সততার প্রকৃত অর্থ কি - একজন সৎ ব্যক্তির বর্ণনা

প্রিয় পাঠক, আপনারা যারা জানতে চান সততার প্রকৃত অর্থ কি? এবং একজন সৎ ব্যক্তির বর্ণনা কি? সে সম্পর্কে। তাদেরকে আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে জানাবো বা ব্যাখ্যা করব সততার প্রকৃত অর্থ কি ও একজন সৎ ব্যক্তির বর্ণনা কি।
সততার-প্রকৃত-অর্থ-কি
ভাই আপনি যদি আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়েন, তাহলে এগুলো বিষয় সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন। আশা করি এই পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে আসবে। তাহলে চলুন সততার প্রকৃত অর্থ কি এবং একজন সৎ ব্যক্তির বর্ণনা বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জেনে আসার চেষ্টা করি।
পোস্ট সূচীপত্র: সততার প্রকৃত অর্থ কি - একজন সৎ ব্যক্তির বর্ণনা

ভূমিকা | সততার প্রকৃত অর্থ কি | একজন সৎ ব্যক্তির বর্ণনা

সততাই হলো আমাদের মানব চরিত্রের শ্রেষ্ঠ গুণ। তাই আমাদের জীবনে সততার প্রয়োজনে তা অনেক বেশি। সেক্ষেত্রে মহান আল্লাহ তায়ালা মানব সমাজকে যে সীমারেখায় চলতে নির্দেশ দিয়েছেন, তাতে আমাদের জীবনে সততা অপরিহার্য। এই সততা ও স্বচ্ছতা নবীজি, আউলিয়া, ফেরেস্তা এবং সৎ ব্যাক্তিদের গুণ।
আসলে শুধু মুসলমান নয়, আমাদের এই সততা কোন মুমিন হোক বা কাফের হোক সবার মাঝেই এই গুণ থাকতে হবে। সে ক্ষেত্রে কোন অফিসার হোক বা কর্মী, শিক্ষক, ছাত্র, পীর, মুরিদ, ধনী, গরীব, পিতা-মাতা, এবং সন্তান-সন্ততি সবার জন্যই সততা একান্ত জরুরি। তাই আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদেরকে জানাবো সততার প্রকৃত অর্থ কি এবং একজন সৎ ব্যক্তির বর্ণনা সম্পর্কে।

এছাড়াও আপনাদেরকে জানাবো সততা এক বাক্যে, সততা ও উদাহরণ কি, সততা কোন ধরনের বাক্য, কর্মক্ষেত্রে সততা প্রশ্নবিদ্ধ হলে, এবং মানুষ কি সততাকে সম্মান করে। এগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করব। আশা করি এই পোস্টটি আপনি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়বেন। তাহলে চলুন এগুলো বিষয়ে আমরা সুন্দরভাবে জেনে আসি-

সততা এক বাক্যে

আমাদের জীবনকে সার্থক করার একটি চমৎকার পন্থা, ও একই সাথে আন্ততৃপ্তির একটা অনন্য পথ রেখা হিসেবে পরিচালিত করা হয় সততাকে, তাই সততা মানব চরিত্রের উজ্জ্বল অলংকার।

সততা ও উদাহরণ কি

আমাদের মানব চরিত্রের এক অনন্য গুণ হলো সততা। এই সততার মাধ্যম দিয়েই আমাদের মানব চরিত্র হয়ে ওঠে মহিমান্বিত। সেজন্য সত্যের শক্তিতে জাগ্রত ব্যক্তি প্রতিটা ক্ষেত্রে সততা প্রদর্শন করে থাকে। এবং এর মধ্য দিয়েই আমাদের মানবজাতি অর্জন করে মনুস্তব্য। তাই সততার অনুশীলনকারীকে সং বলা হয়ে থাকে।

