কিভাবে বদ অভ্যাস বাদ দিয়ে - নিজেকে পরিবর্তন করা যায়
দাঁতের মাড়ির ব্যথা কমানোর উপায়সবার জীবনে কোন না কোন বদ অভ্যাস থেকে, আমরা সবাই চাই সেগুলো থেকে আড়াল হতে বা বাদ দিতে। যেমন হতে পারে দেড়ি করে ঘুম থেকে ওঠা, এমনকি নখ কামড়ানো, ধূমপান বা নেশা জাতীয় আসক্তির মতো। আর খারাপ অভ্যাস থেকে বদ অভ্যাস ছাড়ানোর আগে আমাদের জেনে নেওয়া দরকার। বদ অভ্যাসগুলো আমাদের জীবনের সাথে কেমন ভাবে কাজ করে।
খারাপ অভ্যাসের প্রক্রিয়াগুলি প্রায় তিনটি ধাপে সম্পন্ন হতে পারে। প্রথম ধাপ হলো সংকেত এটি পাওয়ার পর আপনার অভ্যাসটি জাগ্রত হতে পারে এবং দ্বিতীয় হচ্ছে রুটিন এর মাধ্যম দিয়ে আপনার বদ অভ্যাসের কাজটি সম্পন্ন করতে পারেন। আর তৃতীয় ধাপ হল পুরস্কার শুনতে অবাক হলেও এটাই সত্যি। যে অভ্যাসটি সম্পন্ন করে যা আপনি পেতে পারেন এভাবে অভ্যাসের ত্রুটি পুনরাবৃত্তি হতে থাকে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ কিভাবে বদ অভ্যাস বাদ দিয়ে - নিজেকে পরিবর্তন করা যায়
এই অভ্যাস ভেঙে আসার প্রতিক্রিয়া
আমাদের সবার জীবনে বদ অভ্যাসগুলি আছে। আমরা সেটা জানার পরও কোন কিছু পরোয়া না করে প্রতিনিয়তই বদ অভ্যাসগুলো করে থাকে। কিন্তু কিছু নিয়ম কানুন আছে যেগুলো যদি আমরা কষ্ট করে মেনে চলতে পারি। তবে আমাদের বদ অভ্যাসগুলি ছাড়া সম্ভব হবে। আপনি যদি আপনার বদ অভ্যাস বলে ছাড়তে চান। তবে আপনাকে কিছু রুলস প্রতিনিয়তায় মেনে চলতে হবে।
আরো পড়ুনঃ প্রাকৃতিক উপায়ে গ্যাস্ট্রিকের সমাধান
একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে। যখন যখন আপনি বদ অভ্যাস হয়ে পড়ে, সে সময়গুলিতে আপনাকে কাজে ব্যস্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে। তখন দেখবেন আপনার বদ অভ্যাস গুলো অনেকটাই কমে আসছে। বদ অভ্যাসগুলি পরিবর্তন করতে চাইলে আরো কিছু রুলস আপনাকে মেনে চলতে হবে নিচে তার কিছু বর্ণনা দেওয়া হলো।
বদ অভ্যাসগুলোর কারণ আপনাকে চিহ্নিত করতে হবে
প্রথমে আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে কোথায় কখন কিভাবে কার উপস্থিতিতে আপনার বদ অভ্যাসে পরিণত হচ্ছেন। যেমনটা দেরি করে সকালে ঘুম থেকে ওঠার কারণও হতে পারে বা সকালে ঘুম থেকে উঠার সাথে সাথে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা হতে পারে এবং অনেক রাত জেগে মোবাইল ফোন ইউজ করা এমনকি বেশি রাত করে জেগে থাকা।
কোন কোন বন্ধু-বান্ধবের সাথে থাকলে আপনি বদ অভ্যাসে লিপ্ত হচ্ছেন। তবে ওইসব বন্ধু-বান্ধব থেকে এড়িয়ে চলা এমনকি কোন কোন সময় আপনি বদ অভ্যাসে লিপ্ত হচ্ছে সে সময়গুলো চিহ্নিত করে। সেই সময়গুলোতে অন্য আপনার কাজকর্মে ব্যস্ত থাকার চেষ্টা করা।
আপনাকে মনে রাখতে হবে কেন আপনি বদলাতে চান
খারাপ অভ্যাস গুলো কেন আপনাকে বদলাতে হবে। সেটা আপনাকে সব সময়ের জন্য মনে রাখা প্রয়োজন আপনি কি সফলতা অর্জন করতে পারবেন সেটি গভীরভাবে চিন্তা করুন। প্রয়োজনে যেকোনো ডায়রি বা খাতায় আপনার কেন বদলাতে হবে সেটা লিখে রাখুন। এবং সে কাগজটা এমন জায়গায় রাখবেন যেন প্রতিনিয়ত আপনার চোখের সামনে পড়ে তাহলে দেখবেন বারবার বদলানোর কথাটা মনে থাকবে।
আপনি প্রিয়জনের সাহায্য নিতে পারেন
প্রিয়জনের সাহায্য নিয়ে বলতে আপনজনের সাথে বদলানোর সংকল্প করুন। যেমন বলতে পারেন ধূমপান বর্জনের জন্য আজ থেকে আমরা না খেয়ে দেখব কে কতদিন থাকতে পারে। এটা পড়ে কিছুটা চেষ্টা করে দেখতে পারেন এতে করে। এতে অপরকে উৎসাহ প্রদান করে। কঠিন সময় গুলোতে সহায়তা করা সহজ হয়। একলা কোন অভ্যাস ছাড়তে চাইলেও সেটা ছাড়াটা অতটা সম্ভব হয় না। তাই অন্যের সাহায্য নিয়ে দেখতে পারেন।
আপনার মননশীলতা
