কলমি শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা - কলমি শাকের ক্ষতিকর দিক

প্রিয় বন্ধুরা, আবারো চলে এলাম, কলমি শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং কলমি শাকের ক্ষতিকর দিক নিয়ে। আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা কর্মী সাক্ষীতে খুবই পছন্দ করেন। তাদের অবশ্যই জানা উচিত কলমি শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। তাই বন্ধু আপনিও যদি কলমি শাক খেতে পছন্দ করে থাকেন, তাহলে আপনার জানা প্রয়োজন কলমি শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং কলমি শাক এর ক্ষতিকর দিক।
কলমি শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা
আশা করি এ পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি এই সমস্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন। কারণ আমরা কলমি শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে সুন্দরভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। শুধু তাই নয় এ পোস্টটির মাধ্যমে আপনি কলমি শাকের আরো অন্যান্য বিষয়গুলো জানতে পারবেন। তো বন্ধু চলুন দেরি না করে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ে আসি-আশা করি এ পোস্টটি পড়তে আপনার অনেক ভালো লাগবে এবং এ পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি কলমি শাকের বিষয়ে অনেক কিছু জানতে পারবেন।
পোস্ট সূচীপত্রঃ কলমি শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা - কলমি শাকের ক্ষতিকর দিক

ভূমিকা | কলমি শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা | কলমি শাকের ক্ষতিকর দিক

বাংলাদেশে এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না, যে মানুষ শাকসবজি পছন্দ করেনা। আমরা সকলেই শাকসবজি পছন্দ করি কারণ শাকসবজি আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকার এনে দেয়। শাকসবজিতে যে সকল পুষ্টিগুণগুলো রয়েছে সে পুষ্টিগুণ গুলো, আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে এবং এর পাশাপাশি আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি যোগান দেয়। তেমনি ভাবেই কলমি শাকেরও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ,

যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তাই অবশ্যই আমাদের সকলেরই জানা উচিত কলমি শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং কলমি শাকের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে। শুধু তাই নয়, আপনি যদি এ পোস্টটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত স্টেপ বাই স্টেপ পয়েন্টগুলো পড়েন, তাহলে আপনি যে সকল বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন সেগুলো হলোঃ কলমি শাক কি ভিটামিন,

কলমি শাকের বৈশিষ্ট্য, কলমি শাক চাষ পদ্ধতি, কলমি শাক খেলে প্রেসার বাড়ে না কমে। তাই বন্ধু এই পয়েন্ট গুলো জানার জন্য আপনাকে সম্পূর্ণ পোস্টটিই পড়তে হবে। যদি আপনি একটা পয়েন্ট মিস করেন তাহলে পোস্টটি আপনার পড়তে খুব একটা ভালো লাগবে না, কারণ এ পোস্টটি আমরা এমনভাবে সাজিয়েছি যা প্রতিটা পয়েন্টটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই চেষ্টা করবেন সকল পয়েন্টগুলো পড়ার।

কলমি শাকের বৈশিষ্ট্য

কলমি শাক আসলে অর্ধ জলজ লতা। কর্মীকে সাধারণত শাক হিসেবেও খাওয়া হয়। আর কলমি শাকের বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে "আইপোসিয়া অ্যাকোয়াটিক"। তবে কলমি শাকের আদি নিবাস কোথায় হয়েছিল সেটা এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি। বাংলাদেশের গ্রামের অঞ্চল গুলোতে কলমি শাকের চাষ করতে দেখা যায়। এই কলমি সাতটি ভেজা মাটিতে বা পানিতে জন্মায়। কলমি শাক চাষ করার জন্য খুব একটা যত্নের প্রয়োজন হয় না।

কলমি শাকের ডাটা ফাঁকা হওয়ার কারণে সব সময় পানিতে ভেসে থাকে। কলমি শাকের পাতাগুলো লম্বাটে আকৃতি হয়ে থাকে এবং রং হয় সবুজ আর ফুলগুলো হয় ট্রাম্পেট আকৃতির। কলমি শাকের ফুলের রং হয় সাদা আর গোড়ার দিকে রঙ হয় বেগুনি। কলমি শাক পুষ্টিগুণে ভরপুর সেজন্য আমাদের বাংলাদেশে কলমি শাককে ভাজি করে খাওয়া হয়ে থাকে। আমরা ১০০ গ্রাম কলমি শাক থেকে যে সব পুষ্টিগুণ গুলো পায় সেগুলো হলঃ
  • পানের পরিমাণ ৮৯.৭ গ্রাম।
  • আমিষের পরিমাণ ৩.৯ গ্রাম।
  • লৌহ এর পরিমাণ ০.৬ গ্রাম।
  • শ্বেতসারের পরিমাণ ৪.৪ গ্রাম।
  • আঁশের পরিমাণ ১.৪ গ্রাম।
  • থায়ামিনের পরিমাণ ০.৯ মিলিগ্রাম।
  • ক্যালসিয়ামের পরিমাণ ০.৭১ মিলিগ্রাম।
  • নায়াসিনের পরিমাণ ১.৩ মিলিগ্রাম।
  • ক্যালরির পরিমাণ ৩০ কিলো ক্যালরি।
  • ভিটামিন সি এর পরিমাণ ৪৯ মিলিগ্রাম।
যেহেতু কলমি শাকে এত পরিমাণ পুষ্টিগুণ রয়েছে সেহেতু আমাদের সকলেরই কলমি শাক খাওয়া উচিত। আপনি এই কলমি শাকটি অল্প দামে কিনতে পারবেন বাজার থেকে।

