পড়াশোনায় মন বসানোর ১০টি উপায়

ছাত্র জীবনের মূল উদ্দেশ্য জ্ঞান অর্জন করা পড়াশোনা তো, সব ছাত্র-ছাত্রীরাই করে। কিন্তু বর্তমান সময়ে যেমন ভাবে ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনা করছে বা করে যাচ্ছে। এই পড়াশোনা এই পড়াশোনা একসময় শেষ করার পর কোন চাকরি বাকরি না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়ছে এবং একটা সময় গিয়ে বলছে পড়াশোনা করে কোন লাভ নেই। আসলে পড়াশোনা বলতে কি বোঝায় সেটা যায় না বুঝবে একমাত্র সেই বলবে পড়াশুনা করে কোন লাভ নেই।

পড়াশোনায়-মন-বসানোর-১০টি-উপায়
সুন্দরভাবে পড়াশোনা করলে একটা সময় আপনি অবশ্যই আপনার মনের আশা পূরণ হবে। আপনি জীবনে যাই কিছু করতে যান না কেন পড়াশোনার বিষয়গুলো আপনাকে জানতেই হবে মূর্খ মানুষ কখনো পৃথিবী বদলাতে পারে না। একমাত্র শিক্ষিত লোকই পারে পৃথিবী বদলাতে বা নতুন কিছু পৃথিবীতে উপস্থাপন করতে তাই মনোযোগ সহকারে পড়াশোনা করার কিছু টিপস আপনাদের কাছে আমি শেয়ার করলাম।
পোস্ট সূচিপত্রঃ পড়াশোনায় মন বসানোর ১০টি  উপায়

সুন্দর ভাবে পড়াশোনা করার কিছু কৌশল

প্রথমে আপনাকে জানতে হবে পড়াশোনা কি পড়াশোনা বলতে নিজের জীবনকে ডেভেলপ করা। এবং ভবিষ্যতে কিছু করে দেখানোর ইচ্ছা আপনাকে প্রথমে একটা জিনিস খুব ভালোভাবে মনোযোগ সহকারে লক্ষ্য করুন তো হবে। আমি বড় হয়ে কি হতে চাই এবং যত কিছুর বিনিময়ে হোক না কেন আমাকে সেই জিনিসটা পেতেই হবে। সেই জিনিসটা পাওয়ার জন্য যত পড়াশোনা দরকার আমাকে করতে হবে, পড়াশুনা এমন একটা জিনিস পৃথিবীতে সব কিছুর  ভাগ মানুষ নেই কিন্তু পড়াশোনার ভাগ কেউ কাউকে দেয় না বা কেউ কারো নিতে পারেনা।

আপনার মা-বাবা এত কষ্ট করে তো পরিশ্রম করে অনেক আশা রেখে আপনাকে পড়াশোনা করাচ্ছি বলেন তো কিসের জন্য করাচ্ছে তারা চায় যে আপনি বড় কিছু হয়ে তাদেরকে দেখান তারা যেন সমাজে মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারে এবং গর্ব করে বলতে পারে যেন আমার ছেলে এই অফিসার, বা এই ম্যানেজার, বা ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার বা একটা বড় ভালো ব্যবসায়িক ইত্যাদি।

পড়াশোনা করতে বসার কিছুক্ষণ আগে আপনার মা-বাবার কথা ভাববেন তারা আপনাকে কিসের জন্য এত কষ্ট করে মানুষ করছে তারা কি চায় না যে আপনি বড় কিছু হন আপনি যদি জীবনে বড় কিছু হতে পারেন আপনার বড় কিছু হওয়াটাই তাদের কাছে গর্ব হয়ে দাঁড়াবেন।

আপনার ইচ্ছা শক্তি জেদ এবং পরিশ্রম

আপনার ইচ্ছা শক্তি জেদ বলতে পড়াশোনা ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই জিডি হতে হবে স্কুল বা কলেজে সবথেকে ভাল ছাত্র হয়ে আপনাকে দেখাতে হবে পড়াশোনা করবেন এমনভাবে যেন মনে হয় কখন দিন আর কখন রাত হচ্ছে আপনি জানেন না জীবনে কোন কিছু অর্জন করতে হলে আপনাকে অবশ্যই প্রশ্ন করতে হবে পরিশ্রম ছাড়া পৃথিবীতে কোন কিছু পাওয়ার অসম্ভব।

