তেঁতুল খাওয়া কি ভালোআমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা পেয়ারা খেতে খুবই পছন্দ করেন। কিন্তু কথা হল পেয়ারার উপকারিতা কি? সেটা আমরা অনেকেই জানিনা। তাই আজকে আমরা এই পোস্টটির মাধ্যমে জানবো পেয়ারার উপকারিতা কি এবং পেয়ারা খাওয়া কি ভালো সে সম্পর্কে।
পেয়ারার উপকারিতা কি। এছাড়াও আমরা এই পোস্টটির মাধ্যমে জানতে পারবো বেশি পেয়ারা খেলে কি ক্ষতি হয়, দিনে কতটুকু পেয়ারা খাওয়া উচিত, পেয়ারায় কি ভিটামিন আছে এবং ১ টি পেয়ারা কত ক্যালরি। তবে চলুন এ সমস্ত বিষয় সম্পর্কে আমরা বিস্তারিতভাবে জেনে আসার চেষ্টা করি।
পোস্ট সূচপত্রঃ পেয়ারার উপকারিতা কি - পেয়ারা খাওয়া কি ভালো
ভূমিকা | পেয়ারার উপকারিতা কি | পেয়ারা খাওয়া কি ভালো
পেয়ারা পছন্দ করে না এমন মানুষ পাওয়া খুবই মুশকিল। কারণ পেয়ারা আমরা সকলেই খেতে অনেক পছন্দ করি। কেননা পেয়ারায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন। এছাড়াও পিয়ারা একটি সুস্বাদু ফল। কিন্তু আমাদেরকে মাথায় একটা কথা মনে রাখতে হবে কোন কিছুই আসলে অতিরিক্ত ভালো না। কারণ আপনি যদি পেয়ারায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন আছে এই কথা ভেবে যদি প্রচুর পরিমাণে পেয়ারা খান।
তবে আপনার শরীরের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হতে পারে। তাই অবশ্যই আমাদেরকে যে কোন জিনিস খেতে হবে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে। সেজন্য আমরা এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব। কিভাবে পেয়ারা আপনি খাবেন, বা অতিরিক্ত পিয়ারা খেলে আপনার কি কি সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাহলে চলুন আমরা পিয়ারা সম্পর্কে সকল ধরনের তথ্য বিস্তারিতভাবে আলোচনা করি।
পেয়ারার উপকারিতা কি
আমাদের দেশে যেসব ফলগুলো পাওয়া যায়, তার মধ্যে সবথেকে বেশ পরিচিত এবং জনপ্রিয় ফল হচ্ছে পেয়ারা। সাধারণ অর্থে বলা যায় এর পুষ্টিগুণ অনেক বেশি পেয়ারা ভর্তা থেকে শুরু করে পেয়ারার জেলি পর্যন্ত খাওয়া যায়। শুধুমাত্র পেয়ারা নয়, এই ফলের পাতায় রয়েছে নানান পুষ্টিগুণ। সেজন্যই আমরা পোস্টের এই অংশে পেয়ারার উপকারিতা কি সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানার চেষ্টা করব।
যদি আমরা এর উপকারিতা বলতে যাই তাহলে এর উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। যদি পেয়ারার পুষ্টিগণ আমরা দেখতে যাই তাহলে, যেমন পেয়ারাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি ও ভিটামিন এ। একটি পেয়ারাতে পাঁচ গুণ বেশি ভিটামিন সি থাকে মূলত একটি মাঝারি আকৃতির কমলার থেকেও। এবং লেবুর তুলনায় পেয়ারাতে আট গুণ বেশি ভিটামিন এ রয়েছে। তাছাড়াও ভিটামিন বি২, কে, ফাইবার, ই, ক্যালসিয়াম, আইরন, কপার, পটাসিয়াম এবং ফসফরাস রয়েছে।
পেয়ারার উপকারিতা কি তা নিজে উল্লেখ করা হল
- পেয়ারায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- নিয়মিত পেয়ারা খাওয়ার ফলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
- হার্ড সুস্থ রাখতে অনেক সাহায্য করে পেয়ারা।
- পেয়ারা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে অনেক ভূমিকা রাখে।
- ঠান্ডা জনিত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
- আমাদের শরীর থেকে রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
- দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধিতে পেয়ারা অনেক ভূমিকা রাখে।
- পেয়ারা মাসিকের ব্যথা নিরাময় করতে পারে।
- দাঁতের মাড়ির সমস্যা দূর করতে পারে পেয়ারা।
- নিয়মিত পেয়ারা খাওয়ায় আমাদের শরীর থেকে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
