা সম্ভব হয়। এবং ব্যবস্থাপনার কাজ সম্পাদনে বিভিন্ন ধরনের ব্যক্তি বা পক্ষের সাথে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ করতে হয়ে থাকে।এর ফলে তাদের সাথে উত্তম সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করা যায়।
সহজেই লক্ষ্য অর্জন করা
একটি প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কাঙ্ক্ষিত ফলকে প্রধানত লক্ষ্য বলা হয়। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য ছোট ছোট ধাপ বা মাইল ফলককে উদ্দেশ্য বলা হয়ে থাকে।এজন্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে খুব সহজে পরিকল্পনা তৈরি, কর্মী সংস্থান, সংগঠিত করন, প্রেষণা, নির্দেশনা, নিয়ন্ত্রণ এবং সমন্বয় সাধনের কাজ করা সম্পূর্ণ করা হয়ে থাকে। তার কারণে একে উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য অর্জনের একটি কার্যকর কৌশল হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
গবেষণা এবং উন্নয়ন
একটি নতুন কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে বা কোন বিষয়কে প্রতিষ্ঠা করার জন্য যেই পদ্ধতি অবলম্বন করা হয় বা অনুসাধনকে গবেষণা বলা হয়। এই প্রতিযোগিতা মোকাবেলা ভোক্তা ও ক্রেতাদের পরিবর্তনশীল চাহিদা পূরণ এবং নতুন পূর্ণ নিয়ে আম উৎপাদনের জন্য প্রতিনিয়ত গবেষণা ও উন্নয়নের প্রয়োজন হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে কার্যকর ব্যবস্থাপনা এই ধরনের কাজে সহায়তা করে থাকে।
কর্মসংস্থানের জন্য সুযোগ সৃষ্টি
একটি কার্যকর ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সেই প্রতিষ্ঠানটির সম্প্রসারণ করা যায়। তাছাড়া নতুন ধরনের প্রতিষ্ঠানও গড়ে তোলা যায় অনেক সহজে।সেক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়ে থাকে। যেটা আমাদের দেশে বেকার সমস্যা কমাতে ভূমিকা পালন করে।
দক্ষতা বৃদ্ধি করুন
এক্ষেত্রে সময়, প্রচেষ্টা ও অর্থের অপচয় না করে সর্বোচ্চ ফলাফল অর্জনের সামর্থকে দক্ষতা বলা হয়।একটি কার্যকর ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কর্মীদের সমপরিমাণ দক্ষতা বাড়ানো সম্ভব হয় এবং কাজ সম্পাদনে ভুল ত্রুটি কমানো যায় খুব সহজে। তার ফলে নির্ধারিত বাজেট অনুযায়ী কাজ করা সহজ হয়ে থাকে। এবং দক্ষ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে একটি ব্যবসায়ের সম্পদ ও উপকরণাদির সুষ্ঠু ব্যবহার করা সম্ভব হয়। এতে করে অপচয় ও ব্যয় খুব সহজে কমানো যায় এবং কর্ম প্রচেষ্টার সর্বোচ্চ ব্যবহার করা সম্ভব হয়।
ব্যবস্থাপনার বৈশিষ্ট্য কি কি
কোন কিছুর বিষয় সম্পর্কে সঠিকভাবে ধারণা পেতে তার প্রকৃতি বা বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে প্রথমে জানতে হয়। এই আধুনিক বিশ্বে পরিবার, অফিস, ক্লাব, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব ক্ষেত্রেই পকীয় কার্যক্রম সর্বোচ্চ গুরুত্বের সাথে সুন্দর ভাবে পরিচালিত হচ্ছে। তাই এগুলো সম্পর্কে সবার ধারণা থাকা একান্ত প্রয়োজন। সেজন্য আমরা নিচে ব্যবস্থাপনার বৈশিষ্ট্য কি সে সম্পর্কে আলোচনা করেছি। তাহলে চলুন বিস্তারিতভাবে জেনে আসি।
আরো পড়ুনঃ ব্যবসায় পরিকল্পনার গুরুত্ব
সামাজিক প্রক্রিয়া
