লো প্রেসার হওয়ার কারণ কি - প্রেসার লো হলে করণীয়

অতি তাড়াতাড়ি মোটা হওয়ার উপায়প্রিয় পাঠক, আপনি নিশ্চয়ই লো প্রেসার হওয়ার কারণ কি? এবং প্রেসার লো হলে করণীয় কি? এগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এসেছেন। তাই আজকে আমরা এই প্রশ্ন সম্পর্কে আপনাদেরকে বিস্তারিত ভাবে জানাবো লো প্রেসার হওয়ার কারণ কি ও প্রেসার লো হলে করণীয় কি।
লো-প্রেসার-হওয়ার-কারণ-কি
যদি আপনি আমাদের এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনি বুঝতে পারবেন এগুলো বিষয়ে। তাহলে চলুন বিস্তারিত ভাবে আমরা সবাই জেনে আসি।
পোস্ট সূচিপত্রঃ লো প্রেসার হওয়ার কারণ কি - প্রেসার লো হলে করণীয়

ভূমিকা | লো প্রেসার হওয়ার কারণ কি | প্রেসার লো হলে করণীয়

আমাদের মধ্যে অনেকেরই রক্তচাপ নিয়ে সচেতন থাকেন, কিন্তু নিম্ন রক্তচাপ নিয়ে তেমন কোন গুরুত্ব দেখা যায় না। এই গরমে অনেকেরই রক্তচাপ লো হয়ে থাকে। আমাদের মানবদেহে রক্তচাপের একটা স্বাভাবিক মাত্রা আছে সেটি আমাদের ঘামের সাথে পানি শূন্যতা তৈরি করে। তাছাড়া একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের রক্তচাপ হওয়া উচিত ১১০/৮৫। এর উপরে ভিত্তি করে নিম্ন রক্তচাপ এবং উচ্চ রক্তচাপ এর পরিমাপ করা হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে বলা যেতে পারে, আমাদের শরীরের জন্য নিম্ন রক্তচাপ বা উচ্চ রক্তচাপ দুটোই ক্ষতিকর।
তাই আমরা এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনাদেরকে বিস্তারিত ভাবে জানাবো লো প্রেসার হওয়ার কারণ কি এবং প্রেসার লো হলে করণীয় কি। তা আপনি অবশ্যই যদি এ পোস্টটি সম্পূর্ণ ভালোভাবে পড়েন তাহলে এগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন। এছাড়াও হাই ব্লাড প্রেসার এর লক্ষণ কি, লো প্রেসারে কি ক্ষতি হয়, প্রেসার লো হলে কি খেতে হবে, লো প্রেসারের ওষুধের নাম এগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন। তাই আশা করছি এ পোস্টে আপনি অবশ্যই সম্পূর্ণ পড়বেন। তবে চলুন বিস্তারিতভাবে জেনে আসা যাক-

লো প্রেসারে কি ক্ষতি হয় | লো প্রেসার হওয়ার কারণ কি

আমাদের শরীরে লো প্রেসার হলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে রক্ত সরবরাহ কমে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। তাই শরীরকে অনেক দুর্বল লাগে। তাছাড়া আমাদের ব্রেনে রক্ত সরবরাহ কমে গেলে মাথা ঝিমঝিম করতে থাকে। এবং মাথায় হালকা হালকা ব্যথা করে। মাথা ঘোরার সম্ভাবনা দেখা দেয়। কিছু কিছু সময় বমি বমি ভাব হয়ে থাকে। এবং আপনি হাঁটাচলা করার সময় হঠাৎ করে মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।

এবং আপনি যদি শুয়ে বা বসে থাকেন হঠাৎ করে তখন যদি আপনি উঠে যান তখনই আপনার মাথা ঘোরার সম্ভাবনা দেখা দেয় বা মাথায় একটি চত্বর দেয়। বিশেষ করে এগুলো দেখা দিয়ে থাকে লো প্রেসারের কারণে। তবে অনেক চিকিৎসকেরাই বলেছেন, লো প্রেসার বলে আসলে কোন রোগই নেই। কেউ হঠাৎ করে মাথা ঘুরে পড়ে গেলে বা অজ্ঞান হয়ে গেলে লোকজনেরা এটাকে লো প্রেসার বলে থাকে। কিন্তু আসলে লো প্রেসার সাধারণত অন্য রোগের কারণে হয়ে থাকে।