- আমাদের শরীর থেকে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া দূর করতে পারে পেয়ারা।
- স্টোকের ঝুঁকি কমাতে পারে পিয়ারা।
- পেয়ারা কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করতে পারে। ইত্যাদি।
পেয়ারা খাওয়া কি ভালো
আমরা এতক্ষণ জানলাম পেয়ারার উপকারিতা কি। এখন আমরা জানবো পেয়ারা খাওয়া কি ভালো? সে সম্পর্কে। পেয়ারা খাওয়া অবশ্যই ভালো, কিন্তু যদি আপনি পরিমাণ মতো খান তবে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সুস্থ থাকার জন্য অবশ্যই মৌসুমী ফল খেতে হবে। আমরা জানি সারা বছরে পেয়ারা পাওয়া যায়। এই ফলটির মূলত স্বাদ এবং পুষ্টিতে অনন্য। প্যারায় থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এ, ক্যালসিয়াম, লাইকোপিন, ম্যাগানিজ ও পটাশিয়াম।
এ ফলে মূলত ফাইবার থাকে বেশি এবং ক্যালোরি থাকে কম। তাই আমরা যদি নিয়মিত পেয়ারা খেতে পারি তাহলে আমাদের জন্য অনেক ভালো। কেননা পেয়ারা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। মূলত এটি ভিটামিন সি এর অন্যতম উৎস। অনেকে হয়তো আমরা জানিনা এটি কমলার চেয়েও পাঁচ গুণ ভিটামিন সি পাওয়া যায়। সেজন্য এই ভিটামিন সি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে অনেক সহযোগিতা করে থাকে।
এছাড়াও আমরা যদি নিয়মিত পেয়ারা খেতে পারি তাহলে, আমাদের শরীরের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস সংক্রমণ থেকে দূরে রাখতে কাজ করে। তাই আপনার যদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে থাকে তাহলে, নিয়মিত আপনি একটি করে পেয়ারা খেতে পারেন সেক্ষেত্রে আপনার শরীরের জন্য অনেক ভালো হবে। এছাড়াও ডায়াবেটিস রোগীর জন্য ভীষণ উপকারী একটি ফল সেটি হল পেয়ারা।
আসলে পেয়ারা খেতে মিষ্টি হলেও পেয়ারা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অনেক উপকারী। কেননা এটি ফাইবারের ভালো একটি উৎস। সে সাথে এর গ্লাইসেমিক সূচকও অনেকটাই কম। সেজন্যই মূলত এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর নয়। চিনির মাত্রা হঠাৎ বৃদ্ধি পেলে সেটি রোধ করতে কম গ্লাইসেমিক চমক অনেক কার্যকরী মাধ্যম। আমাদের রক্তে থাকা শর্করা নিয়ন্ত্রণে অনেকটাই ভূমিকা পালন করে পেয়ারায় থাকা ফাইবার।
এছাড়াও পেয়ারা হার্ড সুস্থ রাখতে বেশ ভূমিকা রাখে। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম এবং সোডিয়াম থাকে, মূলত এই দুই উপাদান উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কাজ করে থাকে। তাছাড়াও অনেক গবেষণায় দেখা গেছে, আপনি যদি খাবারের আগে পাকা পেয়ারা খেতে পারেন তাহলে রক্তচাপ কমাতে অনেকটাই কাজ করে, শুধু তাই নয় এটি উচ্চ কোলেস্টেরল কমাতেও সাহায্য করে। এছাড়াও উপরের অংশটুকু থেকে আমরা জেনে এসেছি পেয়ারার উপকারিতা কি সে সম্পর্কে।
পেয়ারা খাওয়ার মাধ্যমে ভালো কোলেস্টেরল বেড়ে যায় সাত শতাংশ। তাই এটি হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারে। এছাড়াও পেয়ারা পাতার নির্যাসও হৃদয় রোগ এবং ষ্টোকের ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে থাকে। ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে অনেক ভূমিকা পালন করে থাকে পেয়ারা। কারণ এই ফল আমাদের বিপাক ক্ষমতা উন্নত করতে পারে। তার সাথে প্রোটিন, ভিটামিন এবং ফাইবার গ্রহণের ভারসাম্য বজায় রাখে।
সেজন্যই মূলত চিনি যুক্ত পানীয় বা খাবারের বদলে পেয়ারা পাতার চা এবং অভ্যাস করতে পারেন। এর মাধ্যমে আপনার ওজন দ্রুত কমানো সম্ভব হবে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখা সহজ হবে। হয়তোবা অনেকেই প্রশ্ন করবেন পেয়ারা ক্যালোরি কম থাকে? তাহলে কিভাবে সম্ভব। আসলে পেয়ারায় ক্যালোরি কম থাকে ঠিকই কিন্তু পেয়ারা দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখতে সাহায্য করে।
