উচ্চ রক্তচাপ হলে কি কি সমস্যা হয় - হাই ব্লাড প্রেসার কত

গ্যাস্ট্রিক হলে কি কি খাওয়া যাবে নাপ্রিয় পাঠক, উচ্চ রক্তচাপ হলে কি কি সমস্যা হয় এটা অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও কি আপনি খুঁজে পান নাই? আমরা আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপ হলে কি কি সমস্যা হয় সেগুলো আপনার সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব।

উচ্চ-রক্তচাপ-হলে-কি-কি-সমস্যা-হয়
উচ্চ রক্তচাপ হলে কি কি সমস্যা হয় সেগুলো বিস্তারিত জানতে অবশ্যই আপনাকে সম্পূর্ণ আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। আপনি আর্টিকেলটা পড়লে আরো জানতে পারবেন, হাই প্রেসার হওয়ার কারণ কি, হাই ব্লাড প্রেসার কত?, প্রেসার বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ কি এবং উচ্চ রক্তচাপের জন্য দায়ী গ্রন্থি কোনটি। এগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন, তো বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য স্টেপ বাই স্টেপ সকল পয়েন্টগুলো মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ উচ্চ রক্তচাপ হলে কি কি সমস্যা হয় - হাই ব্লাড প্রেসার কত

ভূমিকা | উচ্চ রক্তচাপ হলে কি কি সমস্যা হয় | হাই ব্লাড প্রেসার কত

বাংলাদেশে এখন অনেক মানুষের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এবং অনেক মানুষ যারা উচ্চ রক্তচাপ হলে কি কি সমস্যা হয় তা নিয়ে গুগলে অনেক সার্চ করেন। কিন্তু সঠিক তথ্য না পাওয়ায় উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে অনেক সমস্যায় ভুগছেন। সেজন্য আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে সঠিক তথ্য আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব। এছাড়াও আপনি এ পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন, হাই প্রেসার হওয়ার কারণ কি, হাই ব্লাড প্রেসার কত,

উচ্চ রক্তচাপ হলে কি কি সমস্যা হয়, প্রেসার বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ কি এবং উচ্চ রক্তচাপের জন্য দায়ী গ্রন্থি কোনটি। এ সকল বিষয় সম্পর্কে আমরা সঠিক তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি আপনাদেরকে। আশা করি এই পোস্টটি যদি আপনি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে স্টেপ বাই স্টেপ পড়েন। তাহলে এগুলো বিষয় সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত জানতে পারবেন। আশা করি এ পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে আসবে-

হাই প্রেসার হওয়ার কারণ কি

হাই প্রেসার একটি জটিল সমস্যা। এটি মূলত আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করে থাকে। এটি মূলত বিশেষ করে হৃদপিণ্ড, চোখ, যকৃত ও কিডনি অনেক ঝুঁকিতে থাকে হাই প্রেসারে। এছাড়াও হাই প্রেসার বংশগত কারণেও হতে পারে, আবার বদ অভ্যাসের কারণে হতে পারে। এই বিষয়ে মূলত সঠিকভাবে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ইমিরেটাস অধ্যাপক ডক্টর এবিএম আব্দুল্লাহ।

ডক্টর আব্দুল্লাহ এর মতে, অধিকাংশ সময় রক্ত চাপটা স্বাভাবিক মাত্রার ভেতরে থাকে। সেক্ষেত্রে যখন একটি মানুষের বয়স কম থাকে তখন রক্তচাপও অনেকটাই কম হয়। উচ্চ রক্তচাপের রোগীকে চেনার জন্য আপনাকে বুঝতে হবে, যদি কোন ব্যক্তির রক্তচাপ স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে বেশি হয় এবং অধিকাংশ সময়ে এমনকি বিশ্রামকালীনও বেশি থাকে।

ডক্টর আব্দুল্লাহ আরো বলেন, একশোর মধ্যে ৯০ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপের কোন নির্দিষ্ট কারণ জানা যায়নি। একি প্রাইমারি বা অ্যাসেন্সিয়াল রক্তচাপ বলা হয়ে থাকে। আবার অনেক কিছু বিষয় রক্তচাপের আশঙ্কা বাড়িয়ে থাকে।

