মাথাব্যথা হলে কি করতে হবে - মাথা ব্যাথার সমাধান কি

আমাদের অনেক সময় বিভিন্ন কারণে মাথাব্যথা হয়। কিন্তু কথা হল মাথা ব্যথা হলে কি করতে হবে? সেটা আমাদের জানা দরকার। সে জন্য মূলত আমরা আজকে এই পোস্টটির মাধ্যমে জানবো মাথা ব্যথা হলে কি করতে হবে সে সম্পর্কে।

মাথাব্যথা-হলে-কি-করতে-হবে
তাই আপনি যদি জান মাথাব্যথা হলে কি করতে হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে জানতে চান তাহলে আমাদের এই পোস্টটি অবশ্যই আপনাকে মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। এছাড়াও এ পোস্টের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন, প্রচন্ড মাথাব্যথার কারণ কি, মাথা ব্যথার সমাধান কি, সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর মাথা ব্যথা করে কেন এবং মাথা ব্যথার ওষুধের নাম কি। তবে চলুন এগুলো বিষয়ে আমরা বিস্তারিতভাবে জেনে আসি।
পোস্ট সূচিপত্রঃ মাথাব্যথা হলে কি করতে হবে - মাথা ব্যাথার সমাধান কি

ভূমিকা | মাথাব্যথা হলে কি করতে হবে | মাথা ব্যাথার সমাধান কি

আমরা সকলেই একবার না একবার মাথাব্যথার সমস্যায় পড়েছি, আবার কেউ কেউ আছেন যারা অনেকবার মাথাব্যথা সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। কিন্তু আমরা সঠিক বিষয়টা জানি না যেমন আমাদের মাথাব্যথা হলে কি করতে হবে এবং মাথাব্যথার সমাধান কি। সেজন্য আমাদের মাথা ব্যথা অনেকক্ষণ থাকে। তার ফলে আমাদের কোন রকম কাজ করতে ভালো লাগেনা এমনকি ঘুমও তাড়াতাড়ি আসে না। সেজন্যই মূলত আমরা এই পোস্টটির মাধ্যমে এমনভাবে আপনাদেরকে পয়েন্ট আকারে বোঝানোর চেষ্টা করেছি।যেন আপনি আপনার মাথা ব্যথা হলে নিজে নিজেই তার চিকিৎসা নিতে পারে। আশা করি আপনি খুব সহজে আপনার মাথা ব্যথা গুলো দূর করতে পারবেন।
যেমন আমরা এই পোস্টটির মাধ্যমে আলোচনা করেছি, প্রচণ্ড মাথা ব্যাথার কারন কি, মাথাব্যথা হলে কি করতে হবে, মাথা ব্যথার সমাধান কি, সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর মাথা ব্যথা করে কেন এবং মাথা ব্যথার ওষুধের নাম কি। তাই আপনি যদি এগুলো বিষয়ে সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন, তাহলে আমাদের এই পোস্টটি পড়তে পারেন। কেননা আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদেরকে সুন্দরভাবে এগুলো সম্পর্কে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। আশা করি এই পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে আসবে-

প্রচণ্ড মাথা ব্যথার কারণ কি

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা মাঝেমধ্যে মাথা ব্যথায় ভুগে থাকেন। একটা সময় এই মাথা ব্যথা টি মৃদু থেকে তীব্র এমনকি তীব্রতর হয়ে যায়। তখন আমাদের শরীরটা অনেক খারাপ হয়ে যায় এবং কোন কাজে মন বসে না, বা কোন কিছুই ভালো লাগেনা। তাই আমরা এখন জানবো আসলে আমাদের প্রচন্ড মাথা ব্যথার কারণ কি।

