কি করলে গ্যাস কমবে - কিভাবে গ্যাস্ট্রিক দূর করা যায়
তেঁতুল খাওয়া কি ভালোআপনি নিশ্চয়ই, কি করলে গ্যাস কমবে এবং কিভাবে গ্যাস্ট্রিক দূর করা যায়? এগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান। সেজন্য আমরা এ আর্টিকেলের মধ্য দিয়ে আপনাদের জানাবো কি করলে গ্যাস কমবে ও কিভাবে গ্যাস্ট্রিক দূর করা যায় সে সম্পর্কে।
আপনি যদি এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়েন। তাহলে অবশ্যই আপনি কিভাবে গ্যাস্ট্রিক দূর করা যায় এবং কি করলে গ্যাস কমবে তা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন। তবে চলুন জেনে আসা যাক।
পোস্ট সূচিপত্রঃ কি করলে গ্যাস কমবে - কিভাবে গ্যাস্ট্রিক দূর করা যায়
ভূমিকা | কি করলে গ্যাস কমবে | কিভাবে গ্যাস্ট্রিক দূর করা যায়
আমাদের প্যাটে গ্যাসের সমস্যার কথা নতুন কিছু নয়। এই সমস্যা কমানোর জন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সেবন করে থাকি। কিন্তু ঘরোয়া উপায়ে পেটের গ্যাসের সমস্যা দূর করা সম্ভব। তাহলে চলুন কি করলে গ্যাস কমবে বা কমানো সম্ভব হবে। আমরা সবাই কলা খেতে পছন্দ করি। তবে গ্যাস কমানোর জন্য কলা একটি কার্যকারী উপাদান। কলায় প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে যা প্রাকৃতিক এন্টাসিড। এসিড রিফ্লাক্সের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করতে পারে।
আপনি যদি প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে একটা করে কলা খান খালি পেটে, তাহলে কিছুদিনের মধ্যেই আপনার গ্যাসের সমস্যা গুলো দূর হয়ে যাবে। তাছাড়া এই আর্টিকেলে আমরা আরো বিভিন্ন রকম উপায় আপনাদেরকে জানাবো। সেগুলো যদি আপনি জানেন তাহলে আপনার কখনোই গ্যাসের সমস্যা দেখা দিবে না। আর যদিও দেখা দেয় সে ক্ষেত্রে আপনি তাড়াতাড়ি ঘরোয়া উপায় মাফিক নিজে নিজেই এই সমস্যা দূর করতে পারবেন।
কিভাবে গ্যাস্ট্রিক দূর করা যায়
আমাদের মধ্যে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সবারই হয়ে থাকে। তাছাড়া গ্যাস্ট্রিকের লক্ষণ গুলো হল বদহজম, বমি বমি ভাব, পেটে ক্ষুধা, বমি করা, পেটে জ্বালাপোড়া করা, ক্ষুধা হ্রাস পাওয়া, এবং খাওয়ার পর পেট বেশি ভরে গেছে এমন অনুভূতি হওয়া ইত্যাদি। বাইরের ভাজাপোড়া বেশি পরিমাণে খাওয়া, খাবার সময়মতো না খাওয়া, এবং পরিমাণ মতো পানি না পান করা ইত্যাদি কারণে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয়ে থাকে। তাই আপনি কিভাবে গ্যাস্ট্রিক দূর করবেন সে সম্পর্কে জেনে রাখুন কিছু ঘরোয়া উপায়।
দুইঃ প্রতিদিন আপনি তিন চামচ দই খেতে পারেন। দুই আমাদের পাকস্থলীকে এইচ পাইলোরি ব্যাকটেরিয়া থেকে রক্ষা করতে পারে, যা গ্যাস্ট্রিক হওয়া থেকে বিরত রাখতে পারে। তাছাড়াও দুই আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে। আপনি চাইলে কলা, মধু, দই একসঙ্গে পেস্ট করে তারপর সেটি খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্যাস্ট্রিক সমস্যা রোড করার জন্য দ্রুত কাজ করবে।
