কেন ব্যায়াম গুরুত্বপূর্ণ - নিয়মিত ব্যায়াম না করলে কি হয়
প্রিয় পাঠক, আপনি নিশ্চয়ই জানতে চান কেন ব্যায়াম গুরুত্বপূর্ণ? এবং নিয়মিত ব্যায়াম না করলে কি হয়। তাহলে আপনি সঠিক জায়গাতেই এসেছেন, কারণ আমরা এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনাকে জানাবো কেন ব্যায়াম গুরুত্বপূর্ণ এবং নিয়মিত ব্যায়াম না করলে কি হয়। আশা করি এই পোস্টটি সম্পন্ন পড়ার মাধ্যমে আপনি কেন ব্যায়াম গুরুত্বপূর্ণ এবং নিয়মিত ব্যায়াম না করলে কি হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন।
কেন ব্যায়াম গুরুত্বপূর্ণ এবং নিয়মিত ব্যায়াম না করলে কি হয়, শুধু তাই নয় আমরা এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনাকে জানাবো ব্যায়ামের ফলে শরীরের কোন কোন অংশের কি কি উপকার হয়। তাই বন্ধু পোস্টটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়ার চেষ্টা করবেন। কারণ এই পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে আসতে পারে। তাহলে চলুন বন্ধু দেরি না করে কেন ব্যায়াম গুরুত্বপূর্ণ ও নিয়মিত ব্যায়াম না করলে কি হয় এবং ব্যায়ামের ফলে শরীরের কোন কোন অংশের কি কি উপকার হয় এই সকল বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জেনে আসার চেষ্টা করি।
পোস্ট সূচিপত্রঃ কেন ব্যায়াম গুরুত্বপূর্ণ - নিয়মিত ব্যায়াম না করলে কি হয়
ভূমিকা | কেন ব্যায়াম গুরুত্বপূর্ণ | নিয়মিত ব্যায়াম না করলে কি হয়
নিয়মিত ব্যায়াম করার ফলে আমাদের শরীর স্বাস্থ্য সুন্দর ও সবল থাকে। আপনি যদি নিয়মিত ব্যায়াম করেন তাহলে, আপনার শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে আপনার শরীলে অনেক ধরনের চেঞ্জ আসবে। নিয়মিত ব্যায়াম করার ফলে আপনার মন মানসিকতা সব সময় ভালো থাকবে যে কোন কাজে মন বসবে এবং যেকোনো কাজ আপনি খুব সহজে করতে পারবেন। তাই নিয়মিত ব্যায়াম আমাদের শরীরের উপর খুব ভালো প্রভাব ফেলে।
তাছাড়াও আমাদের শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ অকেজো হয়ে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দিবে যেমন লিভার, মাংসের পেশী, হার্ট, ফুসফুস ইত্যাদি সুন্দর ও সচল থাকবে। ভাই আপনি যদি ব্যায়াম না করেন তাহলে আপনার এগুলো সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং আপনার শরীরের মাংসপেশিগুলো থলথলে হয়ে যাবে ও হাড়গুলো দুর্বল হয়ে পড়বে এবং নানাবিদ সমস্যা দেখা দিবে। সেজন্য আমাদের সুন্দরভাবে জেনে রাখা ভালো কেন ব্যায়াম গুরুত্বপূর্ণ ও নিয়মিত ব্যায়াম না করলে কি হয় আমাদের শরীরে।
তাহলে চলুন দেরি না করে কেন ব্যায়াম গুরুত্বপূর্ণ এবং নিয়মিত ব্যায়াম না করলে কি হয় বিস্তারিতভাবে জেনে আসার চেষ্টা করি। আশা করি এই পোস্টটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে আপনি ব্যায়াম সম্পর্কে আরো অনেক অজানা তথ্য জানতে পারবে। এবং এই পোস্টটি আপনাকে অনেক উপকারে আসবে। তাই বন্ধু চেষ্টা করবেন স্টেপ বাই স্টেপ সকল পয়েন্টগুলো পড়ার তবেই আপনি সুন্দরভাবে সবকিছু বুঝতে পারবেন।
ব্যায়ামের ফলে শরীরের কোন কোন অংশের কি কি উপকার হয়
আমাদের শরীরে ব্যায়ামের ফলে কোন কোন অংশের কি কি উপকার হয় সেগুলো জেনে নিন।
ব্যায়ামের ফলে আমাদের সহনশক্তি বাড়ে
