কোন ব্যায়ামের উপকারিতা বেশি - কখন ব্যায়াম করা ভালো

প্রিয় পাঠক, আপনি নিশ্চয়ই আমাদের পোষ্টের মাধ্যমে জানতে চান কোন ব্যায়ামের উপকারিতা বেশি? এবং কখন ব্যায়াম করা ভালো? সে সম্পর্কে। তাই আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাকে জানাবো কোন ব্যায়ামের উপকারিতা বেশি ও কি কি ব্যায়াম করা উচিত এবং কখন ব্যায়াম করা ভালো।
কোন-ব্যায়ামের-উপকারিতা-বেশি-
তাই এই পোস্টে আপনি যদি সম্পূর্ণ পড়েন। তাহলে এগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন, এছাড়াও এই পোস্টটির মধ্যে অন্যান্য ব্যায়ামের বিষয়গুলো সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে। আশা করি এই পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে আসতে পারে। তাহলে চলুন বিস্তারিত ভাবে জেনে আসা যাক কোন ব্যায়ামের উপকারিতা বেশি এবং কখন ব্যায়াম করা ভালো সম্পর্কে।
পোস্ট সূচিপত্র: কোন ব্যায়ামের উপকারিতা বেশি - কখন ব্যায়াম করা ভালো

ভূমিকা | কি কি ব্যায়াম করা উচিত | কোন ব্যায়ামের উপকারিতা বেশি

যেকোনো ব্যায়ামি আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকার। আমাদের শরীরে বিভিন্ন সমস্যার মোকাবেলা করার জন্য নিয়মিত ব্যাং অনেক জরুরী। আর সেজন্য আপনি বিভিন্ন ধরনের ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরের উপকারিতা লাভ করতে পারেন। আবার অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন কখন ব্যায়াম করা ভালো? আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা সন্ধ্যা বাড়াতে ব্যায়াম করে থাকে। তাছাড়া আবার অনেকে সকালের সময়টি শ্রেষ্ঠ মনে করেন।
এবং বিভিন্ন ধরনের মানুষেরা ব্যায়ামের সঠিক সময় কোনটি? এটা নিয়ে অনেকের মধ্যেই নানান দ্বিধাদ্বন্দ্ব রয়েছে। আসলে বলতে গেলে ব্যায়াম করার কোন বাধা ধরা নিয়মকানুন নেই। সেক্ষেত্রে আপনি যখনই সময় পাবেন তখনই ব্যাংক করতে পারেন। তাই এই পোস্টটির মধ্যে আমরা কোন ব্যায়ামের উপকারিতা বেশি এবং কখন ব্যায়াম করা ভালো এই নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করব।

এছাড়াও সকালে ব্যায়াম করলে কি হয়, একটা মানুষের প্রতিদিন কতক্ষণ ব্যায়াম করা উচিত এবং কি কি ব্যায়াম করা উচিত এগুলো সম্পর্কে আমরা আপনাদেরকে বিস্তারিত ভাবে জানাবো আপনি যদি এগুলো সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই মনোযোগ সহকারে পড়বেন। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নিই কোন ব্যায়ামের উপকারিতা বেশি এবং কখন ব্যায়াম করা ভালো বিষয়ে।

সকালে ব্যায়াম করলে কি হয়

আসলে ব্যায়াম করার কোন বিকল্প নেই আমাদের শরীর ভালো রাখার জন্য। তারপরও আমাদের শরীরে কোন ধরনের রোগ না থাকলেও শরীরের সুস্থতা ধরে রাখতে হলে অবশ্যই ব্যায়াম করা প্রয়োজন। অনেক গবেষণায় বা বিশেষজ্ঞদের মতে বলা হয়েছে, একটি মানুষের জন্য প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট করে সপ্তাহে কমপক্ষে ৬ দিন ব্যায়াম করা উচিত।

কিন্তু এর মধ্যে অনেক মানসিক দ্বিধাদ্বন্দ্বে জড়িয়ে থাকে যে আসলে সকাল দুপুর নাকি বিকেল কোন সময়ে আমাদের শরীর চর্চা করার আদর্শ সমান। সেক্ষেত্রে একাধিক গবেষণায় বলেছেন, সকালে ব্যায়াম করলে বেশি ভালো হয় দিনের যেকোনো সময়ে পরিবর্তে। সকালে ব্যায়াম করার ফলে আমাদের হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস এবং অনেক ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই কমে আসে।

