কাঁচা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

প্রিয় পাঠক, আপনি নিশ্চয়ই জানতে চাচ্ছেন, কাঁচা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। তাহলে বন্ধু আপনি সঠিক জায়গাতেই এসেছেন। কারণ আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাকে এখন জানাবো কাঁচা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। কাচা বাদামে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি মন যা আমাদের শরীরে জন্য বেশ উপকারী। তাই আমাদের প্রত্যেকেরই কাঁচা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা বিষয়ে জানা উচিত।
কাঁচা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
শুধু তাই নয়, কাঁচা বাদাম বিষয়ক আরো অন্যান্য অজানা তথ্যগুলো আপনারা জানতে পারবেন এই পোস্টের মাধ্যমে। কেননা আমরা কাঁচা বাদাম নিয়ে খুবই সুন্দরভাবে এই পোস্টটি সাজিয়েছি এবং আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। তাই আপনি এই পোস্টটি অবশ্যই প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়বেন। আশা করি এ পোস্টটি পড়তে আপনার অনেক ভালো লাগবে এবং এ পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে আসবে।
পোস্ট সূচীপত্রঃ কাঁচা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

ভূমিকা | কাঁচা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

বাংলাদেশে এমন কোন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না, যে মানুষটি বাদাম পছন্দ করেন না। আমরা সকলেই বাদাম খুবই পছন্দ করি। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা এই বাদামে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ রয়েছে যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। ভাজা বাদামের চেয়ে যদি আপনি কাঁচা বাদাম খেতে পারেন, তাহলে আপনার শরীরে অনেক উপকার পাবেন। তাই আপনারা যদি জানতে চান খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে, তাহলে এ পোস্টটি আপনাদের জন্য।
কারণ আমরা এই পোষ্টির মাধ্যমে আপনাদেরকে খুব সুন্দর ভাবে আলোচনা করার মাধ্যমে জানাবো কাঁচা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা বিষয়ে। আরো যে সকল বিষয়গুলো আপনাদের সামনে আমরা আলোচনা করব সেগুলো হলঃ কাঁচা বাদাম এ কি কি ভিটামিন আছে, কাঁচা বাদাম খাওয়ার নিয়ম, সকালে কাঁচা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা এবং প্রতিদিন সকালে কাঁচা বাদাম খেলে কি হয়। আশা করি এই পোস্টটি যদি আপনি প্রথম থেকে স্টেপ বাই স্টেপ মনোযোগ সহকারে পয়েন্টগুলো পড়েন।

তাহলে এ সমস্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন। কারণ আমরা এই সমস্ত বিষয়গুলো নিয়ে খুব সুন্দর ভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। তো চলুন বন্ধু আর দেরি না করে আমরা এ সকল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে আসার চেষ্টা করি।

কাঁচা বাদাম এ কি কি ভিটামিন আছে

আপনি যদি নিয়মিত কাঁচা বাদাম খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরে অনেক ধরনের পুষ্টিকর উপাদান প্রবেশ করবে। কাচা বাদামে রয়েছে ভিটামিন-ই প্রোটিন, ম্যাগনেসিয়াম, ফাইবার, কপার, ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ, ক্যালোরি, ক্যালসিয়াম, ওমেগা ৩, আয়রন। কাঁচা বাদামে যে সকল পুষ্টিগুণ রয়েছে সে সকল পুষ্টি গুণগুলো শরীরের হাড়ের জোড় বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে থাকে। 

এবং এর পাশাপাশি ক্যান্সারের আশঙ্কা কমিয়ে থাকে এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। কাঁচা বাদামের মধ্যে উপস্থিত প্রোটিন শরীরের মাংসের পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। তাই তাহলে কাঁচা বাদাম খুবই ভালো খাবার হবে আপনার জন্য। মূলত এর কারণ হচ্ছে যখন আপনি শরীর চর্চা করেন বা করার পর পরবর্তীতে শরীরে অনেকটা প্রোটিনের প্রয়োজন পড়ে এবং যে প্রোটিন অনায়াসে আপনি বাদাম থেকে পেয়ে যাবেন।

কিন্তু আপনার যদি হজমের সমস্যা থাকে, তাহলে কাঁচা বাদাম এড়িয়ে চলায় আপনার জন্য ভালো হবে। কাচা বাদামে উপস্থিত ক্যালসিয়াম আপনার শরীরের হাড় মজবুত করতে সাহায্য করবে। মূলত একটা নির্দিষ্ট বয়সের পরে প্রায় অনেকেরই হারে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। তখন শরীরে ক্যালসিয়ামের খুবই প্রয়োজন পড়ে। তখন দাঁতের ক্ষয় হওয়া আটকাতেও কাঁচা বাদাম বেশ ভূমিকা রাখে।