ব্যায়াম আমাদের মানসিক শক্তি বাড়িয়ে থাকে।কারণ আমরা যখন ব্যায়াম করি, তখন আমাদের শরীর শক্তি ব্যয় করে। আমাদের শরীর যদি স্থল, চর্বিযুক্ত ও কাইক পরিশ্রমহীন হয়ে থাকে তাহলে আমাদের অল্প কিছু শারীরিক শ্রমের অধিক ক্লান্ত হয়ে পড়বে। আমরা যখন নিয়মিত ব্যায়াম করি তখন কম ক্লান্তিতেই অধিক পরিমাণে কাজ করতে পারি। এবং আমাদের ভয় পাওয়ার কাজগুলো খুব সহজেই করে ফেলতে পারে আমরা।
ব্যায়ামের ফলে আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়
আমাদের শরীরে রোগী হচ্ছে সবচাইতে বড় শত্রু। আমাদের মধ্যে এমন কোন মানুষ পাওয়া যাবে না যে কোন ধরনের রোগে ভোগেন নি।রোগমুক্ত থাকায় হল আমাদের সবচেয়ে বড় প্রচেষ্টা।সেজন্য ব্যায়াম এই রোগ প্রতিরোধেই সাহায্য করে থাকে। শারীরিক স্বাস্থ্য ও শারীরিক জন্য নিয়মিত ব্যায়াম খুব প্রয়োজনীয়। ব্যায়াম বিভিন্ন ধরনের রোগ হওয়ার ঝুঁকি কমিয়ে থাকে যেমন ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদয়ে রোগের মত বড় বড় রোগ। ব্যায়ামের মাধ্যমে আমাদের চেহারার আবেদন বাড়াতে এবং দ্রুত বুডিয়ে যাওয়া ঠেকাতে অনেক সাহায্য করে থাকে। তাই সুস্থ থাকার জন্য ব্যায়ামের কোন বিকল্প নেই।
ব্যায়াম যৌনজীবনের জন্য উপকারী
কারণ সংসার জীবনে পুরো প্রভাব পড়ে দাম্পত্য জীবনে যৌন সুখ।আমাদের মধ্যে চাঁদের যৌন জীবনের জড়তা কিংবা অনাগ্রহ চলে এসেছে তাদের জন্য ব্যায়াম অত্যন্ত উপকারী হিসেবে কাজ করবে। আপনি যদি নিয়মিত ব্যায়াম করেন তাহলে আপনার জন্য যৌনস্পৃহা বাড়াবে, এবং যৌন মিলনের বিস্তারিত বোকাল বৃদ্ধি পাবে ও দাম্পত্য জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
আমাদের মনকে চাঙ্গা করার জন্য ব্যায়াম খুব উপকার
কারণ ব্যায়ামের মাধ্যমে নানারকম আর রাসায়নিক পদার্থ মস্তিষ্ক হতে নির্গত হয়ে থাকে। এ ধরনের রাসায়নিক উপাদান চিও প্রফুল্ল করে এবং শারীরিক ও মানসিক প্রশান্তির পাশাপাশি চেহারায় লাবণ্য এবং উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে থাকে। তাছাড়াও যারা নিয়মিত ব্যায়াম করে তাদেরকে বিষণ্ণতা ও হতাশা সহজে গ্রাস করতে পারে না।
ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করা যায়
আমাদের শরীরের বাড়তি ওজন ও মেদ কমিয়ে ফেলাই হলো সুস্থ থাকার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। তাই ব্যায়ামের কোন বিকল্প নেই বাড়তি ওজন কমাতে।আমাদের শারীরিক দরজার ফলে ক্যালরি খরচ হয়ে থাকে। এভাবে আমরা যত ব্যায়াম করব ততটাই আমাদের ক্যালোরি খরচ হবে তার ফলে শরীরে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
ব্যায়ামের ফলে আমাদের শরীরে নমনীয়তা বাড়ে
প্রেমের কোন বিকল্প নেই আমাদের শরীরকে ফ্লেক্সিবল করে তুলতে। আমাদের শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এবং মাংসপেশির নমনীয় হওয়াটা জরুরী। কারণ তাহলে আমাদের শরীরের ওপর বিশেষ নিয়ন্ত্রণ থাকবে। সেজন্য ছোটখাটো আঘাতে মচকে বা ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। তাই আপনি নিয়মিত ব্যায়াম করুন এবং ভালো থাকুন।
ব্যায়ামের ফলে আমাদের শরীর হয়ে ওঠে শক্তিশালী