কলমি শাক চাষ পদ্ধতি

আমরা এখন জানতে চলেছি কলমি শাক চাষ পদ্ধতি। কলমি শাক চাষ করার জন্য আপনার জমিতে ৫ থেকে ৬ বার চাষ করে নিতে হবে তারপর মই দিয়ে ভালো করে মাটিগুলো ঝড়ঝড়ে করে নিতে হবে। আপনি কলমি শাক লাইন বাই লাইন করে লাগাতেও পারেন আবার আপনি ইচ্ছা করলে ছিটিয়েও দিতে পারেন আপনার জমিতে। তবে আপনি যদি লাইন বাই লাইন কলমি শাকের বীজ বপন করেন, তাহলে আপনি খুব সহজে বীজগুলোর যত্ন নিতে পারবেন।

আপনি যদি লাইন বাই লাইন কলমি শাকের বীজ বপন করেন, সেক্ষেত্রে লাইনগুলোর দূরত্ব হতে হবে ৮ ইঞ্চি এবং বীজ থেকে বীজের দূরত্ব হতে হবে ছয় ইঞ্চি। আপনি কলমি শাকের বীজ একসঙ্গে সর্বোচ্চ দুইটি বপন করতে পারবে। কিন্তু যদি দেখেন একসঙ্গে অনেক চারা জন্মাতে, তাহলে ওখান থেকে চারা কিছু কেটে ফেলতে হবে। শতাংশপ্রতি আপনার বীজ প্রয়োজন হতে পারে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ গ্রাম।

আর আপনি যদি চান কাঙ্খিত ফসল পেতে তাহলে আপনাকে সুষম ব্যবহার করতে হবে। সেক্ষেত্রে মাটির উর্বরতা বিবেচনা করার পর সয়েল মিক্স ব্যবহার করলে ভালো হয়। সেজন্য আপনাকে প্রথমে মাটি পরীক্ষা করে নিতে হবে। তা যদি আপনি না করতে পারেন তাহলে আপনি স্বাভাবিক মাত্রায় দিতে পারেন। ভালো মানের জৈব সার দিতে হবে যেমনঃ সয়েল মিক্স, ন্যানো মিক্স ইত্যাদি সার প্রয়োগ করতে হবে।

কখনোই আপনার জমিতে কলমি শাকের আগাছা জন্মাতে দেওয়া যাবে না। কেননা আগাছা গুলো খাবারের সঙ্গে ভাগ বসিয়ে থাকে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড় আশ্রয়স্থল হিসেবে কাজ করে থাকে। সেজন্য আপনি যখনই আগাছা দেখতে পাবেন তখন সঙ্গে সঙ্গে তুলে ফেলবেন। যখনই আপনার জন্য শুকিয়ে যাবে তখনই যত দ্রুত সম্ভব জমিটি সেচ দিবেন। তবে বর্ষাকালে সেচ দেয়ার কোন প্রয়োজন হয় না।

কিন্তু যদি দেখেন বর্ষাকালে কোন প্রকার বৃষ্টির আবির্ভাব দেখা দিচ্ছে না সেক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই জমিতে সেচ দিবেন। আপনার জমিতে কলমি শাকের কিছু সংখ্যক পোকার আক্রমণ হতে পারে, যেমনঃ বিছা পোকা, বিটল, ঘোড়া পোকা ইত্যাদি। তবে এ সকল পোকামাকড় গুলো জবানের জন্য ভালো মানের পরিবেশবান্ধব কীটনাশক ব্যবহার করতে পারেন। যেমনঃ স্টারকেল জি, ম্যাটারিজম, বিওভারিয়া ইত্যাদি,