আলুর রসঃ গেস্টিক সমস্যা দূর করার অন্যতম ভালো উপায় বলতে পারেন। আলুর এলকালাইন উপাদানগুলো গ্যাস্ট্রিক সমস্যার লক্ষণ দূর করে থাকে। আপনি একটি বা দুটো আলো নিয়ে গ্রেট করে নিতে পারেন। এরপর গ্রেট করা হয়ে গেলে আলু থেকে রস বের করে নিন। এরপর আলুর রসের সাথে গরম পানি মিশা। আপনি এই পানীয় দিনে দুইবার পান করুন।প্রতিটা বেলার খাবারের ২০ মিনিট আগে খেতে হবে আলোর রস। আপনি যদি ভাল ফল পেতে চান তাহলে অন্তত ১ সপ্তাহ পান করুন এই পানীয়।
আদাঃ আদা এমন একটি উপাদান যা গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় বা জ্বালাপোড়া হলে তা রোদ করতে সাহায্য করে থাকে। আদা খেলে বমি সমস্যা, বদহজম এবং গ্যাস হওয়া থেকে বিরত রাখে। তাই আপনি আদার রসের সাথে মধু মিশিয়েও খেতে পারেন। তবে দুপুরে ও রাতে খাওয়ার আগে এটি খেলে ভালো হয়। আদা কচি করে কেটে পানি দিয়ে ফুটিয়ে নিবেন। তারপর ৫ মিনিট ধরে ঢেকে রাখুন, এরপর এর সাথে সামান্য একটু মধু মিশিয়ে চায়ের মত বানিয়ে ফেলুন। এই পানীয় দিনে আপনি তিনবার পান করুন দ্রুত উপকার পাবেন। চাইলে আপনি আস্ত আদা ধুয়ে কেটে চিবিয়ে খেতে পারেন।
চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়
আপনি দোকানে যাবেন এবং এক কোম্পানিরই কয়েক ধরনের গ্যাস্টিকের ওষুধ দেখতে পাবেন। এবং আপনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন সারাদেশে যে পরিমাণ এসিডিটির ওষুধ রয়েছে অন্য সব রোগ মিলিয়েও এ পরিমান হবে না। কখনোই ওষুধের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে খাবারের দিকে মনোযোগী হতে পারেন। যে খাবারগুলো গ্যাস্ট্রিক দূর করতে সাহায্য করে সে খাবার গুলো আপনার খাদ্য তালিকায় রাখার চেষ্টা করুন।
আরো পড়ুনঃ দাঁতের ব্যাকটেরিয়া দূর করার প্রাকৃতিক উপায়
স্বাস্থ্যকর খাবার না খাওয়া, শারীরিক পরিশ্রম না করা, খাওয়া-দাওয়া ঠিক মতো না করা, এবং পানি কম খাওয়ার ফলে পেটে প্রচুর পরিমাণে গ্যাস তৈরি হয়ে থাকে।। আপনি যদি প্রথম দিকেই সচেতন না হোন, তাহলে পরবর্তীতে আলসার হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক কোন কোন খাবার গুলো দ্রুত গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে পারে-
শসা
শসা পেট ঠান্ডা রাখতে বেশ কাজ করে থাকে। হজম শক্তিতে সাহায্য করে কাঁচা শসা। এতে রয়েছে ফ্লেভানয়েড এবং রয়েছে এন্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা পেটে গ্যাসের উদ্ভিদ গুলোকে কমিয়ে আনতে পারে। এতে আরো রয়েছে প্রচুর সিলিকা ও ভিটামিন সি। যা দেহের ওজন কমাতে পারে এবং আদর্শ টনিক হিসেবে কাজ করে। আপনি যদি নিয়মিত শসা খেতে পারেন তাহলে দীর্ঘমেয়াদী কণ্ঠকাঠিন্যও দূর করা সম্ভব।
আনারস
আনারসে রয়েছে নব্বই শতাংশ পানি এবং ব্রোমেলিন যা আপনার হজমে সাহায্যকারী প্রাকৃতিক এনজাইম এবং অত্যন্ত কার্য করে একটি পাচক রস। এটি আপনার পরিপাকতন্ত্র পরিষ্কার রাখতে পারে। আপনার ত্বকের জন্য আনারস খুব উপকারী।