প্রচন্ড মাথা ব্যথার কারণ গুলো হল

পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হওয়ায় মাথা ব্যথা

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন কাজে ক্ষেত্রে বা ব্যস্ত থাকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে পারে না। সেজন্য আমাদের অনেক সময় মাথা ব্যথা করে থাকে। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা ১০ ঘন্টা করে কাজ করে ছুটির দিনে একটি লম্বা ঘুম দেয় এবং ঘুম থেকে ওঠার পর দেখা যায় অনেক মাথা ব্যথা করছে। এটার কারণ হচ্ছে হঠাৎ করে মানসিক চাপ কমে গেলে মাথায় এর ধরনের হরমোন কমে যায়। সে ক্ষেত্রে আপনার মাথা ব্যথা দিলে কখনোই ঘাবরাবেন না। কেননা শুধুমাত্র এটা আপনার ক্ষেত্রেই হয় না এটা সবার ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে।

দৈনন্দিন জীবনে নির্দিষ্ট কিছু খাবারের কারণে মাথাব্যথা হতে পারে

যেমন কলা চা কফি বা কোমল জাতীয় পানিও খেলে এই ধরনের মাথা ব্যথার সমস্যা দেখা দেয়। কেননা এগুলোতে রয়েছে ক্যাফিন যা আপনার মাথাব্যথা সৃষ্টি করতে পারে।

বিভিন্ন ধরনের মানসিক চাপেও আপনার মাথা ব্যথার সমস্যা দেখা দিতে পারে

কেননা এটি একটি সাধারণ একটি বিষয়। আপনি যদি কোন কিছু নিয়ে মানসিক চাপে থাকেন তাহলে আপনার মাথা ব্যথা করতে পারে। সেজন্য আপনি যে বিষয়টা নিয়ে চিন্তা খুঁজে বের করে সেটি সল্ভ করার চেষ্টা করুন।

আপনার সারা দিন শুয়ে বসে থাকাটাও মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে

কারণ আপনার যদি পরিশ্রম কম হয় তাহলে মাথাব্যথা দেখা দিতে পারে। সেজন্য আপনি নিয়মিত আপনার শরীর চর্চা করতে পারেন।

খাওয়া দাওয়ায় অনিয়ম হলে মাথাব্যথা দেখা দিতে পারে

আপনি যদি এক বেলার খাবার না খান তাহলেও আপনার মাথা ব্যথা দিতে পারে। কেননা আমরা যা খায় সে খাবার খেতে শরীর একপ্রকার চিনি তৈরি করে। যেটা মূলত আমাদের ব্রেনের খাদ্য।সেক্ষেত্রে আপনি যদি এক বেলার খাবার না খান তাহলে এই চিনির পরিমাণ কমে যায়।মূলত সে কারণে মাথাব্যথা দেখা দেয়। কিন্তু আপনাকে আমরা যে চিনির কথা বললাম এটা কিন্তু চা কফি খাওয়াতে যে চিনি ব্যবহার হয় সেই চিনি না। 

মাথাব্যথা হলে কি করতে হবে

আমাদের বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন সময় মাথা ব্যথা অনুভব করা বেশ স্বাভাবিক একটি বিষয়। এটি মূলত সমস্যা তৈরি করে যখন নিত্য দিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়ায়, আপনার প্রতিদিনের কাজে ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে আপনার এই মাথা ব্যথা। সেক্ষেত্রে নিয়মিত মাথাব্যথা হলে তাকে ক্রনিক হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। কি সমস্যায় আক্রান্তরা হালকা থেকে মারাত্মক ব্যথার সম্মুখীন হতে পারে যা মূলত কখনো পুরোপুরি দূর হয় না।

অনেকেই আছেন যারা মনে করেন মাথাব্যথা তার চেয়ে বেশ জটিল। কিন্তু আমরা হয়তোবা অনেকেই জানিনা বিভিন্ন ধরনের দীর্ঘস্থায়ী মাথাব্যথা রয়েছে এবং সেসব ব্যথার আলাদা আলাদা লক্ষণও রয়েছে। আপনার এক এক ধরনের মাথা ব্যথার জন্য এক এক রকম চিকিৎসার প্রয়োগ করতে হয়।
সেক্ষেত্রে আপনি যদি সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করতে চান তাহলে বিভিন্ন ধরনের মাথাব্যথা সম্পর্কে আরো ভালোভাবে জানা ভীষণ জরুরি। সেজন্য আমরা এখন আপনাদেরকে ৩ ধরনের মাথা ব্যথার সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করব এবং সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করার উপায় সম্পর্কে বলবো।