বেশি পেয়ারা খেলে কি ক্ষতি হয়
অনেক বিশেষজ্ঞদের মতে, পেয়ারা যদি আমরা নিয়মিত খেতে পারি তাহলে আমাদের শরীরের জন্য সেটি অনেক উপকার। কিন্তু কেউ যদি অতিরিক্ত মাত্রায় পিয়ারা খায় সে ক্ষেত্রে তার বিভিন্ন ধরনের সমস্যা বা ক্ষতি দেখা দিতে পারে। যেমন ধরেন হজমে সমস্যা দেখা দিতে পারে,
সেজন্য আপনাকে পানি গ্রহণের পরিমাণও বাড়িয়ে দিতে হবে। আসলে আমরা সকলেই জানি যত পুষ্টিকর খাবারই হোক না কেন যদি সেটা অতিরিক্ত কেউ খায় সেক্ষেত্রে তার সমস্যা দেখা দিবে এটাই স্বাভাবিক। সেজন্য অবশ্যই আমাদেরকে পরিমাণ মতো পেয়ারা খেতে হবে।
বেশি পেয়ারা খেলে যে সব ক্ষতিগুলো হতে পারে সেগুলো হল
- আমরা সকলেই জানি পেয়ারা একটি ঠান্ডা জাতীয় ফল, সেজন্য আমরা যদি অধিক পরিমাণে পেয়ারা খায় তাহলে হতে পারে সন্ধ্যের সমস্যা। সে ক্ষেত্রে আপনি যদি আগে থেকেই ঠান্ডা জনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে অবশ্যই পেয়ারা থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন।
- মধ্যে যারা গর্ভবতী মহিলা আছেন তারা কখনোই অতিরিক্ত পেয়ারা খাওয়ার চেষ্টা করবেন না। কারণ অতিরিক্ত পেয়ারা খেলে ফাইবার বাড়ে। তার ফলে মূলত হজমের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
- যাদের আমোসা বা ডায়রিয়া ইত্যাদি পেটের সমস্যা রয়েছে তারা অবশ্যই পেয়ারা থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন। কারণ পেয়ারার মধ্যে রয়েছে পটাশিয়াম এবং ফাইবার। সেজন্য আপনার ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করার আগে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের কাছ থেকে পরামর্শ নেবেন।
- এছাড়াও আপনি যদি পেয়ারার পাতার রস অধিক পরিমাণে খান। তবে আপনার মাথা ব্যথা কিংবা কিডনির সমস্যা সহ বিভিন্ন ধরনের রোগ দেখা দিতে পারে।
- আপনি যদি অধিক পরিমাণে পেয়ারা খান তাহলে আপনার পেট ফাঁপা সমস্যা দেখা দিতে পারে।কারণ এই পেয়ারার মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে চিনি রয়েছে, যা মূলত ফ্রুক্টোজ হিসেবে সবার কাছে পরিচিত। এই ফ্রুক্টোজ আমাদের হজম এবং শোষণ করতে অনেক সমস্যা হয়ে থাকে। যার ফলে মূলত আমাদের পেট ফাঁপা বা ফোলা ভাব এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দেয়।
দিনে কতটুকু পেয়ারা খাওয়া উচিত
আপনি নিশ্চয়ই আমাদের পোষ্টের উপরের অংশ থেকে জেনে এসেছেন পেয়ারার উপকারিতা কি?। সেখান থেকে অবশ্যই আপনি জানতে পেরেছেন একটি পেয়ারায় কতটা উপকার রয়েছে। তাই আপনাকে বলব দিনে অন্তত আপনি একটি বা দুইটি করে পেয়ারা খেতে পারেন। কিন্তু যদি আপনি এর থেকেও বেশি পেয়ারা খান তাহলে আপনার অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
সেজন্য আমাদের সকলেরই উচিত দিনে একটি থেকে দুটি পেয়ারা খাওয়া। আপনি যদি নিয়মিত একটি করে পেয়ারা দিনে খেতে পারেন তাহলে আপনি পাবেন অনেক উপকার।পিয়ারা কে সুন্দরভাবে রুচিরময় করে খাওয়ার জন্য তার সঙ্গে আপনি লবণ মিশিয়ে খেতে পারেন বা পেয়ারার সাথে লবণমরিচ একসঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। এভাবে খেলে আপনি অনেক সুস্বাদু ভাবে পেয়ারা খেতে পারবেন।