বংশগত

উচ্চ রক্তচাপের বংশগত ধারাবাহিকতা আছে, কারণ যদি আপনার বাবা-মায়ের উচ্চ রক্তচাপ থাকে সেক্ষেত্রে আপনারও উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

অতিরিক্ত লবণ খাওয়াই

আমরা হয়তোবা অনেকেই জানিনা হাওয়ার লবণে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম থাকে, যা আমাদের রক্তের জলীয় অংশ বাড়িয়ে দেয়। ফলে রক্তের আয়তন বেড়ে যায় এবং রক্তচাপও বেড়ে যায়।

ধূমপান বা মধ্যপান

ধূমপান বা মধ্য পান ব্যক্তিদের শরীরে তামাকের নানা রকম বিষাক্ত পদার্থের প্রক্রিয়ায় উচ্চ রক্তচাপ সহ ধমনী, শিরা উপশিরার নানা রকম রোগ এবং হৃদরোগ দেখা দিতে পারে।

আপনার অলস জীবন যাপন বা অধিক ওজন

আপনি যদি যথেষ্ট পরিমাণে শারীরিক পরিশ্রম ও ব্যায়াম না করেন তাহলে আপনার শরীরে ওজন বেড়ে যেতে পারে। এতে করে আপনার হৃদযন্ত্রকে অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে হয় এবং তার ফলে অধিক ওজন সম্পন্ন লোকদের উচ্চ রক্তচাপ সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে।

আপনার অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস

আপনি যদি অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার যেমন মাখন, মাংস এবং বিভিন্ন তেলে ভাজা খাবার খেলে ওজন বাড়বে। এছাড়াও ডিমের হলুদ অংশ ও কলিজা, মগজ, জর্দা মূলত এসব খাবার খেলে রক্তে কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। ফলে রক্ত অতিরিক্ত কোলেস্টেরল হলে রক্তনালীর দেওয়াল মোটা হয় এবং শক্ত হয়ে যায়। তার ফলে রক্তচাপের আশঙ্কা দেখা দিয়ে থাকে।

অতিরিক্ত ধূমপান বা মদ্যপান

আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা নিয়মিত অতিরিক্ত পরিমাণে মদ্যপান করে, তাদের ক্ষেত্রে বেশি উচ্চ রক্তচাপ সমস্যা দেখা দেয়।

আপনার যদি ডায়াবেটিস থাকে

মূলত বয়সের সাথে সাথে ডায়াবেটিস রোগীদের উচ্চ রক্তচাপ সমস্যা দেখা দেয়।

অতিরিক্ত উৎকণ্ঠা ফলে সমস্যা দেখা দিতে পারে

এখানে আমরা বোঝানোর চেষ্টা করেছি আপনাকে আপনার যদি অতিরিক্ত রাগ, উত্তেজনা, মানসিক চাপ এবং ভীতি থাকে তাহলে সে কারণেও রক্তচাপ সাময়িকভাবে বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাছাড়া কিছু কিছু রোগের কারণে উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে। সেজন্য নির্দিষ্ট কারণ খুঁজে পাওয়া গেলে একে বলা হয়ে থাকে সেকেন্ডারি হাইপারটেশন।

এর কয়েকটি কারণগুলো হলো, কিডনি রোগ অ্যান্ড্রেনাল গ্রন্থি এবং পিটুইটারি গ্রন্থির টিউমার এছাড়াও ভ্রমণের বংশগত রোগ, গর্ভধারণ অবস্থায় অ্যাকলাম্পসিয়া এবং প্রি অ্যাকলাম্পসিয়া হলে, অনেকদিন ধরে জন্ম নিয়ন্ত্রণের বড়ির ব্যবহার ও স্টেরয়েড জাতীয় হরমোন বহন অথবা ব্যথা নাশক কিছু ওষুধ সেবন।