সে ক্ষেত্রে আমরা কিছু ব্যাঙের উপকারিতা সম্পর্কে আপনাদেরকে জানাবো। এগুলো নিচে সুন্দরভাবে উল্লেখ করা হল।

সকালে ব্যায়াম করার উপকারিতা
  • সকালে ব্যায়াম করার মাধ্যমে শরীরে এন্ডোরফিন নামক এক হরমোনের নিঃসরণ ঘটে থাকে।এ ধরনের এন্ডোরফিনগুলো আমাদের মস্তিষ্কের রিসেপ্টর গুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করে এক ধরনের ইতিবাচক অনুভূতি সৃষ্টি করে থাকে। সে ক্ষেত্রে আমাদের সারাদিন মন ভালো থাকে এবং আমরা অনেক হতাশা থেকে মুক্ত থাকি।
  • সকালে নিয়মিত ব্যায়াম করার ফলে আমাদের ক্ষুধা বাড়ে এবং হজম শক্তি ভালো হয় ও খাওয়ার ইচ্ছা তৈরি হয়।
  • আমাদের শরীরে রক্তের লোহিত কণিকা থেকে চর্বি ভরে যায় সকালে হাটার ফলে। কারণ আমাদের হাঁটার সময় রক্তের ইনসুলিন এবং গ্লুকোজ হয় হয়ে থাকে। তার ফলে ডায়াবেটিস ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
  • সকালে ব্যায়াম করলে বা নিয়মিত হাঁটলে বেশি পরিমাণ অক্সিজেন সরবরাহ হয়ে থাকে, এতে করে আমাদের শরীরের হৃদয়ে রোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।
  • সকালের নিয়মিত ব্যায়াম আমাদের দেহের শর্করা নিয়ন্ত্রণে রেখে ডায়াবেটিসের মাত্রা কমিয়ে থাকে।
  • সকালে ব্যায়ামের ফলে পেশিগুলো শক্তিশালী হয়ে থাকে। কারণ সকালে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা বাড়ে।
  • তাছাড়াও আমরা যদি প্রতিদিন সকালবেলা ব্যায়াম করি তাহলে আমাদের রাতের ঘুম ভালো হয়।সে ক্ষেত্রে যাদের ঘুমের সমস্যা রয়েছে তারা বিশেষ করে সকালে ব্যায়াম করতে পারেন।
  • আবার সকালের স্নিদ্ধ বাতাস থেকে আমাদের শরীরে অক্সিজেন হৃৎপিণ্ডে পৌঁছে রক্তগুলো বিশুদ্ধ করে এবং অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত মস্তিষ্কে সরবরাহ করে থাকে। তার ফলে আমাদের মস্তিষ্ক সচল থাকে এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়, স্মরণ শক্তি বৃদ্ধি করে থাকে ও ডিমেনশিয়া প্রতিরোধ করতে পারে।

কোন ব্যায়ামের উপকারিতা বেশি

আমরা এতক্ষণে জানলাম সকালে ব্যায়াম করলে কি হয় সে সম্পর্কে। এখন আমরা জানবো কোন ব্যায়ামের উপকারিতা বেশি। তাই আপনি যদি না জেনে থাকেন কোন ব্যায়ামের উপকারিতা বেশি? তবে এখন আপনি জেনে নিন। অনেক ব্যায়ামই আছে যেটা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকার। আপনি যেকোনো ধরনের ব্যায়াম করতে পারেন আপনার শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য। সে ক্ষেত্রে আপনার কোন বাধা ধরা নেই।

কারণ আমরা জানি নিয়মিত ব্যায়ামের ফলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, সহনশক্তি বাড়ে, মনকে চাঙ্গা করে তুলে, ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে সহায়তা করে, শরীরের নমনীয়তা বাড়িয়ে থাকে, শরীলকে করে তুলে শক্তিশালী, কর্মস্পৃহা বাড়িয়ে থাকে, আমাদের বিভিন্ন ধরনের যৌন সমস্যা দূর করতে পারে, ব্যায়াম সুনিদ্রায় সহায়ক ইত্যাদি অনেক উপকার আছে।