পানি
পানের বহুগুণ যা বলে শেষ করা যাবে না। তবে প্রতিদিন সকালে যদি আপনি খালি পেটে এক গ্লাস বা দুই গ্লাস পানি পান করতে পারেন তাহলে দেখবেন সারাদিনে আপনার আর কোন গ্যাস্টিকের সমস্যা হচ্ছে না। কারণ পানি আমাদের হজম শক্তি বাড়াতে বেশ সাহায্য করে তাছাড়া পানি পরিপাকতন্ত্র পরিষ্কার রাখতে কাজ করে থাকে।
কলা
আপনি যদি বেশি পরিমাণে লবণ খান, তাহলে আপনার গ্যাস ও হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে পলায় যে পটাশিয়াম আছে তা শরীরের সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে। কলা হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, এবং দেহ থেকে দূষিত পদার্থ গুলোকে দূর করতে সহযোগিতা করে।
পেঁপে
পেপে রয়েছে পেপেইন নামক এনজাইম যা আমাদের শরীরের হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। তাই আপনি যদি নিয়মিত পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন বা আপনার খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন তাহলে গ্যাসের সমস্যা কমে যাবে। এছাড়া পেঁপে কাঁচা ও পাকা দুই অবস্থাতে খেতে পারেন। আপনি পাকা কাঁচা দুটোতেই উপকার পাবেন।
হলুদ
আমাদের হজমের ক্ষমতা বৃদ্ধিতে হলুদ দারুন কাজ করে থাকে। এটি চর্বি জাতীয় খাবার হজমে ভূমিকা রাখতে পারে। এবং হলুদে প্রদাহনাশক উপাদান থাকায়, যা প্রদাহ কমাতে পারে।
গ্যাস্ট্রিক দূর করার প্রাকৃতিক উপায়
আমরা সবাই জানি, আমাদের একটি পরিচিত সমস্যা হচ্ছে গ্যাস্ট্রিক বা গ্যাসের সমস্যা। দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে খাবারের সামান্য অনিয়ম করলেই অনেকের মুখোমুখি হতে হয় এই সমস্যার । এবং এটি হতে হতে এক সময় শরীরে বড় আকার ধারণ করে, সৃষ্টি করতে পারে আলসার পর্যন্ত। কিন্তু আপনি নিজে এই সমস্যার সমাধান করতে পারবেন, ঘরে এবং প্রাকৃতিক উপায় এর মাধ্যমে। তবে চলুন জেনে আসা যাক গ্যাস্ট্রিক সমস্যার সমাধানের প্রাকৃতিক সমাধান।
ব্যায়াম করা
ড্যামের মাধ্যমে যে আমাদের শরীর ভালো থাকে সেটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু এটি আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার সমাধানও অনেক সাহায্য করে থাকে। আপনারা অনেকেই জানেন না গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা এরাতে খাওয়ার পরে হাটার অভ্যাস এর মাধ্যমে, এছাড়াও দড়ি লাফ, দোর বা হাটা গ্যাস্টিকের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে থাকে।
আপেল সিডার ভিনেগার
গ্যাসের সমস্যা দূর করতে আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়া কার্যকর। এজন্য খাওয়ার আগে পানি বাঁচায় সঙ্গে এক টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে পান করতে হবে। তাহলে আপনি পেতে পারেন অনেক উপকার। এটি নিয়মিত দিনে দুইবার পান করলে অনেক ভালো ফল মিলে।
প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা
গ্যাসের সমস্যার সমাধানের অনেক বেশি পরিচিত একটি সমাধান হচ্ছে প্রচুর পানি পান করা। আর এটি করলে তা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমানোর পাশাপাশি আরো অনেক রোগ থেকে মুক্তি মিলে খুব সহজে। সেজন্য আপনাকে প্রতিদিন কমপক্ষে ৭ থেকে ৮ গ্লাস পানি পান করতে হবে।
লেবু
লেবু পানি বা লেবু চা পান করলে অনেক ভালো ফল পাওয়া যায় গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার সমাধানের জন্য। এর সঙ্গে সামান্য পরিমাণ লবণ জিরা গোঁড়া ও লবণ মিশিয়ে খেতে পারেন। তাহলে দ্রুত ফল মিলবে।
আদা
প্রাকৃতিকভাবে ভাবে পেটের গ্যাসের সমস্যা সমাধানের জন্য অনেক ভালো একটি মাধ্যম হলো আদা। ফুটানো পানি বা চায়ে আদা খেতে পারেন আপনি। তবে আপনি যদি আরো ভালো ফল পেতে চান তাহলে এর সঙ্গে লেবুর রস বা মধু মিশিয়ে নিতে হবে। এটি আপনার গ্যাসের সমস্যা দূর করার পাশাপাশি বদহজমও দূর করে থাকে।
পুদিনা পাতা
কার্যকারী মাধ্যম হিসেবে পুদিনা পাতা গ্যাসের সমস্যা দূর করতে পারে। এবং এর পাশাপাশি এটি আপনার বমি ভাব ও দূর করতে সক্ষম হয়। সে ক্ষেত্রে আপনি কিছু পরিমাণ পুদিনা পাতা মুখে নিয়ে ভালো করে কি বলে কমে যাবে গ্যাসের সমস্যা।
দারুচিনি
দারুচিনি দেশের সমস্যা কমাতে অনেক কার্যকর। এছাড়া এটি আপনার পেটের ব্যথা কমাতেও অনেক ভালো কাজ করে থাকে। প্রথমে দারুচিনি পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি কুসুম গরম অবস্থায় পান করতে হবে। আবার আপনি চায়ে বা দুধে দারুচিনি গোড়া মিশিয়ে পান করতে পারেন, এতে করেও আপনি উপকার পাবেন।
গ্যাস্ট্রিক দূর করার ব্যায়াম
আমাদের দেশে পেটের গ্যাস দূর করার জন্য বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের মাসাজ বিদ্যমান রয়েছে। সেজন্য খুব সহজেই পেটের গ্যাস থেকে মুক্তি পাওয়া যায় বা গ্যাস দূর করা যায়। অনেকেই পেটের গ্যাস দূর করার ব্যায়াম সম্পর্কে জানেনা। তবে জেনে নিন পেটের গ্যাস দূর করার ব্যায়ামগুলো।
যোগ ব্যায়াম
অনেক গবেষণায় দেখা গেছে পেটের গ্যাসের সমস্যা একদম কমিয়ে দিতে বা পেট ফাঁপা ভাব কমিয়ে আনতে এটি খুব কার্যকর। তাই আপনার হাঁটা বা যুগের মতো ব্যায়াম করার ফলে পেটের পেশির ব্যায়াম হয়ে থাকে। এমনকি অন্ত্র ঠিকমতো কাজ করে থাকে।সেজন্য পেট থেকে গ্যাস বেরিয়ে যায়। কিছুক্ষণ আপনার যোগ ব্যায়াম করার পর পরই আপনার নিজেকে অনেকটা হালকা মনে হবে।
হাটা
ব্যায়াম করলে শরীর ভালো থাকে এটা আমরা সবাই জানি তবে এটি গ্যাস্টিকের সমস্যার সমাধানে অনেক কার্যকারিতা হয়তো অনেকেই জানেন না। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে রাতে খাওয়ার পর প্রতিদিন হাটার অভ্যাস গড়ে তুলুন। তাছাড়া নিয়মিত হাঁটা গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা কমাতে অনেক কাজ করে থাকে।
পেট ম্যাসাজ করা