হাই ব্লাড প্রেসার কত

আমরা এতক্ষন জানালাম হাই প্রেসার হওয়ার কারণ কি। এখন আমরা পোস্টের এই অংশে জানবো হাই ব্লাড প্রেসার কত? সে সম্পর্কে। আসলে একটি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ বা সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের রক্তচাপ থাকে ১২০/৮০ মিলিমিটার মার্কারি। কারণ হল ব্লাড প্রেসার রিডিং যদি ১৪০/৯০ এটা বা এর থেকেও বেশি হয়,

সে ক্ষেত্রে আপনাকে বুঝতে হবে আপনার উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে। কিংবা রক্তচাপ যদি ৯০/৬০ এটা বা এর আশেপাশে থাকে, সেক্ষেত্রে আপনার লো ব্লাড প্রেসার হিসাবে ধরা হবে। আশা করি বিষয়টি আপনি সুন্দরভাবে বুঝতে পেরেছেন।

উচ্চ রক্তচাপ হলে কি কি সমস্যা হয়

এতক্ষণ আমরা জানলাম, হাই ব্লাড প্রেসার কত। আমরা পোস্টটির এই অংশে এখন জানবো উচ্চ রক্তচাপ হলে কি কি সমস্যা হয়? সে সম্পর্কে। উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাড প্রেসারের বলা হয়ে থাকে "নীরব ঘাতক"। কারণ হচ্ছে এটি শরীরকে আস্তে আস্তে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়। এখন বাংলাদেশের শুধুমাত্র বয়স্ক মানুষেরই হাই ব্লাড প্রেসার হয় না বরং এটি যে কোন বয়সে ক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপের প্রবণতা দেখা দিচ্ছে।

আমাদের বেশি ওজন, অনিয়মিত জীবন যাপন, সঠিকভাবে খাদ্যাভ্যাসের কারণে এমনটা হয়।আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যাদের জিন ঘটিত কারণেও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দেয়। সেজন্য আমাদেরকে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি খাদ্যা ভেসেও আনতে হবে পরিবর্তন। তা না হলে আমাদের দিন দিন এই সমস্যা আরো বৃদ্ধি পাবে।তাই আমাদেরকে আগে থেকেই এ বিষয়ে অনেক কঠোর নজরদারি দেওয়া দরকার।

উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা গুলো কারো বেশি হয় বা কারো কম হয়, কিন্তু বিশেষত এই গ্রীষ্মকালে পেশার কমে যাওয়া বা বৃদ্ধি পাওয়ার প্রবণতা অনেক বেশি দেখা দেয়। সেজন্য আমাদেরকে এ ব্যাপারে এখন বেশি সতর্কতা থাকা জরুরি। আমরা জানি, রক্তস্রোত রক্তনালের দেওয়ালে যে চাপ সৃষ্টি করে থাকে সেটি মূলত রক্তচাপ। স্বাভাবিক অবস্থায় এর পরিমাপ ১২০/ ৮০ থাকে।এই পরিমাপ থেকেও যদি একটু বেশি চাপ থাকে তাহলেও সেটি স্বাভাবিক বলে ধরা হয়।

কিন্তু যদি, ১৪০/৯০ এর বেশি হয়ে থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে তা উচ্চ রক্তচাপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু সিস্টোলিক ব্লাড প্রেসার ১০০ ১০০ বা এর কম থাকে তাহলে তাকে বলা হয় লো প্রেসার। অনেক সময় এমনটা হয় যে, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে কিন্তু ওষুধ ঠিকমতো না খাওয়ার জন্য হঠাৎ করে রক্তচাপ বেড়ে গিয়ে হার্টস্টোক বা হার্ট অ্যাটাকের মত মরণবিধি সমস্যা দেখা দিতে পারে।