তাই এটি নির্ধারিত ভাবে বলা যাবে না কোন ব্যায়ামের বেশি উপকারিতা। সে ক্ষেত্রে আপনি সহজ কিছু ব্যায়াম বেছে নিতে পারেন।
  • নিয়মিত সাঁতার কাটা
  • সাইকেল চালানো
  • যোগব্যায়াম
  • প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে হাটাহাটি করা
  • হিপ সার্কেলস ব্যায়াম

প্রতিদিন কতক্ষণ ব্যায়াম করা উচিত

আমরা এতক্ষণ জানলাম কোন ব্যায়ামের উপকারিতা বেশি এগুলো সম্পর্কে। এখন আমরা জানবো প্রতিদিন কতক্ষণ ব্যায়াম করা উচিত সে সম্পর্কে। তাই আপনি যদি প্রতিদিন কতক্ষন ব্যায়াম করা উচিত জেনে না থাকেন তাহলে এখন জেনে নিন।

একটা মানুষের জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট করে সপ্তাহেও অন্তত পাঁচ থেকে ছয় দিন ব্যায়ামের মাধ্যমে আমাদের শরীর সুস্থ রাখার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু আমাদের শরীরের গঠন ও রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য আরো কিছুক্ষণ সময় নিয়ে ব্যায়াম করা যেতে পারে। যেমন ধরেন একজন ডায়াবেটিস রোগীর সপ্তাহে ছয় দিন এক ঘণ্টা করে হাঁটলে সুস্থ থাকতে পারেন।

তাছাড়া আমাদের মধ্যে যারা ওজন নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন এবং চাচ্ছেন ওজন কমাতে তাহলে তাদের উচিত অন্তত প্রতিদিন ৪৫ থেকে ৫০ মিনিট হাঁটা। তবে এই হাঁটা কিন্তু ঢিলমিলে হাঁটা নয়। আপনাকে এমন গতিতে হাঁটতে হবে যাতে করে শরীর থেকে ঘাম ঝরে। সেক্ষেত্রে আপনার গতি হবে ঘন্টায় প্রায় পাঁচ থেকে ছয় কিলোমিটার।

কি কি ব্যায়াম করা উচিত

আমরা এতক্ষণ জানলাম আমাদের প্রতিদিন কতক্ষণ ব্যায়াম করা উচিত। আমরা এখন জানবো আমাদের শরীরে কি কি ব্যায়াম করা উচিত? সে সম্পর্কে। তাই আপনি যদি আমাদের শরীরে কি কি ব্যায়াম করা উচিত সে সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে এখন জেনে নিন।

আমাদের শরীর সুস্থ থাকার জন্য নিয়মিত ব্যায়ামের কোন বিকল্প নেই। ব্যাঙের ফলে আমাদের শরীরে পেশি শক্তিশালী হয়ে থাকে। এবং আমাদের অতিরিক্ত খাওয়া দাওয়ার ফলে জমে থাকা মেদ বা চর্বি কমানোর জন্য ব্যায়াম অনেক উপকারী। তাই এখন আপনাদেরকে জানাবো সাতটি ব্যায়ামের কথা। এই ব্যায়ামগুলো আমাদের শরীরে অনেক কার্যকরী এবং এই ব্যায়ামগুলো আমাদের করা উচিত।

কি কি ব্যায়াম করা উচিত এর ৭ টি উদাহরণ

হিপ মার্চিং ব্যায়াম

প্রথমে আপনাকে একটা চেয়ারে বসতে হবে তারপর দুই পা নারানোই এই ব্যায়ামের নিয়ম।আপনার বাতের ব্যথা প্রতিরোধ করা সম্ভব এই ব্যায়ামের মাধ্যমে। নিয়মিত মেনে এই ব্যায়ামটি করলে অল্প দিনে আপনার বাড়তি ওজন কমানো সম্ভব।

সিঙ্গেল লেগ রোমানিয়ান ডেডলিফটস ব্যায়াম

আপনার এক পায়ের সাহায্যে লাফালাফি করার একটি নিয়ম সিঙ্গেললেগ রোমানিয়ান ডেডলিফটস ব্যায়ামে। এই ব্যায়াম করার ফলে আপনার মেধা বৃদ্ধি জনিত রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়। এবং এই ব্যায়াম নিয়মিত করার ফলে শরীরের মেদ কমে আসে।