সেক্ষেত্রে বলা যায় একজন সুস্থ মানুষের রক্তচাপ হলো ১২৫/৮৫। সেক্ষেত্রে আপনার যদি রক্তচাপ স্বাভাবিকের চেয়ে কমে যায় তাহলে মস্তিষ্ক, হৃৎপিণ্ড ও শরীরের অন্যান্য অংশের রক্ত প্রবাহ কমে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। এর ফলে আপনার মাথা ঝিমঝিম করা এবং মাথা ঘোরা দুর্বলতা এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

লো প্রেসারের আরো কিছু শারীরিক ক্ষতির দিক
  • বুক ধরফর করবে
  • মূর্ছা যাওয়া
  • মাথা ঘোরা বা আমি বমি বমি ভাব হওয়া
  • চোখে ঝাপসা দেখার অনুভূতি হওয়া
  • শরীরে প্রচন্ড পরিমাণে ঘাম হওয়া
  • ম্লান ত্বক হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেওয়া

লো প্রেসার হওয়ার কারণ কি | প্রেসার লো হলে করণীয়

লো প্রেসার হওয়ার বিভিন্ন কারণ রয়েছে। তবে চলুন সে কারণগুলো সম্পর্কে জেনে নিই

  • আপনার মানসিক দুশ্চিন্তা ও অস্থিরতার কারণে।
  • আপনার মাথা ঘোরা ও চোখে ঝাপসা দেখা লো ব্লাড প্রেসার এর বা নিম্ন রক্তচাপের প্রধান লক্ষণ।
  • আপনার শরীরে কোন কারণবশত পানি শূন্যতা, অত্যাধিক বমি বা ডায়রিয়া হলে।
  • মেয়েদের ক্ষেত্রে গর্ভকালীন সময়ে পরিমাণ মতো বা সময়মতো না খেলে।
  • তাছাড়া লিভারের অসুখ হার্ট অ্যাটাক, হ জমে দুর্বলতা, বাত ইত্যাদি কারণে হতে পারে।
  • আপনার যদি কোন দীর্ঘমেয়াদি রোগ থেকে থাকে, তাহলে সেই রোগের ওষুধ গুলো খাওয়ার ফলে বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে।
  • আপনার যদি কোন থাইরয়েডের সমস্যা থেকে থাকে, তাহলে সে কারণে শরীরে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়ার মাধ্যমে।
এজন্য আমাদের রক্তচাপ ১২০/ ৮০ হয়ে থাকে। তাই এই রক্তচাপ যদি ১০০/৮০ বায়ার থেকে কম হয়।তাহলে আমাদের শরীরের লো প্রেসার হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

প্রেসার লো হলে করণীয় | লো প্রেসার হওয়ার কারণ কি

আপনার পেশার লো হলে তাৎক্ষণিক কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেন

  • আপনি ক্যাফিইন সমুদ্র পানীয় যেমন স্ট্রং কফি, এবং হট চকলেট খেতে পারেন এতে করে আপনার দ্রুত ব্লাড প্রেসার বাড়াতে সাহায্য করবে। তাই হঠাৎ করে লোক প্রেসার দেখা দিলে তাৎক্ষণিক এক কাপ কফি খেতে পারেন।
  • রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে ভূমিকা রাখে বিটের রস। এটি লো এবং হাই প্রেসার ওভারটির জন্য অনেক উপকারী। তাই বিটের রস খাওয়া যেতে পারে রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে।
  • লবণে সোডিয়ামের কারণে রক্তচাপ বাড়াতে অনেক সহযোগিতা করে থাকে। সেজন্য এক গ্লাস পানিতে দুইটা চামচ চিনি এবং একরা চামচ লবণ মিশিয়ে খেতে পারেন আপনি, সে ক্ষেত্রে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
  • দ্রুত ব্লাড প্রেসার বাড়ানোর পাশাপাশি মানসিক অবসাদ দূর করতে সাহায্য করে থাকে, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, ভিটামিন সি জাতীয় উপাদান। সেজন্য আপনি যদি পারেন পুদিনা পাতা বেটে তাতে মধু মিশিয়ে পান করতে। দ্রুত উপকারে আসবে।
আরো কিছু প্রেসার লো হলে করণীয়