এছাড়াও কিডনি এবং চোখ খারাপ হয়ে যেতে পারে। এবং হঠাৎ করে ব্লাড প্রেসার বেড়ে গিয়ে হাতে পায়ে গাংরিনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার অনেক গরম মানে শরীরে অতিরিক্ত জলের প্রয়োজনীয়তা। তার সাথে শরীরে অত্যাধিক প্রদাহ, এবং শরীরে নুন কমে যাওয়ার সঙ্গেও সোডিয়াম, পটাশিয়াম হ্রাস পেতে পারে। এই গরমে ব্লাড প্রেসারের সমস্যা খুব স্বাভাবিক।

কারণ বেশিরভাগ সময় দেখা যায়, প্রেসার কর্মশয় কমছে। তার কারণ হলো, প্রয়োজনের অতিরিক্ত জল শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। এবং সেখান থেকে শরীরে নুনের ঘাটতি দেখা দিয়ে থাকে। সেজন্য আমরা যদি গরমকালে জল পান পর্যাপ্ত পরিমাণে না করি তাহলে প্রেসার হঠাত করে কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। সে ক্ষেত্রে যখন আবহাওয়ার তাপমাত্রা শরীরের থেকে বেড়ে যায়,

তখন মূলত মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাস অংশ সেই তাপমাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে শরীর ঠান্ডা রাখতে অনেক সাহায্য করে থাকে। কিন্তু যখনই এই হাইপোথ্যালামাস ঠিকঠাক মতো কাজ করতে পারে না কিংবা হাইপোথ্যালামাস ডিস ফাংশন হয়ে থাকে, তখন কিন্তু আমাদের মস্তিষ্ক শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের কাজ করতে অনেকটাই ব্যর্থ হয়ে যায়। তারফলে হার্টস্টোক এর সম্ভাবনা প্রবল হয়।

এছাড়াও অতিরিক্ত গরমে হঠাৎ করে কেউ অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে এবং চোখে ঝাপসা দেখার সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেজন্য আপনি যদি এই সময়ে বাইরে যান তাহলে অবশ্যই আপনার সাথে ছাতা রাখতে হবে এমনকি সাথে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল রাখতে হবে। আসলে আমাদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা আবশ্যক। আশা করি আপনি উচ্চ রক্তচাপ হলে কি কি সমস্যা হয় তা বুঝতে পেরেছেন।

প্রেসার বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ কি

এতক্ষণ আমরা জানলাম, উচ্চ রক্তচাপ হলে কি কি সমস্যা হয়। এখন আমরা প্রশ্নের এই অংশে জানব প্রেশার বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ কি? সে সম্পর্কে। আসলে আমাদের শরীরে হাই প্রেসারের কোন বিশেষ কারণ থাকে না। সে ক্ষেত্রে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আছে কিনা সেটা বোঝার উপায় হচ্ছে নিয়মিত রক্তচাপ মাপা। আবার রক্তচাপ মাপার ক্ষেত্রে রক্ত মাপার যন্ত্র দ্বারা দুইটি সংখ্যা রেকর্ড করা হয়ে থাকে।

ডায়াস্টোলিক প্রেসার বা চাপঃ রিডিং দুটির মধ্যে ছোট সংখ্যা এবং নিচের মানটি হল ডায়াস্টোলিক চাপ। মূলত এই চাপের সৃষ্টি হয়ে থাকে রক্ত সঞ্চালনের বিরুদ্ধে রক্তনালীর বাধা থেকে।

সিস্টোলিক প্রেসার বা চাপঃ দুইটি রিডিং এর মধ্যে বড় সংখ্যা এবং উপরের মানটি হল সিস্টোলিক চাপ। মূলত এই চাপ সৃষ্টি হয়ে থাকে হৃৎপিণ্ড থেকে প্রতি ইস্পন্দনে সারা শরীরে রক্ত সঞ্চালনের সময়ে।

মূলত রক্তচাপকে মিলিমিটার বা এম এম এইচ জি এককে মাপা হয়ে থাকে। ধরে নেওয়া যায় আপনার রক্তচাপ ১২৫/৮৫ মিলিমিটার। সে ক্ষেত্রে সিস্টোলিক চাপ হবে ১২৫ এবং ডায়াস্টোলিক চাপ হবে ৮৫।

