এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে কি কি জানা দরকার

জনসংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান কততমপ্রিয় পাঠক, আপনি নিশ্চয়ই জানতে চাচ্ছেন, এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে কি কি জানা দরকার? সে বিষয়ে। তাহলে আপনি সঠিক জায়গাতেই এসেছেন কারণ আমরা এখন আপনাকে জান জানাতে চলেছি এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে কি কি জানা দরকার সে সম্পর্কে।
এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে কি কি জানা দরকার
এই পোস্টটি যদি আপনি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে এই সম্পর্কে আপনি বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন। আশা করি এই পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে আসবে। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে কি কি জানা দরকার সে সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে আসি।
পোস্ট সূচিপত্রঃ

ভূমিকা | এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে কি কি জানা দরকার

আমাদের সবার আগে জানতে হবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি? অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল একটি বিপণন ব্যবস্থা। যেখানে মূলত এফিলিয়েটরা তাদের মার্কেটিং এর কারণে প্রতিটি ভিজিট, বিক্রয় বা সাইন আপের জন্য কমিশন পেয়ে থাকেন। মার্কেটিং এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং কি এর সঠিক প্রসেস এবং কাজ সম্পর্কে ধারণা না থাকায়। মূলত অনেক ইচ্ছা থাকলেও এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারেন না অনেকেই।
আপনাদের জন্যই মূলত আমাদের এই আর্টিকেলটি। আজ আমরা এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে কি কি জানা দরকার, এফিলিয়েট মার্কেটিং শিখতে কত দিন লাগে, কয়টি প্রোডাক্ট নিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা হয়, এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মেইন থিম কি এগুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানবো। তবে চলুন এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে কি কি জানা দরকার সে গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে আসার চেষ্টা করি।

এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে কি কি জানা দরকার

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এমন এক প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে মূলত একজন অ্যাফিলিয়েট অণ্য কোম্পানি বা ব্যক্তির পণ্য প্রচার চালিয়ে বিক্রিতে সহায়তা করার জন্য যেই কমিশন উপার্জন করে, তাকেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলা হয়ে থাকে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে জানার আগে আপনাকে মার্কেটিং সম্পর্কে জানা দরকার। মার্কেটিং বলতে মূলত কোন প্রোডাক্ট প্রমোট করা অথবা প্রচার করার মাধ্যমে ওই পূর্ণ গুলির ক্রেতা তৈরি করা। এটি মূলত মার্কেটিং ব্যবসার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত একটি বিষয় বলা যেতে পারে।

অনলাইন এবং অফলাইন সব ধরনের ব্যবসায় মার্কেটিং দরকার হয়ে থাকে। অফলাইনে যখন কোন প্রোডাক্টের প্রমোশন করা হয়, সেক্ষেত্রে তাকে বলা হয় মার্কেটিং। কিন্তু যখন এই মার্কেটিং অনলাইনের মাধ্যমে প্রমোশন করা হয় তখন তাকে বলা হয়ে থাকে ডিজিটাল মার্কেটে। সেজন্য ডিজিটাল মার্কেটিং যদি কেউ নিজের প্রোডাক্ট এর জন্য করে, সেজন্য তাকে বলা হয়ে থাকে ইন্টারনেট মার্কেটিং।

আবার যদি কেউ ডিজিটাল মিডিয়ায় অন্য কোন ব্যক্তি বা কোম্পানির পণ্য প্রমোট করে, সেক্ষেত্রে তাকে বলা হয়ে থাকে এফিলিয়েট মারকেটিং। যারা মূলত এফিলিয়েট মার্কেটিং করে, তাদেরকে বলা হয় এফিলিয়েট মার্কেটার বা অ্যাফিলিয়েটার। আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন।

এফিলিয়েট মার্কেটিং শিখতে কত দিন লাগে

আমরা এখন এই অংশে জানবো এফিলিয়েট মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে? প্রথমেই আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর প্রশ্ন করার জন্য। অবশ্যই একটি দক্ষতা এফিলিয়েট মার্কেটিং। একটি দক্ষতা হিসেবে এফিলিয়েট মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে সেটার ওপরে আমরা খুব একটা ফোকাস দিই না।

কেননা আমরা মূলত সেখানেই ফোকাস দিয়ে থাকি যা আসলে দক্ষতাটা শিখার পর, সেখান থেকে ন্যূনতম ভালো ফলাফল অর্জন করতে কতদিন সময় লাগে। প্রথমেই একটি বিষয়ে আমাদের সবাইকে জানতে হবে তা হল, যতক্ষণ না পর্যন্ত সেটিকে বাস্তব জীবনে আপনি প্রয়োগ করতে না পারছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত কোন কিছু শিখে লাভ নাই।