কীটনাশকগুলি থেকে সবজির সুরক্ষায় বেশ সাহায্য করে থাকে। অনেক সময় দেখা যায় জমি যখন সেতসেতে হয়ে থাকে তখন কলবি শাকের গোড়াগুলো পচে যায়। আসলে এটি ড্যাম্পিং অফ রোগের কারণে হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে আপনি ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে পারেন আপনার জমিতে। আশা করি কিভাবে আপনি কলমি শাক চাষ করবেন সেটি বুঝতে পেরেছেন।

কলমি শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা

এবার আমরা জানবো কলমি শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। সবথেকে পরিচিত শাকের একটি হচ্ছে কলমি। প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ রয়েছে কলমি শাকিল। কিন্তু অন্যান্য শাকের ভিড়ে এই কলমি শাককে খুব একটা কদর করতে দেখা যায় না। কিন্তু আপনি কি জানেন কদর বিহীন শাকটি আমাদের শরীরের জন্য কত উপকারী। বিভিন্ন স্বাস্থ্য বিষয়ক চিকিৎসকেরা বলেন,

কলমি শাকে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, আয়রন এবং অন্যান্য জরুরী কিছু সংখ্যক উপাদান রয়েছে। সেজন্য এই কলমি শাক খেলে অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাহলে চলুন আমরা ঝটপট জেনে আসি কর্মীর সাথে উপকারিতা কি কি, তবে তার পরে জানব এই কলমি শাকের কিছু সংখ্যক অপকারিতা সম্পর্কে। প্রথমে আমরা জানব কলমি শাকের উপকারিতা। পরে আমরা জানবো কলমি শাকের অপকারিতা।

কলমি শাকের উপকারিতা গুলো নিচে দেওয়া হল

  • লিভার ভালো রাখতে বেশ ভূমিকা রাখে কলমি শাক।
  • ক্যান্সারের হাত থেকে বাঁচাতে পারে এই কলমি শাক।
  • হার্টকে ভালো রাখতে সাহায্য করে কলমি শাক।
  • আমাদের দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে কাজ করে থাকে কলমি শাক।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কলমি শাক বেশ ভূমিকা পালন করে থাকে।
  • কলমি শাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকায় হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে থাকে, সেজন্য ছোটবেলা থেকেই শিশুদেরকে কলমি শাক খাওয়ানো প্রয়োজন।
  • কলমি শাকে প্রচুর পরিমাণ লৌহ থাকায়, রক্তশূন্যতা রোগীদের বেশ উপকারী এই কলমি শাক।
  • শিশু জন্মের পর যদি মায়ের বুকের দুধ না পায়, তাহলে মাকে কলমি শাক রান্না করে শিশুকে খাওয়াতে হবে, তাহলে শিশু পর্যাপ্ত পরিমাণে দুধ পাবে।
  • আপনি যদি নিয়মিত কলমি শাক খেতে পারেন তাহলে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হবে।
  • আপনার ত্বক ও চুলের যত্নে কলমি শাক ব্যবহার করতে পারেন, অনেক উপকার পাবেন।
  • শারীরিক দুর্বলতা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনার খাদ্যের তালিকায় কলমি শাক রাখতে পারেন।
  • দ্রুত খাবার হজমেও কলমি শাক বেশ উপকারী।
  • ঋতুস্রাবের সমস্যা দূরীকরণের জন্য কলমি শাক বেশ সাহায্য করে থাকে।
  • আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যাদের মাঝেমধ্যে মাথা ব্যথা সমস্যা অনুভব করে থাকেন, তারা কলমি শাক খেলে অনেক উপকার পাবেন।
  • অনিদ্রা দূরীকরণেও কলমি শাক বেশ ভূমিকা পালন করে থাকে।
  • মাথার খুশকি দূর করতেও বেশ সাহায্য করে থাকে কলমি শাক।
  • কোন প্রকার বিষাক্ত জিনিস এ কামড়ালে যেমন তেলাপোতা, ছারপোকা, পিপড়া, মৌমাছি ইত্যাদি। তাহলে কলমি শাকের পাতা ডোগাসহ রস করে লাগালে যন্ত্রণা অনেকটাই কমে যায়।
  • আপনার যদি হাত পা কিংবা শরীর জ্বালা পোড়া করে তাহলে আপনি কলমি শাকের রসের সঙ্গে একটুখানি মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এভাবে যদি আপনি এক সপ্তাহ খেতে পারেন তাহলে আপনি অনেক উপকার পাবেন।
  • বিভিন্ন ধরনের ফোড়া উঠলে, কলমির পাতা বেটে প্রলেপ দিলে বাগি মিশে যায়।
এবার আমরা জানতে চলেছি কলমি শাকের কিছু অপকারিতা সম্পর্কে। আমরা সকলেই জানি যেই জিনিসের উপকারিতা আছে, সেই জিনিসের অপকারিতা থাকবে এটাই স্বাভাবিক।