আমাদের মধ্যে যাদের মাংসপেশির গাথুনি যত ভালো, সে তত বেশি শক্তিশালী হয়ে থাকে।আমাদের শরীরের প্রতিটি পিসিকে আলাদা আলাদা ভাবে গড়ে তুলতে পারে ব্যায়াম। সেজন্য পুরো ব্যাপারটাই দাঁড়াচ্ছে আপনার উপর। কেন না আপনি ঠিক যেভাবে আপনার পিসিকে শক্তিশালী করতে চান, সেভাবেই শক্তিশালী করতে পারবে।
ব্যায়াম আমাদের কর্মস্পৃহা বাড়িয়ে থাকে
কারণ আমরা যদি মানসিকভাবেও শারীরিকভাবে সুস্থ না থাকি তাহলে কাজের প্রতি আমাদের অনিহা তৈরি হবে।তাই ব্যায়ামের ফলে আমাদের শরীরের প্রতিটি কোষে অতিরিক্ত অক্সিজেন ও পুষ্টি এবং এনার্জি সরবরাহ হয়। যার ফলে সমস্ত শরীরে একটি সুস্থ প্রাণী স্পন্দন উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়ে থাকে। সেজন্য আমাদের কর্মস্পৃহা বাড়ে।
ব্যায়াম আমাদের সুনিদ্রায় সহায়ক হিসেবে কাজ করে
আমরা সবাই নিশ্চয়ই দেখেছি যে, আমরা যখন ক্লান্ত থাকি তখন খুব গাঢ় ও গভীর ঘুম হয়ে থাকে।সেজন্য যাদের ঘুমের সমস্যা আছে তাদের জন্য ব্যায়াম অত্যন্ত জরুরী। কারণ ব্যায়াম অনিদ্রা দূর করে থাকে ও অতি নিদ্রা হ্রাস করে থাকে। সেজন্য অবশ্যই একেবারে ঘুমানোর আগে ব্যায়াম করা উচিত নয়। সে ক্ষেত্রে আপনি ব্যায়ামের পরে মানসিক চাঙ্গা ভাবের কারণে ঘুম আসা বিলম্বিত হতে পারে। সেজন্য আপনাকে নির্দিষ্ট সময়ে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।
আমাদের জীবনে সার্বিক ব্যবস্থার উন্নয়নে ব্যায়ামের রয়েছে অপরিসীম ভূমিকা। এতদিন তো আমরা হেলায় ফেলায় জীবন কাটালাম। তাহলে চলুন আজ থেকে শুরু করা যাক ব্যায়াম। আস্তে আস্তে দেখবেন আপনার জীবনটা নিজের হাতের মুঠোয় চলে এসেছে।
নিয়মিত ব্যায়াম করার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সুবিধা কি
নিয়মিত ব্যায়াম করার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সুবিধা হল ৫ টি
১। ব্যায়ামের মাধ্যমে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়
আমরা যদি নিয়মিত ব্যায়াম করি তাহলে আমাদের অনেক তো সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে যার মধ্যে রয়েছে।
- মেটাবলিক সিনড্রোম
- স্টক
- উচ্চ রক্তচাপ
- ডায়াবেটিস
- দুশ্চিন্তা
- অনেক ধরনের ক্যান্সার
- ডিপ্রেশন
- আর্থ্রাইটি ইত্যাদি
আমাদের নিয়মিত ব্যায়াম করার ফলে এ ধরনের রোগ থেকে বাঁচাতে পারে এবং মৃত্যুর ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে থাকে।
২। আমাদের শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে ব্যায়াম
ব্যাঙের মাধ্যমে আমাদের শরীরের অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি রোধ করতে বা ওজন হ্রাস বজায় রাখতে সাহায্য করে থাকে। আমরা যখন নিয়মিত ব্যায়াম করি তখন আমাদের শরীর থেকে অনেক ক্যালোরি ফুরিয়ে থাকে।আমরা যদি প্রতিদিন ব্যায়াম করার জন্য প্রচুর সময় না পায় তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই। আমাদেরকে ব্যায়ামের সুফল পেতে চাইলে, সারাদিনে আরো সক্রিয় হতে পারে, লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি দিয়ে ওঠন। এবং আপনার ঘরের কাজগুলো নিজে করার চেষ্টা করুন।
৩। ব্যায়ামের কোন বিকল্প নেই আমাদের মেজাজ ভালো রাখার জন্য
আমাদের শারীরিক ক্রিয়াকালাপ মস্তিষ্কের বিভিন্ন রাসায়নিককে উদ্দীপিত করে তোলে। যা আমাদেরকে সুখী, আরো স্বাচ্ছন্দ এবং কম উদ্বিগ্ন বোধ করতে সাহায্য করে থাকে। এবং নিয়মিত ব্যায়াম আমাদের আত্মবিশ্বাসকে বাড়িয়ে তুলে তাছাড়াও আমাদের আত্মসম্মানকে উন্নত করতে পারে।