তাছাড়া কাচা বাদামে থাকা আইরন রক্তশূন্যতা দূর করতে পারে। তাই আপনি যদি রক্তস্বল্পতায় ভুবেন তাহলে অবশ্যই কাঁচা বাদাম খাবেন, তাহলে বেশ উপকার পাবেন। কাঁচা বাদামে উপস্থিত ভিটামিন ই আমাদের ত্বকের জন্য খুবই ভালো। কাঁচা বাঁধার নিয়মিত খেলে শরীর সবসময় সতেজ থাকবে এর পাশাপাশি বাড়বে উজ্জ্বলতা। কখনোই ত্বকে কোনরকম বলিরেখা আক্রমণ করতে পারবে না।

এছাড়া চুলও ভালো রাখতে বেশ সাহায্য করে থাকে কাঁচা বাদাম। আপনি যদি মনে করেন তাহলে কাঁচা বাদাম পিছে বাদাম থেকে দুধ বের করে নিয়ে তা খেতে পারেন, আর যদি সেটা আপনি না পারেন তাহলে কাঁচা বাদাম জলেও খেতে পারেন। কিন্তু অবশ্যই একমুঠ খাওয়ার চেষ্টা করবেন, কখনোই বেশি খাবেন না। তবে আপনার শরীরে যদি বিশেষ কোন সমস্যা থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কাঁচা বাদাম খাবেন।

কাঁচা বাদাম খাওয়ার নিয়ম

আমরা পোষ্টের এই অংশে জানতে চলেছি, কাঁচা বাদাম খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। আসলে কাঁচা বাদামের যতই উপকার থাক না কেন, এটা খাওয়ারও একটা সঠিক নিয়ম আছে। তাই আপনি যদি কাঁচা বাদাম খাওয়ার নিয়ম না জানেন, তাহলে এখন জেনে নিন। আসলে কাঁচা বাদাম খাওয়ার সঠিক সময় হল সকালের দিকে বা সন্ধ্যায়। অনেক পুষ্টিবিদরা বলেন, সকালে খালি পেটে ভেজানো বাদাম সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর।

তাই আপনি অবশ্যই চেষ্টা করবেন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে কাঁচা বাদাম খাওয়ার। তবে আপনি সন্ধ্যাবেলায় জল খাবারের সঙ্গেও কাঁচা বাদাম রাখতে পারেন। আমন্ড হোক কিংবা চিনা বাদাম হোক অন্তত ৬ থেকে ৭ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখার পর খাওয়ার চেষ্টা করবেন। শরীরের জন্য কাঁচা বাজার একেবারে ভালো নয় বললেই চলে। ভেজানো বাদামের মধ্যে থাকা উষ্ণতা অনেকটাই কম থাকে।

এবং এর পাশাপাশি ফাইটিক এসিডের পরিমাণও অনেকটাই কমে যায়। সেজন্য শরীর থেকে পুষ্টি শোষণ করা সহজ হয়ে থাকে। কিন্তু যদি আপনি বাদাম ভেজাতে ভুলে যান, তবে অবশ্যই ড্রাই রোস্ট করবেন। আপনি কোন অবস্থাতেই কাঁচা বাদাম খাওয়ার চেষ্টা করবেন না। আশা করি কাঁচা বাদাম খাওয়ার নিয়ম সুন্দরভাবে বুঝতে পেরেছেন।

সকালে কাঁচা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা

আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা মাঝেমধ্যেই প্রশ্ন করে থাকেন, ভাজা বাদাম না কাঁচা বাদাম কোনটা বেশি উপকারী?। এই প্রশ্নে অনেক পুষ্টিবিদরা বলেছেন, কাঁচা বাদামের গুণের কোন তুলনা হয় না। কাঁচা বাদামে রয়েছে ভিটামিন ই, আয়রন, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ওমেগা ৩। তাই নিয়মিত সকালে ঘর হলে হাড়গঠনে অনেক উপকার পাওয়া যায়। এছাড়াও চুল ভালো রাখে ও ত্বকের বলিরেখা রোধ করতে বেশ সাহায্য করে থাকে।