আপনার পেটে গ্যাস হলে আপনি পেটের উপর হালকা তেল দিয়ে ধীরে ধীরে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে পেট ম্যাসাজ করুন এটি করলে গ্যাস অন্ত্রের নিচের দিকে চলে আসে এবং পায়োদারের মাধ্যমে বের হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে দিনে কয়েকবার এই মাসাজ করুন।
ম্যাসাজ করার নিয়ম
বাম হাতটিকে বাম দিকে বুকের খাঁচার হাড়ের নিচের দিকে ঘুরতে হবে। এরপর গোল গোল ভাবে ম্যাসাজ করতে হবে। এভাবে যদি আপনি কয়েকবার করতে পারেন তাহলে দ্রুত গ্যাসের সমস্যা কমে যাবে।
গ্যাস্ট্রিক দূর করার খাবার
কিছু খাবার রয়েছে যা গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা কমাতে অনেক সহযোগিতা করে। তবে আসন জেনে নিই এমন কিছু খাবার সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে-
উচ্চ আর সমৃদ্ধ খাবার
যেমন- বীজ, বাদাম,সবজি, বেরি ও সবুজ শাক সবজি আপনার হজম ক্রিয়া উন্নত করে। এবং সে সঙ্গে গ্যাস্টিকের ব্যথা কমাতে সহায়তা করে।
দুই ব্যাকটেরিয়ার ভালো উৎস
দুই হজমে সাহায্য করে থাকে। আপনি পানের সঙ্গে দই মিশিয়ে পানীয় তৈরি করতে পারেন। এবং এতে ভাজা চিড়া ও বিট লবন মিশিয়ে স্বাদও বাড়াতে পারেন। আপনি চাইলে এতে আপেলও যোগ করতে পারেন।
আপেল সিডার ভিনেগার
অন্ত্রে এসিডিক মাইক্রোন তৈরি করার ফলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়।এছাড়া এনজাইমকেউও সক্রিয় করে তোলে। তাছাড়া ব্যথা কমাতে পারে ও গ্যাস্ট্রিকের নানা সমস্যা যেমন পেট ব্যথা ও পেট ফোলা ভাব কমায়।
লবঙ্গ
পেট ফোলা ভাব, পেট ফাঁপা, গ্যাস্টিকের ব্যথা ও কন্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় লবঙ্গ খাওয়াটা জরুরি। আপনি লবঙ্গ চিবিয়েও খেতে পারেন বা খাবারের পর এলাচের সঙ্গে লবঙ্গের গুঁড়া মিশিয়ে এক কাপ চা পান করতে পারেন। এতে করে এসিডিটি কমায় ও অতিরিক্ত গ্যাস দূর করে থাকে।
ভেষজ চা
গ্যাস্ট্রিকের ব্যথার সমস্যার জন্য ভেষজ চা খেতে পারেন। কারণ বিভিন্ন ওষুধি গুন সম্পূর্ণ গাছপাতা দিয়ে তৈরি এ যা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সাডেন্ট এবং প্রদাহরোধী সমৃদ্ধ উপাদান। আমাদের শরীরে ভেষজ চাওয়া হজমের সাহায্য করে, এবং গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা কমানোর কাজ করে। তাছাড়া ভেষজ উপাদানের মধ্য আদা, লেবু, পুদিনা ও ক্যামোমাইল।
শেষ কথা | কি করলে গ্যাস কমবে | কিভাবে গ্যাস্ট্রিক দূর করা যায়
প্রিয় পাঠক, কি করলে গ্যাস কমবে এবং কিভাবে গ্যাস্ট্রিক দূর করা যায়, সে সম্পর্কে আপনি ইতিমধ্যে জেনে গেছেন। এখন আপনি নিজে থেকেই এগুলোর সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। আশা করি কিভাবে গ্যাস্টিক দূর করা যায় ও কি করলে গ্যাস কমবে এই আর্টিকেলটি আপনার অনেক উপকারে আসবে।
এবং এ আর্টিকেলটি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। এরকম বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন পোস্ট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন, ধন্যবাদ। আসসালামু আলাইকুম।
সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url