একটা কথা বারবার মনে রাখবেন পড়াশোনা কি আপনি যদি ভয় পান তাহলে হবে না আপনি যখন পড়াশোনার প্রতিযোগী হবেন তখন আস্তে আস্তে দেখবেন আপনার ভবিষ্যতে অনেকটাই উজ্জ্বল হবে কখনো বন্ধু-বান্ধবের সাথে অপচয় সময় নষ্ট করবেন না যতটুক সময় পাবেন আপনি অবশ্যই আপনার পড়াশোনার দিকে প্রকাশ করবেন পৃথিবীতে পড়াশোনা ছাড়া আপনি কোন কিছুর সফলতা পাবেন না তাই একটা জিনিস বারবার মনে রাখবেন পড়াশোনার মাধ্যমে দিয়েই আপনাকে পৃথিবীতে অনেক বড় কিছু হয়ে দেখাতে হবে।

পড়াশোনায় মন বসানোর জন্য কি কি জিনিস মাথায় রাখতে হবে

এ যুগে এসে একটা জিনিস লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে সব থেকে পড়াশোনার ক্ষতি করছে সোশ্যাল মিডিয়া। আপনি যতটুকু পারেন সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন যেমন মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ কম্পিউটার, ফ্রি ফায়ার বা টিক টক এখন আপনি একটা জিনিস লক্ষ্য করে দেখুন আস্তে আস্তে যতদিন যাচ্ছে মোবাইল ফোন ল্যাপটপ কম্পিউটার ফ্রী ফায়ার ইত্যাদি অনেক জিনিসের প্রতি ছেলেমেয়েরা হচ্ছে।

এবং আস্তে আস্তে একটা সময় গিয়ে তাদের পড়াশোনার প্রতি মন উঠে যাচ্ছে এই নিয়ে দুনিয়ায় শিক্ষার যে বিনোদনের সাইট টাই অনেক টাই বেশি সেজন্য সবথেকে বাধা হয়ে যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া। আপনি যতটা পারেন সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন দেখবেন আপনার আস্তে আস্তে পড়াশুনায় মন বসছে।

আর বেশি বেশি করে আপনার স্কুল বা কলেজের ভালো ছাত্রদের ছাত্রীদের সাথে মেলামেশা করুন তাদের কাছ থেকে কিছু মোটিভেশন নিন তাহলে দেখবেন আপনি তাদের মতো করে আস্তে আস্তে অভ্যাসে পরিণত করছেন।

মুখস্থ নয় বুঝে পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন

আমাদের ছোটবেলায় স্কুলে পড়াশোনা মুখস্ত করার তো কবিতা,প্যারাগ্রাফ, দরখাস্ত ইত্যাদি মুখস্ত করার দোয়া এবং সার এসে ধরত মুখস্ত বিদ্যা গুলো সব আমরা বলে দিতে পারতাম কিন্তু ব্যাখ্যা করার সময় আমরা আসলে কেউ ব্যাখ্যা করতে পারতাম না ব্যাখ্যা জিনিসটাই আমরা বুঝতাম না কিন্তু মুখস্ত বিদ্যা আসলে বেশিদিন থাকে না আপনি যখন একটা জিনিস বুঝে পড়বেন।

তখন দেখবেন আপনি সেই জিনিসটার উপর থেকে অনেক বড় কিছু ব্যাখ্যা করে লিখতে পারবেন এবং আপনার লিখতে কোন সমস্যা হবে না যদি আপনি সুন্দরভাবে বুঝে পড়তে পারেন প্রথম প্রথম হয়তোবা আপনার নাও ভালো লাগতে পারে বুঝে পড়তে কিন্তু কিছুদিন আপনি অভ্যাস করুন দেখবেন একটা সময় গিয়ে আপনার বুঝে পড়ার অভ্যাস গড়ে উঠবে।

বিভিন্ন সোর্স থেকে পড়াশোনা করা শিখতে হবে

বিভিন্ন সোর্স বলতে এক এক সময় এক এক জায়গায় থেকে পড়াশোনা করা বুঝায় যেমন কলেজে লাইব্রেরীতে, কোন পেপার পত্রিকায়, গল্পের বই, কবিতার বই, পোস্টার, ইত্যাদি যেকোনো সময় যেকোনো বই পড়ার অভ্যাস আপনাকে প্রথমত গড়ে তুলতে হবে যত বেশি বই পড়বেন তত আপনার জ্ঞান বৃদ্ধি পাবে উনার বই পড়তে ভালো লাগবে তো বই পড়বেন যেটা যেটা আপনার ভালো লাগে সেই বইগুলো আপনি বেশি বেশি করে পড়বেন।

দেখবেন আস্তে আস্তে আপনার পড়াশোনা কত অনেকটাই মন বসে গেছে আপনি যত পড়াশোনা করবেন যদি আপনার অভ্যাস হয়ে যায় একটা সময় গিয়ে দেখবেন আপনার পড়াশোনা ছাড়া আর কোন কিছু ভালো লাগছেনা।