দীর্ঘ স্থায়ী মাথাব্যথা

আমাদের দীর্ঘস্থায় মাথাব্যথা হচ্ছে সবচেয়ে সাধারণ মাথাব্যথা। এটি মূলত আমাদের কপালের পেশিগুলোর সংকোচন জনিত কারণে ঘটে যা মাথার দুই পাশে ব্যথার কারণ দেখা দেয়। মূলত এই ধরনের মাথা ব্যথা হালকা থেকে মাঝারি হয়ে থাকে। এই মাথা ব্যথা টি মাইক্রো গ্রেনের মত গুরুতর নয় তাই এটি দৈনন্দিন কাজে খুব একটা বাধা সৃষ্টি করতে পারে না।

এই মাথাব্যথা কারণগুলো হলো উচ্চ শব্দ, গেজেটের উজ্জ্বল নীল আলো এবং ধোঁয়া। কিংবা ডিহাইড্রেশনের কারণেও এটি হতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনি দিনের পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করার চেষ্টা করুন। এবং এই ধরনের মাথাব্যথা এড়ানোর জন্য আপনার কাজের মধ্যে কিছুক্ষণ পরপর একটু করে বিরতি নিতে পারেন।

ক্যাফিইন মাথা ব্যথা

ক্যাফিইন মাথা ব্যথা আপনার অতিরিক্ত ক্যাফিইন গ্রহণের ফলে হয়ে থাকে। মূলত কফিতে উপস্থিত ক্যাফিইনের উপাদান গুলো আমাদের মস্তিষ্কের রক্ত প্রবাহকে প্রভাবিত করতে শুরু করে। সেজন্য আপনি যদি অধিক ক্যাফিইন গ্রহণ করেন সে ক্ষেত্রে আপনার মাথা ব্যথা বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং হঠাৎ ক্যাফিইন গ্রহণ ছেড়ে দিলেও এরকম প্রভাব পড়তে পারে। 

আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা ক্যাফিইনের কারণে মাইগ্রেন আরো বেড়ে যায়। মূলত এ ধরনের মাথাব্যথা এড়াতে খুব বেশি কফি খাওয়া উচিত নয়। তাছাড়াও যেসব খাবারে ক্যাফিইন রয়েছে তাও পরিমিত খেলে ভালো হয়। সেক্ষেত্রে আপনি প্রতিদিন দুই কাপ করে কফি খেতে পারেন।

দীর্ঘস্থায়ীভাবে মাইগ্রেন

মাইগ্রেন আমাদের মাথার একপাশে অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকে।এটি মূলত বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জিনগত ব্যাধি যা মস্তিষ্কে প্রদাহ সহ নানা কারণে হতে পারে।মূলত এই ধরনের মাথাব্যথায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা সাধারণত ছুরিকাঘাতের মতো ব্যথা অনুভব করে যেটি কয়েকদিন ধরে থাকতে পারে। 

এছাড়াও মাইগ্রেন শব্দ এবং গ্রন্থের প্রতি সংবেদনশীলতাও বাড়িয়ে তুলে। এটি সাধারণত একটি এপিসোডিক ডিসঅর্ডার।আমাদের প্রতিদিনের কিছু অভ্যাসের কারণেও মাইগ্রেন দেখা দিতে পারে। সেজন্য আমাদেরকে মাইগ্রেন নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য সঠিক খাবার গ্রহণ করতে হবে। এবং বিভিন্ন ধরনের মানসিক চাপ বা স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এবং সারা জীবনের জন্য বর্জন করতে হবে ধূমপান ও অ্যালকোহল।

মাথা ব্যাথার সমাধান কি

আমাদের দৈনন্দিন কাজের চাপে বিশ্রাম না নেওয়ার কারণেও অনেক সময় মাথাব্যথা সমস্যা দেখা দিতে পারে। আপনার যদি ভীষণ মাথাব্যথা করে সে ক্ষেত্রে আপনি যত দ্রুত পারেন ঘুমিয়ে পড়েন, কারণ ঘুমানোর মাধ্যমে মাথা ব্যথা অনেকটাই সেরে যায়। কিন্তু আপনার মাথা ব্যথা যদি দিন দিন বাড়তে থাকে।

তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করুন। অনেক সময় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আমরা যেসব ওষুধগুলো সেবন করি তাতে অনেক ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। তবে আপনি ঘরোয়া উপায়েও মাথাব্যথা দূর করতে পারেন। তাহলে আসুন আমরা জেনে নিই কিভাবে আপনি ঘরোয়া উপায়ে মাথাব্যথা দূর করবেন।

মাথা ব্যথার সমাধান গুলো হল
  • আপনার আঙ্গুলের ডগায় অ্যাসেনশিয়াল অয়েল লাগিয়ে কপালে আর রোগে ম্যাসাজ করুন।ল্যাভেন্ডার বা পিপারমেন্টের মতো কোনো সুগন্ধি ফ্লেভারের তেল দিয়ে আপনার মাথায় ম্যাসাজ করতে পারেন, তাহলে আপনার মাথার যন্ত্রণা অনেকটা কমে যাবে।
  • আপনার রগের দুটো পাশে এবং ঘাড়ের কাছে যদি খানিকক্ষণের জন্য আঙ্গুলের ডগা দিয়ে ম্যাসাজ করেন। তাহলে অনেকটাই আরাম পাবেন এবং ক্লান্তি দূর হবে আপনার। অনেক সময় ক্লান্তির কারণেও মাথা ধরতে পারে সেক্ষেত্রে এই ম্যাসাজ খুব কাজে দেয়।
  • বিভিন্ন সময় অতিরিক্ত আলোর কারণে আমাদের মাথা ব্যথা হয়। তাই মাথা ব্যথা কমাতে আপনার ঘরের আলো কমিয়ে বা নিভিয়ে রাখতে পারেন।
  • ল্যাপটপ বা কম্পিউটার এবং মোবাইল ফোন থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন। এবং যদি আপনি বাইরে থাকেন তাহলে চশমা ব্যবহার করতে পারেন।
  • নবরত্ন তেল মাথায় লাগিয়ে রাখতে পারেন। মাথা ঠান্ডা রাখার জন্য নবরত্ন তেল অনেক কার্যকরী একটি মাধ্যম।
  • চা কফি খেতে পারেন, কারণ চা কফিতে উপস্থিত ক্যাফিইন মাথা যন্ত্রণা কমাতে অনেক ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া লাল চায়ে আদা লবঙ্গ এবং মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। তাহলে আপনার মাথা যন্ত্রণা অনেকটাই কমে যাবে।

সকালে ঘুম থেকে উঠার পর মাথা ব্যাথা করে কেন

অনেক বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে জানা গেছে, সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর আপনার মাথা ব্যথার একাধিক কারণ থাকতে পারে। যেমন সারাদিন বিভিন্ন রকমের কাজে ক্ষেত্রে রোদের মধ্যে থাকলে, বা আপনি যদি রাতে বেশি মদ্যপান বা ধূমপান করেন, আপনার শরীর যদি ডিহাইডেট হয়ে থাকে তাহলে আপনার মাথা ব্যথার কারণ দেখা দিতে পারে।

এবং যদি আপনার রাতের ঘুম অনেকটাই কম হয় সেক্ষেত্রেও আপনার মাথা ব্যথার সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিন্তু আপনার যদি এই সমস্যা দেখা দেয় সে ক্ষেত্রে আপনি কখনোই উদ্বিগ্ন হবেন না, উদ্বিগ্ন না হয়ে বরং ডাক্তারের পরামর্শ নিয়েসঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করুন। আশা করি বিষয়টি আপনি সুন্দর ভাবে বুঝতে পেরেছেন।

মাথা ব্যথার ওষুধের নাম কি

আসলে মাথা ব্যথার ওষুধের নামের আগে, আমাদেরকে জানতে হবে মাথা ব্যাথা টা আসলে কিসের কারণে হচ্ছে? যেমন মাইগ্রেনের মাথাব্যথা, এটি আপনি কিভাবে বুঝবেন? মূলত আমরা যে দুশ্চিন্তা ধরনের মাথা ব্যথার কথা বলেছি এটাতে হালকা থেকে মাঝারি ধরণের ব্যথা হয়ে থাকে। এটা আমাদের মাথাতে তীব্র ব্যথা হয় না, সে ক্ষেত্রে আমরা সারাদিনের স্বাভাবিক কাজগুলো চালিয়ে নিতে পারি।