তাছাড়া তাদের দ্বারা কখনোই কারো অনিষ্ট সাধিত হয় না, বরং তাদের কাজের দ্বারা অন্যের উপকার সাধন হয়। সৎ ব্যক্তি সব সময় কথায় ও কাজে নিষ্ঠাবান হয়ে থাকেন। সেজন্য সবাই তার ওপর আস্থা রাখতে পারে, এবং তাকে সব সময় অন্তর থেকেশ্রদ্ধা করে। এবং অন্যদিকে, সততা থেকে বিচ্যুত ব্যক্তি সমাজের কলঙ্কস্বরূপ।

তাদের দ্বারা অনেকেরই প্রতি সাধিত হয়ে থাকে। তারা নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য নানা রকমের অন্যায় কাজে লিপ্ত হতে দ্বিধাবোধ করেনা। সেক্ষেত্রে এই ধরনের ব্যক্তি সমাজের বিবেকবান মানুষের কাছে অনেক ঘৃণিত হয়। তাকে কখনোই কেউ বিশ্বাস করে না। সৎ ব্যক্তির সততার নিদর্শন সবাইকে ভালো কাজে উৎসাহ জগাই।

অন্যদিকে উসৎ ব্যক্তির সাময়িক মুখ্যলাভ দুর্বল চিওের মানুষদের আপাচারে লিপ্ত হতে উদবদ্ধ করে তুলে। সেজন্য বলা যায়, সততাই হলো আমাদের মানব জীবনের চিরমুক্তি ও কল্যাণের পথ। সেক্ষেত্রে সকল ধর্মেই সততাকে জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ পন্থা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে বিশেষভাবে।

অনেক মহৎ ব্যাক্তিগনের জীবনী থেকেও দেখা গেছে, সততার সৌন্দর্যে তাদের চরিত্র উদ্ভাসিত হয়েছে অনেক ক্ষেত্রেই। ফল ব্যক্তির হৃদয় ভরে থাকে সত্যের এক অপ্রতিরোধ্য শক্তিতে। সেজন্য তিনি হন উদার, দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ও মানবিক। তাই সততার নিয়মিত অঞ্চলনে একটি ব্যক্তির জীবন মধুময় হয়ে ওঠে। এবং একটি ব্যক্তির জীবনে সততা চর্চার মাধ্যমে আমাদের সকলের সত্যতা সত্যাশ্রয়ী জাতিসত্তা গঠনে ভূমিকা রাখা প্রয়োজন।

একজন সৎ ব্যক্তির বর্ণনা

আসলে একজন সৎ ব্যক্তির বর্ণনা বলে শেষ করা যাবে না। একটি মানব সমাজে একজন ব্যক্তি যদি তার সততা, সদিচ্ছা ও সাহসিকতা যথাযথ ব্যবহার এবং প্রয়োগ করে থাকে। তাহলে সমাজ, দেশ ও জাতিকে কিছু উপহার দিতে চান তবে তা সে অনায়াসেই প্রদান করতে পারে। কেননা, সততার মাধ্যমে মানুষ্যত্ব্যের বিকাশ ঘটে।

এই সততাই পারে একটি মানব জীবনের সফলতা ও আনন্দ বয়ে আনতে। সততায় হল সবথেকে বড় একটি সম্পদ। যে মানুষটি সারা জীবন সৎ থাকার জন্য আপ্রাণ্য চেষ্টা করেছে, সে ব্যক্তির চেষ্টাটিই হল বড় অর্জন। সত্য একটি মানুষকে অনেক দিক থেকে মুক্তি দেয় এবং মিথ্যা একটি মানুষকে অনেক দিক থেকে ধ্বংস করে ফেলে।

সব লোক কখনোই মিথ্যার আশ্রয় নেয় না, কারো সম্পদ লুটপাট করে না, তার দ্বারা কখনো ঘুষ কখন হয় না এবং কখনোই তার দ্বারা প্রতারণা করা সম্ভব হয় না। সেজন্য আমাদেরকে সবসময় সমাজের সততার জয়-জয়কার আনতে হবে। এবং সততার সামাজিক মূল্য অপরিসীম সেটাকে সবসময় মেনে চলতে হবে।