সামাজিক প্রক্রিয়া বলতে সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিদের নিয়ে কাজ করাকে বোঝানো হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে মালিক, সরবরাহকারী, শ্রমিক, ভোক্তা এবং সরকারসহ সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের সমাজের সব পক্ষকে নিয়ে এবং সবার কল্যাণের জন্য ব্যবস্থাপনার কাজগুলো করা হয়ে থাকে। তার ফলের ব্যবস্থাপনার কার্যাবলী সম্পাদনের সাথে সামাজিক উদ্দেশ্যও অনেকটাই অন্তর্ভুক্ত থাকে। সেজন্য ব্যবস্থাপনা একটি সামাজিক প্রক্রিয়া হিসেবে আখ্যায়িত পেয়েছে।
অবিরাম প্রক্রিয়া
ধারাবাহিক ও পরস্পর নির্ভরশীল কাজের সমষ্টিকে মূলত প্রক্রিয়া বলা হয়ে থাকে। ব্যবস্থাপনা হল এক ধরনের গতিশীল, ধারাবাহিক ও অবিরাম কর্ম প্রক্রিয়া। শুধুমাত্র একটি কাজ সম্পাদনের মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া শেষ করা সম্ভব হয় না। সেজন্য পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ব্যবস্থাপককে সংগঠিত করুন, নির্দেশনা, সমন্বয়সাধন, কর্মী সংস্থান ও নিয়ন্ত্রণমূলক কাজ সব সময় করতে হয়।
অস্পর্শনীয়
ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম এমন একটি মাধ্যম যেটা সরাসরি দেখা বা ধরা যায় না। কিন্তু একে অনুভব করা যায় খুব সহজে। অর্থাৎ বলা যায় ব্যবস্থাপনার কোন ধরনের শারীরিক উপস্থিতি নেই। ব্যবস্থাপকদের দিক-নির্দেশনা, নিয়ন্ত্রণ, পরিকল্পনা, প্রেষণা প্রভৃতি কাজের মাধ্যমে ব্যবস্থাপনাকে উপলব্ধি করা সম্ভব।
সামাজিক প্রক্রিয়া
সামাজিক প্রক্রিয়া বলতে সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যাক্তিদের নিয়ে কাজ করাকে বোঝায়।ভোক্তা, সরবরাহকারী, শ্রমিক, সরকার, মালিকসহ সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের সমাজের সব পক্ষকে নিয়ে এবং সবার কল্যাণের জন্য ব্যবস্থাপনার কাজগুলো করা হয়ে থাকে। এতে করে ব্যবস্থাপনার কার্যাবলী সম্পাদনের সাথে সামাজিক উদ্দেশ্য ও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সেজন্য ব্যবস্থাপনা একটি সামাজিক প্রক্রিয়া বলা যায়।
লক্ষ্য অর্জনের উপায়
যেকোনো ধরনের প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির মূল ইচ্ছা অভিপ্রায় বা কাঙ্খিত ফলকে লক্ষ্য বলা হয়ে থাকে। আর এই লক্ষ্য অর্জনের মাইলফলক বা ধাপকে উদ্দেশ্য বলা হয়। সেজন্য যে কোন প্রচেষ্টার মূলে এই লক্ষ্য কিংবা উদ্দেশ্য ক্রিয়াশীল থাকে। আর সেজন্য এ লক্ষ অর্জনের জন্য ব্যবস্থাপনার কাজ পরিচালিত করা হয় বা অনেক সহজ হয়।
একটি পূর্ণাঙ্গ জ্ঞান
আপনি বলতে পারেন ব্যবস্থাপনা হচ্ছে একটি পৃথক এবং পূর্ণাঙ্গ জ্ঞান। কারণ বারবার অনুশীলনের মাধ্যমে নির্বাহীগণকে এই জ্ঞানগুলো অর্জন করতে হয়। এবং ব্যবস্থাপনার জ্ঞান নির্বাহীগণকে তাদের দায়িত্বব্য ও কর্তব্য সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করতে অনেক সহায়তা করে থাকে।
কতিপয় সমাজের সমষ্টি
ব্যবস্থাপনা বলতে কতিপয় তাদের সমষ্টি। এই ধরনের কাজগুলো সংগঠন, নির্দেশনা, নৈতিকতব্যদান, কর্মী সংস্থান, পরিকল্পনা, নিয়ন্ত্রণ, প্রেষণা এবং সমন্বয়ে সাধন।একটি প্রতিষ্ঠানের নির্বাহীগণকে উক্ত বিভিন্ন ধরনের কার্যাবলী সম্পাদন করতে হয়।এবং তারপর উপরিয়ক্ত কার্যাবলী গুলো সুস্থ সম্পাদনের ওপর প্রতিষ্ঠানিক সাফল্য নির্ভরশীল।
মূল্যবান অর্থনৈতিক সম্পদ