আপনার যদি লো প্রেসার হয় তাহলে আপনি কখনোই একই স্থানে শুয়ে বা বসে থাকবেন না। তাছাড়া দীর্ঘক্ষণ বসে বা শুয়ে থাকার পর সেখান থেকে ওঠার সময় ধীরে ধীরে ও সাবধানতার সাথে ওই জায়গা থেকে উঠুন। আবার যদি আপনি বেশিখুন ধরে খালি পেটে থাকেন তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনার রক্তচাপ কমে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে।

তাই যতটুকু পারেন ঘন ঘন হালকা খাবার খান। তাছাড়া এক চিমটি লবণ বেশি খেতে পারেন খাবারের সাথে। প্রতিদিন আপনার খাবারের তালিকায় যেন গ্লুকোজ ও স্যালাইন থাকে। এবং আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে নিয়মিত। আমাদের শরীরের জন্য বেশ ক্ষতিকারক উক্ত রক্তচাপ এবং নিম্ন রক্তচাপ।

সেজন্য আমাদেরকে উপযুক্ত সময়ে বাযথা সময় ব্যবস্থার নেওয়া অনেক প্রয়োজন। আপনার প্রয়োজন হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে এবং সে অনুযায়ী অনুসরণ করে জীবন যাপন করতে হবে।

হাই ব্লাড প্রেসারের লক্ষণ কি

আমাদের শরীরে মারাত্মক সমস্যার গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো হাই ব্লাড প্রেসার। তাই আমাদের হাই ব্লাড প্রেসার বাড়লে অনেকগুলো বিষয় নিয়ে সচেতন থাকা দরকার। এবং এই পরিস্থিতিতে এমন কোন ভুল করা যাবে না যে সেজন্য শরীরে সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেজন্য আপনাকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। কারণ কিছু ভুলের কারণে আপনার হাই ব্লাড প্রেসার বাড়ার কারণে স্টক পর্যন্ত হতে পারে।

এখন আমাদের আশেপাশে বা ঘরে লেগে রয়েছে হাই ব্লাড প্রেসারের সমস্যা। এবং নিয়মিত এই রোগের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এত কিছুর পরেও আমরা এটা নিয়ে খুব একটা সচেতন না। সেজন্য আমাদের শরীরে একের পর এক রোগের আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। প্রথমে আমাদের শরীরে রক্তনালীর মধ্য থেকে রক্ত প্রবাহিত হওয়ার সময় যে চাপ তৈরি করে থাকে। তাকেই বলা হয়ে থাকে রক্তচাপ।

আমাদের সবার ব্লাড প্রেসার রয়েছে। কিন্তু অনেক সময় বিভিন্ন কারণে বাড়তে পারে হাই ব্লাড প্রেসার। সেজন্য বিশেষ করে বলেন, আমাদের শরীরে এই অসুখের লক্ষণ সহজে ফুটে ওঠে না। সেজন্য অনেক মানুষ সেটা বুঝতেও পারে না তার এগুলো সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সে কারণে একটা বয়সের পর প্রতিটি মানুষের প্রয়োজন প্রেসার মাপা। আসলে আগে আমরা মনে করতাম ব্লাড প্রেসার শুধুমাত্র বয়স্কদের ক্ষেত্রে দেখা দেয়।