ব্যক্তির রক্তচাপ একে ওপরের থেকে কিছুটা ভিন্ন হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে একজনের জন্য সেই রক্তচাপ কম বা বেশি তা অন্য জনের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক হতেও পারে। যদি রক্তচাপ ৯৫/৬৫ থেকে ১২০/৮০ এর পাশাপাশি থাকে তাহলে তার স্বাভাবিক রক্তচাপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে।

সাধারণত প্রেসার বেড়ে যাওয়া বলা হয় যদি

  • আপনার রক্তচাপ সবসময় যদি ১৪৫/৯৫ বা এর বেশি থাকে
  • ৮৫ বছর এবং তার অধিক বয়সীদের ক্ষেত্রে রক্তচাপ যদি ১৫৫/৯৫ ভয় বা এর থেকে বেশি থাকে।
আমরা জানি, পেশার বেড়ে যাওয়ার নির্দিষ্ট কোন উপসর্গ নেই। তবে কিছু লক্ষণ আপনার দেখা দিতে পারে। তাই আমরা আরো কিছু লক্ষণ উল্লেখ করার চেষ্টা করলাম। লক্ষণগুলো হল।
  • চোখে ঝাপসা দেখা।
  • মাথায় ভীষণ যন্ত্রণা।
  • বিভিন্ন সময় নাক থেকে রক্ত পড়া।
  • বুকে ব্যথা হওয়া।
  • শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেওয়া।
  • হঠাৎ পা ফুলে যাওয়া।
  • অল্প কিছু কাজ করার মাধ্যমে অনেক ক্লান্তি ভাব আসা, এটিই হল পেশার বেড়ে যাওয়ার অন্যতম লক্ষণ।

উচ্চ রক্তচাপের জন্য দায়ী গ্রন্থি কোনটি

মূলত "অ্যান্ডিনাল গ্রন্থি" হল উচ্চ রক্তচাপের জন্য দায়ী। এছাড়াও এটি সুপ্রারনাল গ্রন্থি নামেও অনেক পরিচিত। এবং উভয় কিডনির ওপরে অবস্থিত ছোট, ত্রিভুজকার আকৃতির গ্রন্থি। আসলে অ্যান্ডিনাল গ্রন্থি গুলো হরমোন তৈরি করে যেটা মূলত আপনার ইমিউন সিস্টেম, বিপাক, স্ট্রেসের প্রতিক্রিয়া, রক্তচাপ কিংবা অন্যান্য প্রয়োজনীয় ফাংশন নিয়ন্ত্রণে অনেকটাই সহায়তা করে থাকে।

আর অ্যান্ডিনাল গ্রন্থি ব্যাধি বলতে যে দুটি সাধারণ উপায়ে অ্যান্ডিনাল গ্রন্থিগুলো স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করে থাকে তা হচ্ছে খুব বেশি বা খুব কম কিছু হরমোন তৈরি করা। যেটা মূলত হরমোনের ভারসাম্যহীনতার দিকে পরিচালিত হয়। এডমিনাল ফাংশন এর এ অস্বাভাবিকতাগুলো এডমিনাল গ্রন্থি এবং পিটুইটারি গ্রন্থির বিভিন্ন রোগের কারণে দেখা দেয়।

শেষ কথা | উচ্চ রক্তচাপ হলে কি কি সমস্যা হয় | হাই ব্লাড প্রেসার কত

প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি নিশ্চয়ই  এই পোস্টটির মাধ্যমে এতক্ষণে জেনে গেছেন, উচ্চ রক্তচাপ হলে কি কি সমস্যা হয় এবং হাই ব্লাড প্রেসার কত সে সম্পর্কে। আশা করি এ পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে আসবে। তাই এই পোস্টটি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।
এবং এরকম বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন আর্টিকেল বা ব্লক পোস্ট নিয়মিত পেতে আমাদের সাথেই থাকুন, তাছাড়াও আমরা এই ওয়েবসাইটে প্রযুক্তি বিষয়ক বিভিন্ন পোস্ট বা আটিকের প্রকাশ করে থাকি। আসসালামুয়ালাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url