কলমি শাকের অপকারিতা গুলো নিচে দেওয়া হল
  • কলমি শাকের উপকারিতা অনেক থাকলেও, অপকারিতা খুব একটা নাই। কিন্তু আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে কলমি শাক খান তাহলে আপনার ডায়রিয়া হতে পারে এবং যাদের পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা আছে তারা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কখনোই কলমি শাক খাবেন না আশা করি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। তাছাড়া যাদের ইউরিক এসিডিটি অথবা কিডনিজনিত কোন সমস্যা রয়েছে, তারাও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কলমি শাক খাবেন। 

কলমি শাক খেলে প্রেসার বাড়ে না কমে

আমরা এবার জানব কলমি শাক খেলে প্রেসার বাড়ে না কমে?। কলমি শাক আমাদের শরীরের জন্য বেশ ভূমিকা পালন করে থাকে, আর এটি একটি সবজি। তাছাড়া কলমি শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে যা আমাদের শরীরের পক্ষে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আসলে কলমি শাক খাওয়ার ফলে আমাদের প্রেসার বাড়ে না কমে সেটা অনেকেই জানে না। কিন্তু আমরা সকালেই কখনো না কখনো এই কলমি শাকটি দেখেছি।

এই কলমি শাকটি মূলত বাজারের দোকান গুলোতে দেখতে পায়। এই কলমি শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। সেজন্য আমরা যদি শিশুদেরকে ছোট থেকেই কলমি শাক হওয়ায় তাহলে শিশুর হাড় শক্ত এবং মজবুত হবে। তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে থাকে এই কলমি শাকটি। এর পাশাপাশি আমাদের প্রেসার নিয়ন্ত্রণ রাখতে বেশ ভূমিকা পালন করে থাকে এই কলমি শাক।

তাহলে অবশ্যই আপনার প্রেসার নিয়ন্ত্রণের জন্য আজ থেকে আপনার খাদ্যের তালিকায় কলমি শাক রাখতে পারেন। শুধু তাই নয়, এই কলমি শাক আমাদের চুল ও ত্বকের যত্নে ব্যবহার করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। আশা করি বিষয়টি আপনি সুন্দরভাবে বুঝতে পেরেছেন।

কলমি শাকের ক্ষতিকর দিক

আমরা পোষ্টের শুরু থেকে জেনে আসছি কলমি শাকের শুধু উপকারিতা সম্পর্কে। কিন্তু কলমি শাকের ক্ষতিকর দিক রয়েছে, মূলত সেই বিষয় নিয়েই আমরা আলোচনা করতে চলেছি এখন। কলমি শাকে যেমন উপকারিতা আছে, তেমনিভাবে আপনি যদি নিয়ম অনুযায়ী না খান তাহলে এর কিছু ক্ষতিকর দিকও রয়েছে। তো চলুন দেরি না করে আমরা ঝটপট জেনে নেই কলমি শাকের ক্ষতিকর দিক কি?।

  • যারা বিশেষ করে কিডনি জনিত সমস্যায় ভুগছেন তারা কলমি শাক থেকে দূরে থাকো। কারণ তাদের জন্য কলমি শাক মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে।
  • আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে কলমি শাক খান, তাহলে আপনার ডায়রিয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
তাই আপনি সবসময় একটি কথা মাথায় রাখবেন, তুমি সাথে যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনিভাবে অতিরিক্ত পরিমাণে কলমি শাক খেলে উপকারিতার চেয়ে আপনার অপকারিতায় বেশি। আসে জন্য কলমি শাক অতিরিক্ত পরিমাণে না খেয়ে পরিমাণ মতো খান, তাহলে সব থেকে ভালো হয়। আশা করি কলমি শাকের ক্ষতিকর দিক কি? এই বিষয়ে আপনি ক্লিয়ার একটি ধারণা পেয়েছেন।

শেষ কথা |  কলমি শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা | কলমি শাকের ক্ষতিকর দিক

প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। যেহেতু শাকসবজি আমরা সকলেই পছন্দ করে থাকি, সেহেতু আমাদের সকলেরই উক্ত বিষয় সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত। আশা করি এই পোস্টটি আপনার কাছে অনেক ভালো লেগেছে এবং পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে পেরেছে। এছাড়াও এই পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে আসবে। তাই এ পোস্টটি যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।

কারণ আপনার মাধ্যমে আপনার বন্ধুরা জানতে পারবে, কলমি শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং কলমি শাকের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে। আর বন্ধু অবশ্যই আমাদের এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট বা ফোলো করবেন। কারণ আমরা এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত নতুন নতুন ব্লক পোস্ট বা আর্টিকেল পাবলিশ করে থাকি। আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url