৪। ব্যায়ামের ফলে আমাদের শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি পায়
আমাদের পেশী শক্তি উন্নত করতে পারে এবং আমাদের সহনশীলতা বাড়াতে পারে নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপের মাধ্যমে। ব্যায়াম আমাদের টিস্যুতে অক্সিজেন এবং পুষ্টি সরবরাহ করে থাকে এবং আমাদের কার্ডিওভাসকুমার সিস্টেমকে আরো দ্বিগুণ দক্ষতার সাথে কাজ করতে পারে।
৫। ঘুমের জন্য ব্যায়াম অনেক উপকারী
আমাদের নিয়মিত শারীরিক কেয়াকালাপ হলে দ্রুত ঘুমাতে, ভালো ঘুম পেতে এবং আমাদের ঘুমকে গভীর করতে সহায়তা করে থাকে। কারণ ব্যায়াম করার সময় শরীরের সকল পেশীর ওপর অনেকটাই চাপ পড়ে, সেজন্য আমাদের আরামদায়ক ঘুম আসতে সেটি সহযোগিতা করে।
কেন ব্যায়াম গুরুত্বপূর্ণ
আমাদের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম খুবই প্রয়োজন। এবং শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখতে ও শরীরের ওজনের ভারসাম্য বজায় রাখতে ব্যায়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।তাছাড়াও আমাদের শরীরের হাড়ের দৃঢ়তা বজায় রাখা ও মাংসপেশির সবলতা এবং বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সমূহের স্বাভাবিক চলন ক্ষমতা বজায় রাখতে ব্যায়ামের কোন বিকল্প নেই বললেই চলে। আমরা যদি নিয়মিত ব্যায়াম না করি।
তাহলে আমাদের পেশীগুলো ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়বে এবং শরীরে বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাবে। এক্ষেত্রে আমাদেরকে অবশ্যই ব্যায়াম করার নিয়মাবলী মেনে ব্যায়াম করতে হবে তাহলেই কেবল পরিপূর্ণ ফলাফল পাওয়া সম্ভব। আরো অনেক বিষয় রয়েছে ব্যায়ামের মাঝে, যেমন ব্যায়াম যদি আপনি নিয়মিত করেন তাহলে আপনার মানসিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। যে কোন কাজে সহজে মনোযোগী হতে পারবেন।
এছাড়াও বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ কাজগুলো আপনি খুব সহজে করতে পারবেন কেননা আপনার শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে মানসিক শক্তি বৃদ্ধি পাবে ব্যায়ামের মাধ্যমে। তাছাড়াও অনেক চিকিৎসাবিদদের মতে, নিয়মিত ব্যায়াম করার মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে সহজ হয়। তাই বন্ধু আমাদের মধ্যে যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তারা অবশ্যই নিয়মিত ব্যায়াম করার চেষ্টা করবেন আশা করি আপনি ব্যায়াম করার মাধ্যমে আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবেন।
আরো অনেক বিষয় আছে যা আসলে বলে শেষ করা যাবে না কেননা ব্যায়াম আমাদের শরীরে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তাই বন্ধু যতটুকুই পারেন না কেন চেষ্টা করবেন নিয়মিত ব্যায়াম করার। তাহলে বন্ধু এতক্ষণে আপনি নিশ্চয়ই জেনে গেছেন কেন ব্যায়াম গুরুত্বপূর্ণ। তো বন্ধুরা যেহেতু ব্যায়াম আমাদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ সেহেতু প্রতিদিন কতক্ষণ ব্যায়াম করা উচিত সে সম্পর্কে আমাদের জানা প্রয়োজন। তাই আমরা নিচে আলোচনা করেছি প্রতিদিন কতক্ষণ ব্যায়াম করা উচিত।