ক্ল্যামশেল ব্যায়াম

আপনাকে প্রথমে মেঝেতে শুয়ে দুই পায়ের মাঝখান ফাঁকা ও বন্ধ করতে হবে এটাই এই ব্যায়ামের নিয়ম। নিয়মিত এই ব্যায়ামের মাধ্যমে আপনাদের শরীরের মেদ বা চর্বি কোন সম্ভব হয়। তাছাড়াও নিয়মিত এই ব্যায়াম করার ফলে বাত ব্যথা দূর করা সম্ভব হয়।

ল্যাটেরাল স্টেপ আপ ব্যায়াম

আপনাকে একটি টুল বা মুড়া নিতে হবে ল্যাটেরাল স্টেপ ব্যায়াম করার জন্য। তারপর মুড়া বা টুলের উপর আপনার বাম পা রেখে ডান পা একবার উপরে এবং আরেকবার নিজের সঙ্গে রাখতে হবে এটাই এই ব্যায়ামের নিয়ম। এর মাধ্যমে আপনার মেদ কমানো অনেক সহজ হবে।

সাঈদস্টেপ ব্যায়াম

প্রথমে আপনাকে হাঁটুতে ভর গিয়ে বসতে হবে। এরপর আস্তে আস্তে একবার ডান পাশে আরেকবার বাম পাশে সরতে হবে। মাঝে মাঝে বিরতি নিয়ে এই ব্যায়ামটি করলে আপনার শরীরের ওজন দ্রুত কমানো সম্ভব হবে।

ফ্র্যাংকেনস্টেইন হাঁটা ব্যায়াম

আপনাকে এই ব্যায়াম করার জন্য আপনার হাত সামনের দিকে প্রসারিত করে পা কয়েকবার হাতের কাছে নিয়ে আসতে হবে, এটাকে আপনি একটানা এভাবে না করে মাঝেমধ্যে কিছুক্ষণের জন্য বিশ্রাম নিতে পারেন। এই ব্যায়ামের ফলে আপনার কয়েক মাসের মধ্যে ওজন কমানো সম্ভবঃ

হিপ সার্কেলস ব্যায়াম

এই ব্যায়াম করার জন্য আপনাকে বড় একটি খোলা জায়গা বা উঠানে যেতে হবে। তারপর প্রথমে আপনাকে বাম পা একাধিকবার ঘুরাতে হবে সে সঙ্গে আপনার ডান পা একইভাবে ঘুরাতে হবে। এই ব্যায়াম নিয়মিত করার মাধ্যমে আপনার পেটের চর্বি দ্রুত কমে যাবে।

কখন ব্যায়াম করা ভালো

আমরা এতক্ষণ জানলাম আমাদের কি কি ব্যায়াম করা উচিত। এখন আমরা জানতে চলেছি আমাদের কখন ব্যায়াম করা ভালো। তাই আপনি যদি না জেনে থাকেন তখন ব্যায়াম করা ভালো তাহলে এখন জেনে নিন। আমাদের সুস্থভাবে জীবন যাপন চালানোর জন্য নিয়মিত শরীর চর্চা করা উচিত। সেজন্য অনেকে প্রশ্ন করেন কখন ব্যায়াম করব? এবং কখন ব্যায়াম করবো না?। 