মাধ্যম দিয়েই আমাদেরকে সমাজে সুখ ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। কেননা এই সততার কারণেই সমাজে নানান ধরনের দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে গোটা বিশ্বের কাছে দেশ ও জাতি হয় অনেক ধরনের কলংকিত। এখন সারা বিশ্বে অশান্তির মূল কারণ হচ্ছে মূলত সৎ লোকের অভাব। কেননা সৎ ও অসৎ ব্যক্তির মধ্যে পার্থক্যটা আকাশ পাতাল তফাত।

একটি সৎ লোকের জীবনবোধ অসৎ লোকের জীবন বোঝার চেয়ে বিপরীত ধর্মী। কারণ এই বিশ্বে সব লোকের অভাবে জাতিতে জাতিতে সংঘাত সংঘর্ষ লেগেই থাকে সবসময়। তার ফলে বিশ্বের প্রতিটি কোনায় কোনায় অশান্তির অগ্নিশিখা দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে। হয়তোবা সৎ লোক বৈষয়িকভাবে দরিদ্র থাকতে পারে।

কিন্তু সে সেই ইচ্ছাই ওইরকম দারিদ্র্য কে বেছে নিয়েছে। , একটি সৎ লোক নিজে জীবন চারিতায় কি আনন্দ পায় সেটা কখনোই অসৎ লোক বুঝবে না। আসলে অসৎ লোকের ধারণাই হল, সমাজের প্রতিটা লুকিয়ে অসৎ। কেননা তারা নিজে অসৎ বলে অন্য কেউ অসৎ ভাবে। কিন্তু একটা অসৎ মানুষের জীবনে কখনো সুখ শান্তি আসে না বা অনুভব করতে পারে না।

তার সব সময় কোন না কোন টেনশন বা বারে বারে সমস্যা এমনকি তার নিজের বড় ধরনের কোন অসুখ লেগেই থাকে। দেখা যায় যে অসৎ মানুষ কখনোই তার নিজের পছন্দ মত জিনিস খেতে পারে না। কেননা তার শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ বাসা বাঁধে তার ফলে চিকিৎসকেরা তাকে অনেক কিছু খাবার থেকে নিষেধ করে দেয়।

তাছাড়া সমাজে তাদের কোন রকমের সম্মান থাকে না। এমনকি সমাজে কেউ তাকে বিশ্বাস করে না। এই অসৎ মানুষের কারণেই আমাদের সমাজ, দেশ জাতি, এবং পৃথিবী ধ্বংসের দিকে অতিবাহিত হচ্ছে। তাই আমাদের সব সময় চেষ্টা করতে হবে সৎ মানুষ হয়ে জীবন যাপন করা। এবং চেষ্টা করতে হবে অসৎ মানুষ গুলোকে সৎ মানুষের নিয়ে আসা।

কেননা প্রথমে আমাদের নিজেকে সৎ হতে হবে, তারপরে সমাজের মানুষগুলোকে শোধ করার চেষ্টা করতে হবে। আমরা নিজেই যদি সৎ না হই তাহলে কখনোই অন্য মানুষকে সৎ করতে পারবো না। তাই সর্বপ্রথম আমাদেরকে নিজেকে সৎ হতে হবে। তারপরে চেষ্টা করতে হবে অসৎ মানুষকে সৎ করার।

সে ক্ষেত্রে আমরা দুনিয়াতেও শান্তি পাবো এবং সম্মান পাবো। আবার পরকালেও মহান আল্লাহ তালার কাছে একটি সততা ও সুন্দর মানুষ হিসেবে পরিচিতি পাব। আশা করি আপনি একজন সৎ ব্যক্তির বর্ণনা বুঝতে পেরেছেন।

সততা কোন ধরনের বাক্য

সততা হলো "ইতিবাচক বাক্য"। সে ক্ষেত্রে ইতিবাচক বাক্যগুলি তথ্য বা তথ্য জানাতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। সর্বজনীন তথ্য প্রকাশ করে থাকে এমন সমস্ত বিবৃতি হল ইতিবাচক বাক্য।