আপনার নিজের চিন্তা, অনুভূতি, অভিজ্ঞতা ও পরিবেশের প্রতি মনোযোগী হওয়াটা খুব জরুরী। এতে করে অভ্যাস গুলি আপনার জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বা নেতিবাচক ভূমিকা রাখছে তা সহজে বুঝতে পারবেন। এবং কোন কাজটি কখন করছেন বা করতে চাচ্ছেন তার প্রতি সতর্ক অবলম্বন করতে মনমশীলতা সাহায্য করে থাকে।
মস্তিষ্ক ব্যবহার করা শিখুন
মস্তিষ্ক ব্যবহার বলতে কাগজ বা ফোন ব্যবহার করে। বিভিন্ন রকমের কাজগুলো মনে রাখার চেষ্টা করুন যেমন হতে পারে নির্দিষ্ট সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করা বন্ধ রাখা বা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকা নেগেটিভ ও অশ্লীলতা থেকে বিরত থাকা এবং নেশা দ্রব্য থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করা। এই কাজগুলো আপনার মনের ভেতর বা মস্তিষ্কের ভেতরে একেবারে সুন্দর ভাবে সেটাপ করে নেওয়া।
যখন যখন নেগেটিভ চিন্তা মাথায় আসবে তখন আপনি কিছুক্ষন আপনার পরিবারের সাথে কাটানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন। পরিবারের সাথে সময় কাটালে না নেগেটিভ চিন্তাভাবনা খুব তাড়াতাড়ি দূর হওয়াটা সম্ভব হবে।
আপনি অল্প অল্প করে শুরু করতে পারেন
হঠাৎ করে কোন বদ অভ্যাসি আপনি ছাড়তে পারবেন না। তাই আপনাকে অল্প অল্প করে পরিকল্পনা অনুযায়ী একটি একটি করেই বদ অভ্যাস আপনাকে ছাড়তে হবে। তাহলে আপনার জন্য অনেকটাই সহজ হবে প্রথমে আপনাকে একটি উদ্দেশ্য জয় করতে হবে। একটি উদ্দেশ্য জয় করতে পারলে আপনার মনের ভেতরে বিশ্বাস অনেকটাই বেড়ে যাবে। তখন পরবর্তী যেকোনো অভ্যাস ত্যাগ করতে আপনাকে আপনার মনের ভিতর থেকে সাহস প্রদান করবে। একটা সময় গিয়ে আপনার বদ অভ্যাসগুলোর সাথে আপনি একাই মোকাবেলা করতে পারবেন।
পরিবেশ বদলানো প্রয়োজন
আমাদের মস্তিষ্ক ৪ পাসের পরিবেশ থেকে পরিচালনা হয়। এমনও হতে পারে পরিবেশ বা সঙ্গ বদ অভ্যাসে অনেকটাই প্রভাব ফেলতে পারে। উদাহরণস্বরূপ আপনি যদি কোন নেশাখোর বন্ধুর সাথে বা কখনো সিগারেটখোর বন্ধুর সাথে কিছুদিন চলাফেরা করেন। একটা সময় গিয়ে দেখবেন আপনিও সিগারেট খাওয়া শিখে গেছেন। তাই পরিবেশ বদলানো বা সঙ্গ বদলানো আমাদের খুবই প্রয়োজ।
নিজের যত্ন নেওয়া শিখুন
আপনি যদি আপনার নিজের যত্ন ভালো ভাবে নিতে পারেন। তাহলে মিথ্যাবাদ চিন্তা নেতিবাচক চিন্তা আস্তে আপনার মস্তিষ্ক কাজ করবে। উদাহরণস্বরূপ পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো, পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়া, প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ব্যায়াম করা বা মেডিটেশন করা। এই অভ্যাসগুলি আপনাকে সহযোগিতা করতে পারে।
সফলতা উদযাপন করা শিখুন
কোন ছোটখাটো বদ অভ্যাস যদি আপনি ছাড়তে পারেন। তাহলে সফলতার মত করে উদযাপন করুন, নিজেকে গর্বিত করুন, নিজেকে বিশ্বাসযোগ্য গড়ে তুলুন, যেন আপনি পারবেন, আপনি করে দেখাবেন, আপনার দ্বারাই এটা সম্ভব। ছোটখাটো বিষয় নিয়ে যখন আপনি উদযাপন করবেন। বড় বদ অভ্যাস গুলো ছাড়তে আপনার অনেকটা সহজ হবে। যে কোন ছোটখাটো বিষয় সাকসেস হলে আপনি নিজেকে গর্বিত করে উদযাপন করবেন। এটা আপনার অনেকটাই কাজে দিবে।
শেষ কথা | কিভাবে বদ অভ্যাস বাদ দিয়ে
একটা কথা খুব সুন্দর ভাবে মনে রাখবেন একটি বদ অভ্যাস ছাড়তে গেলে কমপক্ষে দুই তিন মাস লাগতে পারে তার চেয়ে বেশিও লাগতে পারে তাই নিজের মনকে কখনো দুর্বল করবেন না। সর্বদাই চেষ্টা করতে থাকবেন, আপনার অভ্যাসটি যত পুরনো তেমনি সময় বা কম বেশি লাগতে পারে।
ইনশাল্লাহ একদিন আপনি বদ অভ্যাস ছাড়তে সক্ষম হবেন। এতক্ষণ আমার ওয়েবসাইটে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম বিভিন্ন তথ্য বা আর্টিকেল নিয়মিত পাওয়ার জন্য আমার এই ওয়েবসাইটটি ফলো করে রাখুন, আসসালামু আলাইকুম।
আরো পড়ুনঃ কোন ব্যায়ামের উপকারিতা বেশি
সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url