কিন্তু বর্তমানে এই অবস্থা অনেকটাই বদলে যাচ্ছে আস্তে আস্তে, এখন সব বয়সের মানুষের এই রোগে আক্রান্ত দেখা দিচ্ছে। সেজন্য প্রতিটি মানুষকে সব সময় এই বিষয়টা নিয়ে অবশ্যই সতর্ক থাকা প্রয়োজন। তাছাড়া বিশেষ করে আরো বলেন, এই রোগে যারা আক্রান্ত হয়েছেন বা হয়েছে তাদেরকে অবশ্যই কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। সেজন্য ব্লাড প্রেসার থাকলে এমন কিছু ভুল করা যাবে না যে যাতে করে সমস্যা দেখা দেয়।

তাছাড়া ব্লাড প্রেসার এর সমস্যা কয়েকটি ক্ষেত্রে দেখা দিতে পারে এই লক্ষণ শরীরে খুব ঘাম হওয়া, মাথা ব্যথা করা, হাফ ধরা, মাথার পেছনে ব্যথা করা ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিতে পারে। তাই এরকম কোন লক্ষণ যদি দেখা দিয়ে থাকে তাহলে আপনাকে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। তাছাড়া এমন ব্লাড প্রেসার বেশি হওয়ার ঝুঁকি থাকে যেই মানুষগুলোর মধ্যে সেগুলো হল-

  • যারা কাজ কম করে থাকেন
  • কম ঘুমান যারা
  • বিশেষ করে যাদের পরিবারে এই সমস্যা আগে থেকে রয়েছে
  • ওজন বেশি হওয়ার ফলে
সেজন্য আপনারা যদি এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।

প্রেসার লো হলে কি খেতে হবে

প্রেসার লো হওয়ার প্রবণতায় যা খাবেন আপনি

স্যালাইন খাওয়া উচিত

আমাদের শরীরে নিম্ন রক্তচাপে খাবার স্যালাইন সবচেয়ে বেশি উপকারী কারণ এটি আমাদের শরীরে খুব তাড়াতাড়ি কার্যক্রম করতে পারে। তাই রক্তচাপ খুব বেশি কমে গেলে আপনি সঙ্গে সঙ্গে স্যালাইন পান করতে পারেন। সেজন্য আপনাকে লবণ পানির বদলে স্যালাইন খেলে ভালো কাজ করে থাকে।

স্যুপ খেতে পারেন

সবজি, ডাল, বিফ, চিকেন বা যে কোন স্যুপে সোডিয়ামের মাত্রা বেশি থাকে সে খাবার গুলো খেতে পারেন। সেক্ষেত্রে স্যুপ রান্নায় যেকোনো ধরনের সস ব্যবহার করতে পারেন। যেমন ধরেন সয়া, টমেটো সস ইত্যাদি। কারণ হলো এই সসে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম রয়েছে।

বিটের রস খেতে পারেন

কারণ সোডিয়াম এর পরিমাণ বেশি থাকে বিটে। সেজন্য বিটের জুস আমাদের রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে থাকে।

পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল খাবার খেতে পারেন

কারণ আমাদের শরীর পানি শূন্য হয়ে গেলে রক্তের ঘনত্ব অনেকটাই কমে যায়, এতে করে আমাদের শরীরে রক্তচাপও কমে যায়। তাই আমাদেরকে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি সহ অন্যান্য তরল খাবার খেতে হবে যেমন ফলের রস, ডাবের পানি, ঘোল, দুধ, কফি, স্যুপ সুখ এবং চিনি ও লবণ দিয়ে লেবুর শরবত করে খেতে পারেন, এর ফলে আমাদের শরীরের রক্তচাপ বাড়তে থাকে।

আপনি লবণ খেতে পারেন

কারণ আমরা সকলেই জানি লবণ আমাদের রক্তচাপ বাড়িয়ে থাকে। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম। সে ক্ষেত্রে অনেকেই দেখা যায় যে শুধু লবণ বলে খান, সেটা একদমই ঠিক না যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। সে ক্ষেত্রে আমাদেরকে এক গ্লাস পানিতে দুই চা চামচ চিনির সঙ্গে একটা চামচ লবণ মিশিয়ে পান করা উচিত।