সে কথার ভিত্তিতে আপনাকে আমরা বলব আপনার শরীর সুস্থ রাখতে ব্যায়াম করা জরুরী। কিন্তু ব্যায়ামের সময় নিয়ে অনেকেই পড়েন বিপত্তিতে। হয়তো কারো কারো ব্যায়াম করার ইচ্ছা থাকলেও সময় করে উঠতে পারেন না। আপনার শরীর সুস্থ থাকার জন্য শুধু নিয়মিত ব্যায়াম করলেই হবে না।কোন সময়ে ব্যায়াম করা ভালো এবং কখন ব্যায়াম করা ঠিক নয় সে বিষয়ে আপনাকে জানতে হবে। তাই আমরা এখন জানাবো বিষয়গুলো কি কি।
  • আপনি ইচ্ছা করলে সকালে ঘুম থেকে উঠেই ব্যায়াম করতে যেতে পারেন। আপনার দীর্ঘ সময় ঘুমের পর সকালে ব্যায়াম করার ফলে সারাদিন ফুরফুরে মেজাজ রাখতে সহায়তা করবে।
  • তাছাড়া আপনি সন্ধ্যার আগে বিকালে ব্যায়াম করার জন্য তৈরি হতে পারেন কারণ সেটাও একটি উপযুক্ত সময়। যেহেতু ব্যায়াম করার মাধ্যমে আমাদের শরীর থেকে ঘাম ঝরে পড়ে, সেজন্য নরম আবহাওয়াতেই ব্যায়াম করা আমাদের জন্য ভালো।
  • আপনি যদি দুপুরে বা বেশি গরমে ব্যায়াম করেন তাহলে আপনার সহজেই অনেক ক্লান্ত মনে হতে পারে। সেজন্য এই সময়ে ব্যায়াম না করায় আপনার জন্য ভালো।
  • হয়তো বা আপনি অনেক ব্যস্ত থাকার কারণে সারাদিন সময় করে উঠতে পারেন না, সে ক্ষেত্রে আপনি রাতে ব্যায়াম করতে পারেন। এতে কোন ধরনের সমস্যা হবে না।
  • আবার আপনারা যদি কেউ সারাদিন বাড়িতট থাকেন, তাহলে আপনি চাইলে যে কোন সময় ব্যায়াম করতে পারেন। কিন্তু আপনাকে একটা কথা মাথায় রাখতে হবে ব্যায়াম করার সময় বেশি অতিরিক্ত খাবার খাওয়া একেবারে ঠিক নয়। সেক্ষেত্রে আপনি হালকা খাবার খেতে পারেন যেমন একটা কলা, ও বিস্কুট খেয়ে ব্যায়াম করতে পারলে ভালো হয়।
  • অনেকেই আছেন যারা সকালে ব্যায়াম করতে গিয়ে ব্যাম শেষে ভোরপেট খাবার খেয়ে বাসায় ফিরে আসেন। এতে করে ব্যায়ামের কোন প্রকার উপকারিতা পাওয়া যায় না।
  • আপনারা যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন, তারা যদি বেশি দিনের অবসর কাটান বা কোথাও ঘুরতে যান তাহলে খাবারের দিকে নজর রাখবেন। কারণ ঘুরতে গিয়ে বেশি দিন থাকার পরিকল্পনা করলে সুযোগ থাকলে টুকিটাকি ব্যায়াম করতে পারে।
  • আপনি কখনোই ব্যায়াম করার আগে বা পরে বেশি পরিমাণ পানি পান করবেন না। সে ক্ষেত্রে আপনি ব্যায়ামের পর একটু বিশ্রাম নিয়ে তারপর পানি খেতে পারেন।
  • আপনার খাবারের তালিকা থেকে যতটুকু সম্ভব কমল পানীয়, মিষ্টি এবং ফাস্টফুড ইত্যাদি খাবারগুলোকে সরিয়ে ফেলুন। কারণ এই খাবারের ফলে আপনার ব্যায়াম করা বৃথা হয়ে যেতে পারে।
  • আপনি যদি অসুস্থ থাকেন তাহলে আপনার ব্যায়াম করার কোন প্রয়োজন নেই। বিশেষ করে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন ধরনেরই ব্যায়াম আপনার করা উচিত নয়।
  • আপনাকে অবশ্যই যে কোন ধরনের ব্যায়াম বা ডায়েট করার পরিকল্পনার জন্য অভিজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে নেওয়া উচিত।

শেষ কথা | কি কি ব্যায়াম করা উচিত | কোন ব্যায়ামের উপকারিতা বেশি

প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি নিশ্চয়ই এতক্ষণে জেনে গেছেন কোন ব্যায়ামের উপকারিতা বেশি এবং কখন ব্যায়াম করা ভালো সে সম্পর্কে। আশা করি এ পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে আসবে। তাই এই পোস্টটি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।

এবং এরকম বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন আর্টিকেল বা ব্লক পোস্ট নিয়মিত পেতে আমাদের সাথেই থাকুন, তাছাড়াও আমরা এই ওয়েবসাইটে প্রযুক্তি বিষয়ক বিভিন্ন পোস্ট বা আটিকের প্রকাশ করে থাকি। আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url