প্রতিদিন কতক্ষণ ব্যায়াম করা উচিত
আমাদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য শরীরচর্চা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু প্রয়োজনের চেয়ে বেশি কোন কিছুই ভালো নয়। তেমনি আবার প্রয়োজনের চেয়ে বেশি শরীর চর্চা পড়ার ফলে অনেক সমস্যা তৈরি হতে পারে আমাদের শরীরে। সেজন্য আমাদের শরীরে কি পরিমান ব্যায়াম প্রয়োজন এবং তুলনায় বেশি কিনা তা আগে জানতে হবে। আমাদের শরীরচর্চা কেবল শরীরকে নির্দিষ্ট শেপেই রাখে না বরং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে থাকে
এবং সে সঙ্গে আমাদের মানসিক অবসাদকে দূরে রাখতে সাহায্য করে থাকে।সেজন্য একটা বিষয় অস্বীকার করার কোন উপায় নেই সেটা হল আমাদের শরীর চর্চা স্বাস্থ্যের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। আপনি বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম বেছে নিতে পারেন, সে ক্ষেত্রে ব্যায়াম করা আপনার অনেক সহজ হবে। এমন বিভিন্ন শরীরচর্চা রয়েছে যেমন- জগিং, যোগব্যায়াম, সাইকেলিং, নৃত্য, সাঁতার ইত্যাদি। এই ব্যায়ামগুলো আপনার মন মেজাজ ভালো রাখতে সহায়তা করবে,
এবং বিভিন্ন পেশিগুলোকে শক্তিশালী করে তুলবে। তাছাড়া একটা কথা না বললেই নয় নিয়মিত ব্যায়াম করার কোন বিকল্প নেই। কারণ ব্যায়াম না করে না করে আমাদের সকলেরই অতিরিক্ত পরিমাণে মেদ বেড়ে গেছে, এর পাশাপাশি যেকোনো কাজ করার সময়, অল্প কাজের মাধ্যমে আমরা অনেক ক্লান্তি বোধ করি। এর একটাই মূল কারণ হচ্ছে নিয়মিত না ব্যায়াম করার। তাই বন্ধু আজ থেকে এখনই আপনি প্রস্তুতি নিবেন নিয়মিত ব্যায়াম করার।
নিয়মিত ব্যায়াম না করলে কি হয়
নিয়মিত ব্যায়াম না করলে সুঠাম দেহের ঠিক উল্টোটা হতে পারে।
- আমাদের শারীরিক গঠন নষ্ট হবে খুব দ্রুত।
- আবারো আমাদের মেদ ও ভুড়ি বেড়ে যাবে।
- শরীরের রক্তচাপে তারতম্য হয়ে যাবে।
- বেশি ক্ষয় শুরু হবে।
- ওজন নিয়ন্ত্রণ থাকবে না।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাবে।
- আমাদের মস্তিষ্কের ওপর প্রভাব পড়বে।
- কিছুক্ষণ কাজ করার ফলে শরীর দ্রুত হেপিয়ে যাবে।
- মানসিক সক্ষমতা হারাবে।
- দুশ্চিন্তা গ্রাস করে বসবে।
- স্টক হওয়ার ঝুঁকি বাড়বে।
- শারীরিক স্বচ্ছলতা কমে যাবে।
- এবং যেকোনো কাজের প্রতি অনিহা বাড়বে।
- পুরো শরীর বিভিন্ন রোগে বাসা বাঁধবে।
- মানসিক চাঁপ দেখা দেবে।
- ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বাড়বে।
শেষ কথা | কেন ব্যায়াম গুরুত্বপূর্ণ | নিয়মিত ব্যায়াম না করলে কি হয়
প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি নিশ্চয়ই এতক্ষণে জেনে গেছেন, কেন ব্যায়াম গুরুত্বপূর্ণ এবং নিয়মিত ব্যায়াম না করলে কি হয় সে সম্পর্কে। আশা করি এ পোস্টটি আপনার অনেক ভালো লেগেছে এবং অনেক উপকারে আসবে। তাই এই পোস্টটি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।
তাছাড়া এরকম বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন আর্টিকেল বা ব্লক পোস্ট নিয়মিত পেতে আমাদের সাথেই থাকুন, কেননা আমরা এই ওয়েবসাইটে প্রযুক্তি বিষয়ক বিভিন্ন পোস্ট বা আটিকের নিয়মিত প্রকাশ করে থাকি। আসসালামু আলাইকুম।
সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url