আপনি যদি আপনার ওজন নিয়ে চিন্তিত থাকেন তাহলে পেয়ারা খুবই কার্যকারী একটি ফল। কারণ একটি পেয়ারায় মাত্র ৬৫ ক্যালোরি রয়েছে।আর সেটা হজম করতে আমাদের খরচ হয় তার চেয়ে বেশি। পছন্দ পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় আমাদের ত্বক এবং চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে অনেকটাই সহযোগিতা করে থাকে। সে সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।আমাদের মধ্যে যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে।
তারা বিকালের সময় নাস্তা হিসেবে পেয়ারা খেতে পারেন কেননা পেয়ারার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম কিন্তু আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার।সেজন্য এই দুটি উপাদানের মিলিত ফল আমাদের ব্লাড সুগারের মাত্রা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে। এছাড়াও যাদের সোডিয়াম পটাশিয়াম স্তরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা রয়েছে, তারাও মূলত পেয়ারা খেতে পারেন নিয়মিত।যারা ব্লাড প্রেসার রোগে ভুগছেন অনেকদিন থেকে,
তারা অবশ্যই পেয়ারা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।কারণ ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং কনস্টিপেশনের সমস্যা গুলোকে দূর করতে অনেকটাই কার্যকরী হিসেবে কাজ করে। পিয়ারা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে আমাদের মুখগহ্বরের স্বাস্থ্য রক্ষায়। আপনি যদি নিয়মিত পেয়ারা চিবিয়ে খান তাহলে আপনার দাওতো মাড়ের স্বাস্থ্য খুবই ভালো থাকবে।
এছাড়াও অনেকেই বলে থাকে পেয়ারার পাতা যদি কেউ চিবিয়ে খেতে পারে তাহলে দাঁতের ব্যথা অনেক তাড়াতাড়ি সেরে ফেলা সম্ভব হবে।এছাড়াও পেয়ারার ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের স্ট্রেস কমাতে অনেকটাই ভূমিকা পালন করে থাকে। আশা করি আপনি সুন্দরভাবে বুঝতে পেরেছেন দিনে কতটুকু পেয়ারা খাওয়া উচিত।
পিয়ারায় কি ভিটামিন আছে
একটি কমলার চেয়েও পেয়ারায় পাঁচ গুণ বেশি ভিটামিন সি রয়েছে। কারণ পেয়ারায় রয়েছে ভিটামিন সি, ফোলেট, আশ, ক্যারোটিনয়েডস এবং ক্যালসিয়াম প্রভৃতিতে সমৃদ্ধ, যা মূলত ১০০ গ্রাম পেয়ারায় ২০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি আছে। সেজন্য আমরা বলতেই পারি একটি কমলার চেয়েও পেয়ারায় পাঁচ গুণ বেশি ভিটামিন থাকে। আশা করি আপনি বিষয়টি সুন্দরভাবে বুঝতে পেরেছেন।
১ টি পেয়ারা কত ক্যালরি
পিয়ারা এমন একটি ফল, যা বাংলাদেশ সব সময় পাওয়া যায়। কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেরই প্রশ্ন ১ টি পেয়ারা কত ক্যালরি। আমরা যদি ১০০ গ্রাম পেয়ারা অনুমান করে হিসাব করি, তাহলে প্রতি ৫০ গ্রাম পেয়ারায় রয়েছে ৫০ কিলো ক্যালরি খাদ্য শক্তি, ১১.১০ শর্করা রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে ০.৮৫ গ্রাম আমিষ ও ১৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম এবং ২০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি আর ১০০ মাইক্রগ্রাম ক্যারোটিন। আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন।
শেষ কথা | পেয়ারার উপকারিতা কি | পেয়ারা খাওয়া কি ভালো
প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি নিশ্চয়ই এই পোস্টটির মাধ্যমে এতক্ষণে জেনে গেছেন, পেয়ারার উপকারিতা কি এবং পেয়ারা খাওয়া কি ভালো সে সম্পর্কে। আশা করি এ পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে আসবে। তাই এই পোস্টটি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।
এবং এরকম বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন আর্টিকেল বা ব্লক পোস্ট নিয়মিত পেতে আমাদের সাথেই থাকুন, তাছাড়াও আমরা এই ওয়েবসাইটে প্রযুক্তি বিষয়ক বিভিন্ন পোস্ট বা আটিকের প্রকাশ করে থাকি। আসসালামুয়ালাইকুম।
সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url