তো চলুন সকালে কাঁচা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।
  • রক্তস্বল্পতার সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে কাঁচা বাদামঃ নিয়মিত সকালে কাচা বাদাম খাওয়ার ফলে শরীরে আয়রনের ধার দিয়ে দূর হয়ে থাকে। এতে শরীরে রক্তের অভাব দূর করে এবং এর পাশাপাশি রক্ত চলাচল ভালো রাখতে সাহায্য করে। সেজন্য রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ হয়। কাঁচা বাদাম ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ার ফলে এটি ভিজে গেলে এর বৈশিষ্ট্য বৃদ্ধি পায়। নিয়মিত সকালে খাওয়ার ফলে হজম প্রক্রিয়া বৃদ্ধি পায়। এছাড়া কাচা বাদামে ভিটামিন-ই প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ওমেগা ৩, আয়রন ইত্যাদির মত নানান পুষ্টি উপাদান রয়েছে। তাই পানিতে ভিজিয়ে রেখে নিয়মিত সকালে খাওয়ার ফলের গ্যাস ও এসিডিটির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়ঃ বিভিন্ন পুষ্টিবিদদের মতে, যারা নিয়মিত সকালে কাঁচা বাদাম খেয়ে থাকেন তাদের শরীরে অন্যদের তুলনায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। নিয়মিত খাওয়ার ফলে হাড় শক্তিশালী হয়ে থাকে। তাছাড়া মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং এর পাশাপাশি ক্যান্সারের আশঙ্কাও দূর করতে সাহায্য করে। কাচা বাদামে কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট, ভিটামিনের মত বিভিন্ন উপাদান রয়েছে।
  • চিরতরে ব্যথা থেকে মুক্তিঃ এই শীতে গুড়ের সাথে ভেজানো কাঁচা বাদাম খেলে শরীরের জয়েন্ট এবং কোমর ব্যথা থেকে চিরতরে মুক্তি পাওয়া যাবে। কেননা কাঁচা বাদাম ক্যালসিয়াম সরবরাহ করে থাকে। তাছাড়াও যাদের দাঁতের সমস্যা আছে। তাদের জন্যও অনেক উপকারী এই কাঁচা বাদাম। ভেজানো কাঁচা বাদাম খাওয়ার ফলে স্মৃতিশক্তি ও দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। একই সাথে প্রাণশক্তি ও শারীরিক শক্তি বজায় রাখে কাচা বাদাম।
  • ডায়াবেটিস থেকে চিরতরে মুক্তিঃ খালি পেটে প্রতিদিন ভেজানো কাঁচা বাদাম খেলে রক্ত সর্কারা নিয়ন্ত্রণে থাকে। ভেজানো কাঁচা বাদাম খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিসের মতো দূরারোগ্য রোগ প্রতিরোধ হয়। বিপরীতে ডায়াবেটিস রোগীরা নিয়মিত সকালে ৫০ গ্রাম পরিমাণ কাঁচা বাদাম খেলে অনেক উপকার পাবেন।

কাঁচা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

আমরা এখন পোস্টের অংশ জানতে চলেছি কাঁচা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। আসলে যে জিনিসের উপকারিতা থাকবে সেই জিনিসের অপকারিতা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। আমরা প্রথমে জানবো কাঁচা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা এবং তার পরে জানবো কাঁচা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা। তো চলুন বন্ধু আমরা ঝটপট জেনে নেই কাঁচা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।

কাঁচা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা

কাঁচা বাদামে উপস্থিত বিভিন্ন ধরনের পুষ্ট করা আমাদের শরীরের নানা ধরনের উপকার করে। বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা গেছে, বাদামের চাইতেও কাঁচা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা অনেক বেশি।
  • কাচা বাদামে হাড় গঠনে বেশ সাহায্য করে থাকে।
  • ক্যান্সার প্রতিরোধে কাঁচা বাদাম অনেক উপকারী।
  • কাঁচা বাদাম স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
  • রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ কাঁচা বাদাম বেশ উপকারী।
  • শরীরের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে কাঁচা বাদাম।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর পরিমাণ বেশি থাকে কাঁচা বাদামে। এছাড়াও কথা বাদামের উপকারিতা হচ্ছে এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, আয়রন, ক্যালসিয়াম থাকে। সেজন্য মেনোপোজ হয়ে যা নারীদের ক্ষেত্রে তাদের হাড় গঠনের জন্য অনেক উপকারী এই কাঁচা বাদাম। তবে কাঁচা বাদামে থাকা ব্যাকটেরিয়া শরীরে অনেক সময় ক্ষতি করতে পারে।

কাঁচা বাদামের অপকারিতা
এমনিতে কাঁচা বাদাম অনেক পুষ্টি পর। কিন্তু কেউ যদি অতিরিক্ত পরিমাণে কাঁচা বাদাম খায় তাহলে যে সমস্ত ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে সেগুলো হলো-
  • ওজন বৃদ্ধি করে থাকে কাঁচা বাদাম
  • কাঁচা বাদাম মিনারেলের শোষণে বাধা দিয়ে থাকে।
  • প্রদাহ সৃষ্টি হয়ে থাকে।
  • উচ্চ রক্তচাপের আশঙ্কা থাকে।
  • এলার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে।