যারা মূলত এই বিষয়টা নিয়ে পুরোপুরি সিরিয়াস এবং যাদের ক্যারিয়ারকে নিয়ে খুবই আন্তরিক। তাদের ক্ষেত্রে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শিখতে দুই মাস লেগে যেতে পারে। মোটামুটি একটা ভালো রেজাল্ট তৈরি করার জন্য। কিন্তু যারা মূলত আজকে একটি বিষয়ের ওপরে মনোযোগ দিচ্ছে এবং কালকে আরো দুই তিনটি বিষয়ের উপর মনোযোগ দিচ্ছে।

তাদের ক্ষেত্রে, এই এফিলিয়েট মার্কেটিং মাসের পর মাস শিখার পরেও খুব একটা ভালো ফলাফল নিয়ে আসা সম্ভব হবে না, সে ক্ষেত্রে শেখা তো অনেক দূরের একটি বিষয়। আমাদের এই কথাটি বলার একটি মূল কারণ হচ্ছে একমাত্র আপনার ফোকাস যে কোন কিছুকে অর্জন করার জন্য সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেজন্য অবশ্যই আপনাকে এক কেন্দ্রিক বিষয়ের উপরে চিন্তা ভাবনা করতে হবে কোন বিষয়ে ভালোভাবে কোন কিছু অর্জন করার জন্য।

এছাড়াও নেটওয়ার্ক মার্কেটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, ক্ষুদ্র ব্যবসা, লাভজনক ব্যবসা, অনলাইনে বিক্রি করা, বিনিয়োগ পরামর্শ, ব্যবসা পরিকল্পনা, উদ্যোগ, ব্যবসার আইডিয়া এবং অরিয়েন্টেড সব ধরনের কনটেন্ট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। কেননা পরবর্তীতে আমাদের পোস্টগুলো আপনি সবার আগে পাবেন।

কয়টি প্রোডাক্ট নিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা হয়

আপনি যদি এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে চান তাহলে আপনাকে কিছু বিষয়ে আগে থেকেই মাথায় রাখতে হবে। তা হল ইনভেস্টমেন্ট, ইনভেসমেন্ট খাতসমূহ, মৌলিক কাজে দক্ষ হওয়া, শর্টকাট রাস্তা থেকে দূরে থাকা এবং কখনোই হাল না ছেড়ে লেগে থাকা। আমাদের মধ্যে অনেকেরই প্রশ্ন থাকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার আগে, তাহলে কোন প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ শুরু করা উচিত।
এক্ষেত্রে অনেকেই উপযুক্ত প্রোডাক্ট নির্বাচন করতে পারেনা যার ফলে শুরুতেই ভুল পদক্ষেপ নিয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে আপনি যদি সঠিক প্রোডাক্টটি নির্বাচন করতে ভুল করেন, তাহলে ধরে নিতে পারেন আপনি শুরুতেই পথে পা বাড়িয়ে দিচ্ছেন। সেজন্য আপনাকে অবশ্যই সচেতনতার সাথে সহিত প্রোডাক্ট নির্বাচন করতে হবে।

প্রথমেই আপনি যে সকল প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ শুরু করবেন

  • যে সকল প্রোডাক্টগুলো ভবিষ্যতে চলবে এবং দীর্ঘদিন চলে এসেছে।
  • মূলত কাস্টমাররা যে ধরনের প্রোডাক্ট ইনস্ট্যান্ট কেনার জন্য সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
  • যে সকল নিশের ইউজার রেটিং গড়ে ১০ এর ওপর।
প্রথমেই আপনি যে সকল প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ শুরু করবেন না
  • যে কোন সিজনাল প্রোডাক্ট ( যে সকল জিনিস শুধুমাত্র নির্দিষ্ট সময় বিক্রি হয়ে থাকে)।
  • সকল ধরনের ইলেকট্রনিক্স প্রোডাক্ট।
  • যে ধরনের প্রোডাক্টের দাম ৫০০ ডলারের বেশি এবং ৫০ ডলারের কম।
আপনি যদি ৫০ ডলারের নিচে প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ শুরু করেন সে ক্ষেত্রে আপনি কমিশন পাবেন অনেক কম। সেজন্য আপনাকে অবশ্যই আয় করতে হলে অনেকগুলো প্রোডাক্ট বিক্রি করতে হবে। আবার ৫০০ ডলারের প্রোডাক্ট কেউ দেখামাত্রই কখনোই চিনবে না। কারণ এ সকল প্রোডাক্ট কেনার আগে কে তারা অনেক কিছু চিন্তা ভাবনা করে, তারপরে বুঝে শুনে কিনে।

যেমন ধরেন আমরাই যেকোনো দামি জিনিস বা পণ্য কেনার আগে একটু সময় নিয়ে ভালো করে দেখে শুনে বুঝে সিদ্ধান্ত নিই। তেমনিভাবে অনলাইনেও কোন গ্রাহকরা দামি জিনিস কেনার আগে অবশ্যই ভালো করে বুঝে শুনে কেনার চেষ্টা করবে বা সিদ্ধান্ত নিবে। অন্যদিকে ইলেকট্রনিক্স প্রোডাক্ট সময়ে সময়ে পরিবর্তনশীল হয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে আপনি যদি ইলেকট্রনিক্স প্রোডাক্ট নিয়ে কোন নিশ সাইট তৈরি করেন।