এই ধরনের মাথাব্যথা হলে বমি বমি ভাব বা বমি হয় না, কিছুক্ষণ হাঁটাচলা করলে মাথা ব্যথা অনেকটাই কমে যায়। সেজন্য যদি এগুলো দেখা যায়, তাহলে মাথা ব্যথা মাইগ্রেনের কারণে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাছাড়াও এই দুটি মাথা ব্যথার আলাদা আলাদা জায়গা দেখা দেয়। আসলে সাধারণত দুশ্চিন্তা ধরনের ব্যথাটা মাথার দুই পাশে হয়। এবং মনে হয় মাথাটা যেন কেউ চাপ দিয়ে ধরে আছে। 

এছাড়াও কারো কারো ক্ষেত্রে মনে হয় একটি টুপি যেন মাথায় টাইট করে বসে আছে। আবার অনেকেরই মনে হয় মাথার উপর ভারী একটা ওজন বসে আছে। সাধারণত ব্যথা মাথার সামনে থেকে পিছনে এবং ঘাড়ে গিয়ে থাকে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই ব্যথা দেখা দিতে পারে মাথা যে কোন জায়গায়। তাই পক্ষান্তরে বলা যায় মাইগ্রেনের ব্যথাটা অন্যরকম হয়ে থাকে। ব্যথাটা টনটন করতে থাকে সবসময়।

একটা সময় মনে হয় এক রক্তনালী সংকোচিত ও প্রসারিত হচ্ছে। আপনি তো এতক্ষণ পার্থক্য জানলেন। এখন আমরা বলব দুশ্চিন্তা ধরনের ব্যথা হলে কি ওষুধ কতদিন ধরে খাবেন। মূলত এ ধরনের মাথা ব্যথা কমাতে এক হাজার মিলিগ্রাম প্যারাসিটামল অনেক কার্যকরী। সারাদেশে সাধারণত ৫০০ মিলিগ্রাম প্যারাসিটামল পাওয়া যায়। ৫০০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট হলে ২ টি করে খাবার চেষ্টা করবেন।

এখন আপনি প্রশ্ন করতে পারেন কখন খাব? আপনার যদি মাথা ব্যথা চলে যায় তাহলে আপনি কখনোই এই ওষুধ খাবেন না। সে ক্ষেত্রে আপনার যদি মাথা ব্যথা থেকে যায় তাহলে ৪ থেকে ৬ ঘন্টা পর পর খেতে পারেন এই ওষুধটি। তবে আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যাতে করে দিনে ৮টি ট্যাবলেটের বেশি না হয়ে যায়।

কারণ এই ওষুধের পরিমাণ একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য। মূলত যার অন্য কোন রোগ নেই, এবং শরীরের ওজন ৫০ কেজি বা তার বেশি। আপনার ওজন যদি হয় ৫০ কেজির নিচে এবং বিভিন্ন ধরনের রোগ যদি আপনার সরিয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যথা নাশক ওষুধ সেবন করবেন।

শেষ কথা | মাথাব্যথা হলে কি করতে হবে | মাথা ব্যাথার সমাধান কি

প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি নিশ্চয়ই  এই পোস্টটির মাধ্যমে এতক্ষণে জেনে গেছেন, মাথাব্যথা হলে কি করতে হবে এবং মাথা ব্যাথার সমাধান কি সে সম্পর্কে। আশা করি এ পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে আসবে। তাই এই পোস্টটি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।

এবং এরকম বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন আর্টিকেল বা ব্লক পোস্ট নিয়মিত পেতে আমাদের সাথেই থাকুন, তাছাড়াও আমরা এই ওয়েবসাইটে প্রযুক্তি বিষয়ক বিভিন্ন পোস্ট বা আটিকের প্রকাশ করে থাকি। আসসালামুয়ালাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url