একটি ব্যবস্থাপক্ষের মূল্যবান অর্থনৈতিক সম্পদ হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে। সে জন্য দুঃখ ব্যবস্থাপনা ব্যবসায়ের উন্নতির সোপান। এবং অন্যদিকে অদক্ষ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানের ব্যর্থতার প্রধান কারণ। এ সমস্ত কারণে সুদক্ষ ব্যবস্থাপনাকে মূল্যবান সম্পদ হিসেবে অভিহিত করা হয়ে থাকে।
সুতরাং, উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমরা ব্যবস্থাপনার বৈশিষ্ট্য কি কি তথা প্রকৃতি সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায়। এই ব্যবস্থাপনার অদৃশ্য শক্তি হিসেবে যে কোন সংগঠনে বিদ্যমান থাকে। এটি এক ধরনের "উদ্দেশ্যমুখী"। তাছাড়া উদ্দেশ্য অর্জিত হয়েছে কিনা তা বিচার করে এর কার্যকারিতা পরিমাপ করা সম্ভব হয়।
আধুনিক ব্যবস্থাপনার জনক কে
আধুনিক ব্যবস্থাপনার জনক হল "হেনরি ফেওল " (Henri Fayol)। তিনি ফ্রান্সে জন্মগ্রহণ করেন (১৮৪১ সালে)। এবং তিনি মৃত্যুবরণ করেন ১৯২৩ সালে। তিনি মূলত ছিলেন একজন খনি প্রকৌশলী। ১৮৬০ সালে ১৯ বছর বয়সে তিনি " কম্প্যাগনি ডি কমেন্ট্রি ফরচ্যাম্ব্যু ডিকে জেভিল" কোম্পানিতে কাজ শুরু করেছিলেন, তারপর তিনি ১৮৮৮ সালে ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে পদোন্নতি পান।
তারপর সেই কোম্পানিটির আর্থিক মন্দাবস্থা চলছিল। যখন তিনি ১৯১৮ সালে ওই পথ থেকে অবসর নেয়, তখন কোম্পানি একটি দৃঢ় অর্থনৈতিক অবস্থানে ছিল। তিনি ব্যবস্থাপনার পাঁচটি কার্যাবলী এবং ১৪ টি মূল নীতি প্রবর্তক। হেনরি ফেওল " (Henri Fayol) ১৯১৬ সালে প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনার ওপর "ইন্ডাস্ট্রিয়াল এবং জেনারেল ম্যানেজমেন্ট" নামক একটি বই লিখেন যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১৯৪৯ সালে প্রকাশিত হয়ে থাকে। এবং যেটা পরবর্তীতে অন্যান্য লেখকদের ব্যাপকভাবে অনুপ্রাণিত করেছিল এই বইটি। আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন।
শেষ কথা | আধুনিক ব্যবস্থাপনার জনক কে | ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব কি
প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি নিশ্চয়ই এতক্ষণে জেনে গেছেন ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব কি এবং ব্যবস্থাপনার বৈশিষ্ট্য কি কি তা সম্পর্কে। ব্যবস্থাপনা এমন একটি বিষয় যা আমাদের প্রত্যেকেই জানা উচিত। কারণ শুধুমাত্র ব্যবস্থাপনার মাধ্যম দিয়েই একটি সুন্দর ব্যবসা পরিচালনা করা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনার কাছে অনেক ভালো লেগেছে এবং আপনার অনেক উপকারে আসবে।
আরো পড়ুনঃ শিক্ষা পরিকল্পনা বলতে কী বোঝোয়
তাই এই আর্টিকেলটি যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না কারণ আপনার বন্ধুরাও আপনার মাধ্যমে জানতে পারবে ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব কি এবং ব্যবস্থাপনার বৈশিষ্ট্য কি কি সে সম্পর্কে। আর অবশ্যই আমাদের এই ওয়েব সাইটে নিয়মিত ফোলো করার চেষ্টা করবেন।
কারণ আমরা এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত নতুন নতুন ব্লগ পোস্ট আর্টিকেল পাবলিশ করে থাকে। শুধু তাই নয় এই ওয়েবসাইটে নিত্য নতুন প্রযুক্তি বিষয়ক পোস্ট পাবলিশ করা হয়ে থাকে। তাই চেষ্টা করবেন এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করার। ভালো থাকবেন, আপনার পরিবারকে ভালো রাখার চেষ্টা করবেন। আসসালামু আলাইকুম।
সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url