তাহলে আপনার প্রোডাক্ট মার্কেট আউট হয়ে গেলে আপনার সাইটে ভিজিটর অনেকটাই কমে যাবে। এছাড়াও ইলেকট্রনিক্স প্রোডাক্ট এর কমিশন সব সময় শুধুমাত্র চার পার্সেন্ট দিয়ে থাকে। কিন্তু আবার অন্য সব প্রোডাক্ট এর ক্ষেত্রে চার পার্সেন্ট থেকে নয় পার্সেন্ট পর্যন্ত কমিশন দিয়ে থাকে। সেজন্য অবশ্যই আপনার ইলেকট্রনিক্স প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করা, একেবারেই বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।

বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল মার্কেটারদের মতে নিম্নলিখিত চারটি ক্যাটাগরি, একেবারে নতুনদের জন্য ইতিবাচক ফলাফল আনতে পারে। এই ক্যাটাগরির প্রোডাক্ট গুলো মূলত সব সময় ভালো চলে, কনভার্শন রেট, এবং কমিশন গ্রোথ অনেক ভালো থাকে।

ক্যাটাগরি গুলো হল
  1. Sports & Outdoors
  2. Health, Beauty & Grocery
  3. Kids, Toys & Baby
  4. Garden, Home & Tools
আপনি যদিও বা উপরের চারটি ক্যাটাগরির প্রোডাক্ট সমূহের ওপর ভিত্তি করে অলরেডি অনেক নিশ সাইট তৈরি করেছেন। এছাড়াও নিম্নলিখিত ক্যাটাগরি গুলো নিয়েও কাজ করা যেতে পারে। এগুলোও মূলত সব সময় ভালো চলে এবং কনভার্সন রেট অনেকটাই ভালো।

দ্বিতীয় চয়েস হিসেবে ক্যাটাগরি গুলো হল
  • Home Service
  • Shows, Clothing & Jewelry
  • Automotive
  • Handmade

এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মেইন থিম কি

ওয়ার্ডপ্রেসে মূলত ফ্রি এফিলিয়েট মার্কেটিং থিম এর সংখ্যা হাতেগোনা কয়েকটি। সে ক্ষেত্রে অন্যান্য ক্যাটাগরির শত শত থিম থাকলেও।এই এফিলিয়েট মার্কেটিং থিম রয়েছে বড়জোর ২৫ থেকে ৩০ টি। আবার এইগুলো খুব একটা কাজের নয়।

সেজন্য ফ্রি থিমের মধ্যে যে কয়েকটি সেরা, বিভিন্ন এফিলিয়েট মার্কেটাররা ইতিমধ্যেই ব্যবহার করছেন। সে ক্ষেত্রে কোয়ালিটির দিক থেকে ওয়ার্ডপ্রেস সাটিফাইড, এখানে মূলত সে রকমেরই পাঁচটি থিম দেওয়া রয়েছে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থিম ফ্রি

  1. রেডি রিভিউ
  2. এরিভিউ
  3. রিভিউ জাইন
  4. রিথিংক
  5. ভাইপার
অনলাইনে যতগুলো আয়ের সহজ মাধ্যম রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম সেরা মাধ্যমটি হল এফিলিয়েট মার্কেটিং। সেক্ষেত্রে এই এফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য প্রথম যেটা দরকার সেটা হলো মূলত একটি সুন্দর ওয়েবসাইট।

আর এই ওয়েবসাইটের থিমটি অবশ্যই সাজানো গোছানো হওয়া প্রয়োজন এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য সম্পূর্ণভাবে উপযোগী। কেননা এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হলে অবশ্যই আপনার সাইডে বেশ কিছু আলাদা ধরনের ফাংশানালিটি থাকা প্রয়োজন।

কারণ যদি আপনার থিমটি ওই ধরনের ফাংশানালিটির সঙ্গে খারাপ না খায়, তাহলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ আপনি কখনোই সফলতা পাবেন না। সে ক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই উপরোক্ত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং পাঁচটি ফ্রী থিম থেকে আপনার পছন্দের থিমটি বেঁচে নিতে পারেন।

শেষ কথা | এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে কি কি জানা দরকার বিস্তারিতভাবে জেনে নিন

প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি নিশ্চয়ই এতক্ষণে জেনে গেছেন, এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে কি কি জানা দরকার সম্পর্কে। আশা করি এ পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে আসবে। তাই এই পোস্টটি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।
এবং এরকম বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন আর্টিকেল বা ব্লক পোস্ট নিয়মিত পেতে আমাদের সাথেই থাকুন, তাছাড়াও আমরা এই ওয়েবসাইটে প্রযুক্তি বিষয়ক বিভিন্ন পোস্ট বা আটিকের প্রকাশ করে থাকি। আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url