কাউকে শেখানোর অভ্যাস গড়ে তোল

আপনি কোন কিছু জিনিস জানেন সেটা তখনই আপনার আয়তের মধ্যে আসবে যদি আপনি কাউকে ভালোভাবে সেই জিনিসটাকে বোঝাতে পারেন তাই যে কোন জিনিস যদি আপনি জানেন সেটা অবশ্যই অন্য মানুষকে শেখানোর চেষ্টা করবেন যদি সেটা আপনি খুব সুন্দর ভাবে তাকে বুঝাতে পারেন বা তার কাছে উপস্থাপন করতে পারেন।

তবে সেটি আপনার কাছে পানির মতো সহজ হয়ে যাবে এবং সেই জিনিসটা আপনার আয়ত্তের মধ্যে চলে আসবে। তুমি যতটুকু পড়াশোনা জানো স্কুল কলেজে কেউ যদি সেই জিনিসটাকে না জানে সেটা তুমি তাকে সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দিবে তাহলে দেখবে তোমার ওই জিনিসটা তোমার কাছে একেবারে পানির মত সোজা হয়ে গেছে।

নিজের সাথেনিবিড় মনো নিবেশ করা

আপনি কি কোনদিন নিজের সাথে কখনো নিজের সময়গুলো উপস্থাপন করেছেন। কত ঘন্টা সময় আপনি অপচয় নষ্ট করেছেন বা কখনো কি ভেবে দেখেছেন সামনে আপনার ভবিষ্যতে কি হতে পারে আপনার নিজের সাথে আপনাকে কথা বলা শিখতে হবে থেকে আপনি দুই বছর পরে কোথায় অবস্থান করতে চান কেমন ভাবে পড়াশোনা করতে চান এই বিষয়গুলো নিয়ে আপনাকে একটা সুন্দর ধারণা নিতে হবে এবং নিজের সাথে মনোনিবেশ করতে হবে।

ছোট ছোট লক্ষ্য তৈরি করা শিখতে হবে

আমরা প্রতি বছরই বছরে শুরুর দিকে সুন্দরভাবে রুটিন তৈরি করে এবং সিলেবাস অনুযায়ী পড়াশোনা করা চালানোর চেষ্টা করি এবং ভাবি যে এই পড়াশোনা গুলো মনে হয় শেষ করা কোন ব্যাপার না। বছর শেষে দেখা যায় সেলেবাস রুটিন অনুযায়ী কোন পড়াশোনায় জীবনে করতে পারেনি পরীক্ষার সময় হতাশ হয়ে যায়।

তখন মনে হয় এই একটা বছর আমরা কি করলাম কিন্তু তখন বুঝে কোন লাভ হয় না তখন ওই টেনশনে কোন কিছু ঠিকভাবে পড়াশোনা করা যায় না। এমনকি পরীক্ষাগুলো সুন্দর হয় না।
তাই আমাদের প্রথমে ছোট ছোট লক্ষ্য ঠিক করতে হবে দীর্ঘ মিয়াদে কোন পরিকল্পনা করা যাবে না যতটুক সম্ভব আস্তে আস্তে এগতে হবে একটা সময় যেও দেখবেন পুরো সিলেবাস আপনার কমপ্লিট হয়ে গেছে।

পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে

একজন মানুষের প্রায় কমপক্ষে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম পূরণ না হলে মস্তিস কঠিনভাবে কাজ করে না কোন কাজে ঠিকভাবে মন বসানো যায় না এমনকি কোন কিছুর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কোন কাজ করা যায় না।

পড়াশোনায় মন বসানোর জন্য ১০ টি উপায়

  1. পড়তে বসার আগে অবশ্যই ফোন দূরে রাখুন
  2. পড়ার নির্দিষ্ট সময় বা রুটিন করে ফেলুন
  3. বিছানায় পড়তে বসা থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করুন
  4. পড়াশোনা নিয়ে কখনো দুশ্চিন্তা করবেন না
  5. অবশ্যই আপনার রুমে লাইট জ্বালিয়ে পড়তে বসবেন
  6. পড়াশুনার ক্ষেত্রে টেকনিক বা কৌশল অবলম্বন করুন
  7. পড়াশোনার ক্ষেত্রে ছোট ছোট লক্ষ্য অবলম্বন করুন
  8. আনন্দ সহকারে পড়াশোনা করুন
  9. প্রতিদিন সকালে ধ্যান (মেডিটেশন) করুন
  10. একটানা পড়াশোনা করবেন না পড়াশোনা ফাঁকে ফাঁকে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেবেন
এতক্ষণ আমার ওয়েবসাইটে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম বিভিন্ন তথ্য বা আর্টিকেল নিয়মিত পাওয়ার জন্য আমার এই ওয়েবসাইটটি ফলো করে রাখুন, আসসালামুয়ালাইকুম।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url