  • শুধুমাত্র সততার দাঁড়ায় জীবনে প্রতিষ্ঠা লাভ করা সম্ভব।
  • একজন সৎ ব্যক্তিই সবার কাছে বিশ্বস্ত এবং শ্রদ্ধাভাজন হতে পারে।
  • একটি মানুষের জীবনের যেকোনো ক্ষেত্রে সততার মূল্য সবকিছুর ঊর্ধ্বে।
  • একটি ব্যক্তির জীবন সার্থক করা চমৎকার পন্থা, তা ছাড়াও একই সাথে আন্ততৃপ্তির একটা অনন্য পথ রেখা হিসেবে সততা ব্যক্তির চরিত্রের উজ্জ্বল অলঙ্কার।

সততার প্রকৃত অর্থ কি

সততার প্রকৃত অর্থ হলোঃ বিশেষ্য পদ/ সততা/ সাধুতা

কর্মক্ষেত্রে সততা প্রশ্নবিদ্ধ হলে

আমাদের কর্ম ক্ষেত্রে সততা প্রশ্নবিদ্ধ হবে এটাই স্বাভাবিক। কেননা আমরা যে কোন ব্যবসা করার সময় সততা অবলম্বন অনেকে করিনা। সে ক্ষেত্রে ওই ব্যবসায় কখনো আইননতি করা সম্ভব হয় না। যদিও বা কিছুদিনের জন্য তার ব্যবসা ভালো হতে পারে। তারপরও সে কখনোই ব্যবসা থেকে বড় ধরনের কোন কিছু করতে পারবে না কেননা সে সততা অবলম্বন করে না।

সেজন্য অবশ্যই আমাদেরকে ব্যবসায় সততা অবলম্বন করে চলতে হবে। তাহলে মহান আল্লাহতালা ব্যবসায় উন্নতি করাবে। এবং ওই ব্যবসা থেকে একজন ব্যক্তি সততার মাধ্যমে অনেক লাভবান হবে। কিন্তু আমাদের সমাজে দেখা যায় বেশি অংশ ব্যবসায়ীকগন অসৎ ভাবে ব্যবসা করে।

সে ক্ষেত্রে তার ব্যবসাটা পুরোটাই হারাম, কেননা অসৎ পথের ব্যবসা মহান আল্লাহতালা পছন্দ করেন না। সেজন্য আমরা যারা ব্যবসায়ী আছি তারা কখনোই মানুষকে ভেজাল পণ্য খাওয়ানোর চেষ্টা করব না, কেননা একটা ভেজালপূর্ণর ভেতরে অনেক খারাপ পদার্থ থাকে, তার ফলে একটা মানুষের জীবনকে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

তাই আমরা সর্বদা চেষ্টা করব মানুষকে ভেজালমুক্ত জিনিস খাওয়াতে এবং নিজে সব সময় সৎ ব্যবসা করতে। আমরা কখনোই কে কিভাবে ব্যবসা করছে সে নিজে না তাকে আমরা নিজে আগে সৎ হব। তারপরে সমাজকে সৎ করার চেষ্টা করব। কেননা নিজে যদি সৎ না হয় তাহলে কখনোই আমাদের কথা কেউ শুনবে না।

তাই আমাদের অবশ্যই চেষ্টা করতে হবে যদিও আমরা দু মুঠো ভাত কম খায় তারপরও সৎভাবে ব্যবসা পরিচালনা করব। কেননা অসৎ অর্থের মালিক হলেও অসৎ ব্যক্তির মনে কখনো শান্তি থাকে না। এবং আশেপাশে দেখা যায় অনেক পরিবারের সুখ নেই, এমনকি বিরিয়ানি ও দামি খাবার খেয়েও মনে কোন পকার শান্তি পায় না।

দেখা যায় তাদের সারা জীবন কোন না কোন বড় ধরনের অসুখ লেগেই থাকে যেমন ডাইবেটিস, ক্যান্সার, হাই প্রেসার, লো প্রেসার ইত্যাদি। এজন্য তাদেরকে দেখা যায়, সারাদিনে খাওয়া-দাওয়া থেকে ওষুধ সেবন বেশি করতে হয়। এমনকি তারা ইচ্ছামত কোন কিছু খেতে পারে না, কেন চিকিৎসকেরা তাদেরকে তাদের অসুখের কারণে বিভিন্ন ধরনের জিনিস খেতে নিষেধ করেন।