আমাদের রক্তস্বল্পতা দূর করে এমন খাবার খাওয়া উচিত

কারণ রক্তস্বল্পতা দূর করে এমন সব খাবারই রক্তচাপ বাড়ানোর জন্য সাহায্য করে থাকে। সে ক্ষেত্রে ভিটামিন সি, বি ১২, আয়রন ও ফলের রক্তস্বল্পতার জন্য আবশ্যক পুষ্টি উপাদান। যেমন লেবু জাতীয় ফল, মুশুরের ডাল, মেটে আলু, ও সিদ্ধ ডিমে থাকে ফলেট জাতীয় উপাদান। তাছাড়া টকফলে থাকে ভিটামিন সি। তাছাড়াও মুরগির মাংস, গরুর মাংস, সামুদ্রিক মাছ, ফটিফায়েড সিরিয়াল, ডাল, লাল শাক, কচুরশাক, শিমের বিচি, মিষ্টি কুমড়ার বিচি, শুকনা ফল, পালং শাক ইত্যাদি এগুলো আয়রনের উৎস। যা খাবারে আমাদের শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধি করে থাকে।

লো প্রেসারের ওষুধের নাম কি

আসলে লো প্রেসারের কোন ওষুধ নাই। কিন্তু আপনি চাইলে ঘরোয়া পদ্ধতিতে আপনার লো প্রেসার হাই করতে পারেন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আপনার পেশার লো হয়ে গেলে ডিম খাবেন বা স্যালাইন খেতে পারেন। তাছাড়া যদি রোগীর কোন শিরাস অবস্থা না থাকে তাহলে ওষুধের প্রয়োজন নেই। যদি আপনি মনে করেন বা দেখেন যে রোগীর অবস্থা খুব সিরিয়াস সে ক্ষেত্রে ওষুধের প্রয়োজন।

তাহলে আপনি চিকিৎসকের কাছে গিয়ে চেকআপ করিয়ে পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাওয়াতে পারেন। তাছাড়া আপনি তাৎক্ষণিকভাবে রোগীকে ঘরোয়া চিকিৎসা অনুযায়ী কাঁচা লবণ পানিতে মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন। এতে করে রুগীর লো প্রেসার হাই করা সম্ভব খুব দ্রুত। তাছাড়া অবশ্যই রোগীকে দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকতে হবে লো প্রেসার থেকে বাঁচতে চাইলে। এবং সে ক্ষেত্রে কখনোই কম ঘুমানো যাবে না।

রোগীর প্রোপার ডায়েটের অভাবের ফলেও লো প্রেসার হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে। সেজন্য রোগী যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম না হয় তাহলে লো প্রেসার দেখা দিয়ে থাকে। এবং যদি রোগীর হার্টের কোনো ধরনের সমস্যা থেকে থাকে তাহলেও লো প্রেসার হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। তাছাড়া রোগীর শরীরে যদি ডায়াবেটিস থাকে তাহলেও লো প্রেসার হওয়ার সম্ভাবনা দেখায়।

এবং বিভিন্ন ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণেও কারণ ও লো প্রেসার হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে আপনি যদি এই সমস্ত ব্যাপারগুলো এড়িয়ে যেতে পারেন তাহলে লো প্রেসার এবং হাই প্রেসার থেকে বাঁচতে পারবেন। কারণ আমরা সবাই জানি হাই প্রেসার এবং লো প্রেসার দুটোই আমাদের জন্য ক্ষতিকর। আশা করি লো প্রেসারের ওষুধের বিষয়টি সুন্দরভাবে বুঝতে পেরেছেন।

শেষ কথা | লো প্রেসার হওয়ার কারণ কি | প্রেসার লো হলে করণীয়

প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ আমাদের ওয়েবসাইটে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি নিশ্চয়ই ইতিমধ্যে জেনে গেছেন লো প্রেসার হওয়ার কারণ কি এবং প্রেসার লো হলে করণীয় কি। তবুও যদি আপনার কোন না কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। 
আশা করি এই পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে আসবে। তাই এই পোস্টটি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। এবং নিয়মিত নতুন নতুন গোলাপ পোস্ট বা আর্টিকেল পেতে আমাদের সাথে থাকুন। আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url