প্রতিদিন সকালে কাঁচা বাদাম খেলে কি হয়

আমরা এখন পোস্টটির এই অংশ জানতে চলেছি, প্রতিদিন সকালে কাঁচা বাদাম খেলে কি হয়?। আপনি যদি প্রতিদিন সকালে কাঁচাবাজান খান তাহলে যে সকল উপকারগুলো পাবেন সেগুলো নিচে দেওয়া হলঃ
  • হাড় গঠন এবং মাংসপেশী মজবুত রাখতে সাহায্য করেঃ কাঁচা বাদামের প্রোটিন দেহ গঠনে ও মাংস বেশি তৈরিতে বেশ ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়া কাঁচা বাদামে রয়েছে ফসফরাস যেটি হাড়ের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে তাই তো প্রতিদিন সকালে একবারটি করে কাঁচা বাদাম খাওয়া শুরু করলে জীবনে কোনদিনই হাড়ের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকবে না।
  • ক্যান্সার প্রতিরোধে কাঁচা বাদামঃ কাঁচা বাদামে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ করে সে সঙ্গে প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে। এন্টিঅক্সিডেন্ট আরো অনেক উপকারে লেগে থাকে।যেমন এক্সিডেটিভ ট্রেস কমিয়ে কোষের ক্ষত রোদ করে থাকে।সে সাথে ত্বকের ও শরীরের বয়স কমাতেও সাহায্য করে।
  • কাঁচা বাদাম ব্রেনের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকেঃ কারণ কাঁচা বাদামে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা ব্রেনের বৃদ্ধি করে থাকে।
  • ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে কাঁচা বাদামঃ কাঁচা বাদাম খেলে খিদে কমে যায় এবং বেশি খাওয়ার প্রবণতাও অনেকটাই কমে যায়। সে সাথে শরীরে প্রয়োজন অতিরিক্ত ক্যালরি জমে ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনাও ঘুমিয়ে থাকে।
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের কাঁচা বাদামঃ কাঁচা বাদামে থাকা ম্যাগনেসিয়াম রক্তে অবস্থিত শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে থাকে। সেজন্যই মূলত ডায়াবেটিসদের নিয়মিত বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন অনেক চিকিৎসকের। তাছাড়া এক গবেষণা থেকে জানা গেছে নিয়মিত কাঁচা বাদাম খেলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় ২৫ থেকে ৩৮ শতাংশ কমে আসে।
  • কাঁচা বাদাম ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ রাখেঃ বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা গেছে ম্যাগনেসিয়াম ঘনিষ্ঠীর অভাবে ময়ের মধ্যে ব্লাড প্রেসার মারাত্মক বেড়ে যাওয়ার মত ঘটনা ঘটতে পাড়ার আশঙ্কা থাকে। আর অনেকদিন যদি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকে, তবে হঠাৎ করে স্টোক, হার্ট অ্যাটাক এমনকি কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে।সেজন্য শরীরে যাতে কোন সময় ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি দেখা না দেয়। তাই নিয়মিত কাঁচা বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন অনেক বিশেষজ্ঞরা।
  • ত্বক ও চুল ভালো রাখতে সাহায্য করে কাঁচা বাদামঃ কাঁচা বাদামের ভিটামিন ই এবং ক্যারোটিন ত্বক ও চুল ভালো রাখে। এবং এর পাশাপাশি শরীরের বয়স কমাতেও সাহায্য করে।
  • কাঁচা বাদাম শরীরের পুষ্টির অভাব দূর করে থাকেঃ কাঁচা বাদামে উপস্থিত সবগুলো কথা নেই শরীরের জন্য অনেক উপকারী। সেজন্য একাধিক ক্রনিক রোগ দূর করতে উপাদান গুলো বেশ সাহায্য করে থাকে।
  • খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে থাকে কাঁচা বাদামঃ অনিয়ন্ত্রিত কোলেস্টেরলের জন্য হার্টের রোগে আক্রান্তের হার ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। সেজন্য হার্টকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত ডায়েটে কাঁচা বাদাম রাখুন। কারণ কাঁচা বাদাম শরীরে ভালো কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়িয়ে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমিয়ে থাকে। এবং সেইসাথে কমে হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা।

শেষ কথাঃ কাঁচা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করি এতক্ষণে আপনি জেনে গেছেন কাচা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। যেহেতু কাঁচা বাদামে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ রয়েছে সেহেতু আমাদের সকলেরই উচিত খাদ্যের তালিকায় কাঁচা বাদাম রাখার। বন্ধ নিশ্চয়ই পোস্টটি আপনার কাছে খুবই ভালো লেগেছে এবং অনেক উপকারে আসবে। 

তাই এ পোস্টটি যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে অবশ্যই আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। তাহলে আপনার মাধ্যমে আপনার বন্ধুরা জানতে পারবে কাচা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। আর অবশ্যই আমাদের এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট বা ফোলো করা চেষ্টা করবেন, কারণ আমরা নিয়মিত এই ওয়েবসাইটে নতুন নতুন ব্লগ পোস্ট বা আর্টিকেল পাবলিশ করে থাকি। আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url