সে ক্ষেত্রে আমরা একটা জিনিসই বুঝতে পারলাম এখান থেকে কর্ম ক্ষেত্রে হোক বা যে কোন ক্ষেত্রেই হোক না কেন আমাদের সব সময় সততা নিয়ে জীবন যাপন পরিচালনা করতে হবে। এবং সৎ মানুষ হয়ে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে। এবং অন্য মানুষদেরও সৎ হওয়ার পরামর্শ দিতে হবে। তাহলেই সম্ভব একটি সুন্দর সমাজ বা একটি সুন্দর দেশ বা একটি সুন্দর পৃথিবী গড়ে তোলা। আশা করি বিষয়গুলো আপনি সুন্দর ভাবে বুঝতে পেরেছেন।

মানুষ কি সততাকে সম্মান করে

মানুষ সততাকে অবশ্যই সম্মান করে। কেননা সমাজে একটি সৎ মানুষকে সবাই ভালবাসে।তাছাড়া মহান আল্লাহ তায়ালা সৎ মানুষকে অনেক পছন্দ করেন। একটি সৎ মানুষ সবার কাছে অনেক বিশ্বাস যোগ্য হয়ে থাকে। এবং সমাজে অনেক সম্মান লাভ করে। কিন্তু অন্যদিকে একটি অসৎ মানুষকে সবাই ঘৃণার চোখে দেখে, এবং তাকে কেউ কখনো বিশ্বাস করে না।

তাছাড়াও অসৎ মানুষের জন্য মহান আল্লাহ তাআলা পরকালে অনেক শাস্তির ব্যবস্থা করে রেখেছে। কেননা কোথায় আছে অসৎ পথে থেকে বিরানি খাওয়ার চেয়ে, সৎ পথে থেকে নুন ভাত খাওয়া অনেক ভালো। যেকোনো বিষয়ে সততার মূল্য অনেক বেশি। কেননা যার কখনোই কোন সীমা পরিসীমা নেই। অসৎ পথে থেকে যতই ভালো ভালো খাবার ও বিলাসবহুল জীবনযাপন করুক না কেন তাতে কখনোই হয় না এবং শান্তি ও মিলে না।

সেজন্য কষ্ট করে উপার্জন করার মধ্যে যে আনন্দটি পাওয়া যায় সেটা একটি অন্যরকম অনুভব বা আনন্দ। একটি কষ্টকর সাফল্যের মধ্যেও আনন্দের চোখে পানি এসে চোখ ভিজিয়ে দেয়। সেটি আসলে সুখের বাত্রা। সৎ পথে জীবন যাপন করার পরিতৃপ্তির ভাষায় বলে বোঝানো সম্ভব হয় না। এটি হলো একটি অন্যরকম অনুভূতি। সে ক্ষেত্রে কিন্তু অসৎ পথের উপার্জন বেশিখুন থাকে না।

সে সবসময় অশান্তি অনুভব করতে থাকে। কেননা মহান আল্লাহ তায়ালাও অসৎ পথে উপার্জনকে পছন্দ করেনা। এবং সেই আয় রোজগারে কখনোই বরকত আসে না। সেজন্য সবসময় মানুষ সুস্থ থাকে অনেক সম্মান করে থাকে। আশা করি আপনি পুরো বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

শেষ কথা | সততার প্রকৃত অর্থ কি | একজন সৎ ব্যক্তির বর্ণনা

প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি নিশ্চয়ই এতক্ষণে জেনে গেছেন,  সততার প্রকৃত অর্থ কি এবং একজন সৎ ব্যক্তির বর্ণনা সে সম্পর্কে। আশা করি এ পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে আসবে। তাই এই পোস্টটি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।
এবং এরকম বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন আর্টিকেল বা ব্লক পোস্ট নিয়মিত পেতে আমাদের সাথেই থাকুন, তাছাড়াও আমরা এই ওয়েবসাইটে প্রযুক্তি বিষয়ক বিভিন্ন পোস্ট বা আটিকের প্রকাশ করে থাকি। আসসালামুয়ালাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url